ডাইনোসরের হাঁ দেখে কান্না |
মায়ের হাত ধরে এ মণ্ডপ থেকে ও মণ্ডপ খোশমেজাজেই ঘুরছিল বছর আটেকের সৌরভ। হঠাৎ পরিত্রাহি কান্না। বাবা-মা তো অবাক। কিছুতেই বুঝতে পারছেন না ছেলের কান্নার কারণ। শেষে সৌরভই হাত দিয়ে দেখাল। সত্যিই তো এ যে বিশাল একটা ডাইনোসর! বড় বড় দাঁত। হাঁ করে গিলে খেতে আসছে যেন! ওই হাঁ-এর ভেতর দিয়ে ঢুকেই দেখতে হবে ঠাকুর। অশোকনগর সর্বজনীনের এই পুজো এ বার মেদিনীপুর জুড়ে আলোচনার বিষয়। দর্শনার্থীরা অবাক চোখে দেখছেন ‘জুরাসিক পার্কে’র প্রাণিটিকে। অনেকে গায়ে হাতও বোলাচ্ছেন। অবস্থা দেখে মণ্ডপে হাত দেওয়া নিষিদ্ধ করেছেন উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির অন্যতম কল্যাণময় ঘোষ বলেন, “সকলে যে ভাবে হাত দিতে শুরু করেছিল তাতে অষ্টমীতেই ডাইনোসরের অস্তিত্ত্ব থাকত না। বাধ্য হয়েই বারণ করা হয়েছে।” নজর কেড়েছে বিধাননগর পূর্ব সর্বজনীনের পুজোও। মণ্ডপ যেন মঙ্গলঘট। তার গায়ে সুন্দর আলপনা, উপরে শিসযুক্ত ডাব। ভেতরে কুলো, কড়ির কারুকাজ। প্রতিমা সাবেক। এ বছরই প্রথম এই পুজোর সূচনা হল। সে দিক থেকে প্রথম বারই দর্শকদের মন কেড়েছে এই দুর্গোৎসব। পুজোর কর্মকর্তা চম্পক দত্ত বলেন, “প্রথম বছর হলেও পুজোকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সব ধরনের চেষ্টা করেছি। মানুষের ভাল লাগছে দেখে আমরাও ভীষণ খুশি।’’ মণ্ডপ সজ্জায় পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
|
জখমকে হাসপাতালে পাঠানো হল ট্রেনেই |
রেললাইনের অদূরে পড়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন এক জন। নজরে আসে এক রেলকর্মীর। দেবাশিস বর্ধন নামে ওই কর্মী রেললাইন দেখভাল করেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন জকপুর স্টেশনে। স্টেশন ম্যানেজার অরূপ পাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানা যায়, আহত ব্যক্তি করমণ্ডল এক্সপ্রেস থেকে পড়ে গিয়েছেন। হাওড়া-মেদিনীপুর শাখার লোকাল ট্রেন সিগন্যালে দাঁড় করিয়ে আহতকে খড়্গপুর রেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ওই ব্যক্তির নাম কেরু রাজবংশী। বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুরের মালিপাতা গ্রামে। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ জকপুর-খড়্গপুরের মাঝে ট্রেন থেকে পড়ে যান। কিন্তু কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? রেল কর্তৃপক্ষ ধোঁয়াশায়।
|
তৃণমূলের বিরুদ্ধে পশ্চিম মেদিনীপুরে তাদের সংগঠনের জেলা সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ করল মজদুর ক্রান্তি পরিষদ। এই নিয়ে সোমবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় গড়বেতার চাঁদাবিলায়। রুস্তম মল্লিক নামে ওই নেতাকে গড়বেতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রহৃত হন তাঁর বৃদ্ধা মা-সহ বাড়ির কয়েকজন। ক্রান্তি পরিষদের অভিযোগ, তৃণমূলের কিছু লোকের অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় রুস্তমকে মারধর করা হয়। পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমৃত পড়্যা বলেন, “ওরা (তৃণমূল) বলেছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। যা হচ্ছে, সেটাই কি পরিবর্তন!” জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ নেব।” |