আঁধার মুখে আলো ফোটাতে ‘অন্য’ পুজো
শুভাশিস ঘটক |
নতুন জামা বাছাইয়ে ব্যস্ত খুদেরা। মঙ্গলবার। ছবি: পিন্টু মণ্ডল |
মূর্তি পুজো হয় না এখানে। সোনারপুরের চাঁদপুর গ্রামে অষ্টমীর দিন শামিয়ানা খাটিয়ে শুরু হয় পুজোর আয়োজন। টেবিলে স্তূপীকৃত নতুন পোশাক। সারা বছর চাঁদা তুলে খেয়াদা ও কামরাবাদ পঞ্চায়েতের ২২টি আদিবাসী গ্রামের শিশু-বৃদ্ধ মিলিয়ে প্রায় ৮০০ জনকে শাড়ি-জামা দেওয়াটাই এ পুজোর রীতি। এ বার ৩৯ বছর চাঁদপুরের ‘অন্য-পুজো’র। মঙ্গলবার সেখানেই ভিড় জমান হতদরিদ্র মানুষগুলো। এ বার প্রায় লাখ দেড়েক টাকা উঠেছে। তাই খাওয়াদাওয়াও হবে। আয়োজকদের তরফে বিমলকুমার মণ্ডল বলেন, “পুজোয় আশপাশের গ্রামের ১০-১৫ জনকে কাপড় দেওয়া শুরু করেন আমাদের দাদুরা। পাড়ায় আনন্দে মাতবে যারা, তাদেরই পোশাক কেনার ক্ষমতা নেই।” অর্জুন মণ্ডল বলেন, “মূর্তি পুজোর বদলে মা দুর্গার সন্তানদের মুখে একটু হাসি ফোটাই আমরা।” |
হাইওয়েতে বাইক-বাহিনীর হামলায় মৃত্যু যুবকের
|
হাইওয়েতে মোটরবাইক-আরোহী দুই দল যুবকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় অমিত বিশ্বাস (২০) নামে ওই তরুণকে ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল জানায়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার মনোহরপুকুর রোডের বাসিন্দা অমিত ও তাঁর বন্ধুরা সপ্তমীর রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্রিজের কাছে একটি ধাবায় যাচ্ছিলেন। সাতটি মোটরবাইকে চেপে ১৪ জন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা থেকে রওনা হন। দীপঙ্কর চক্রবর্তী নামে এক বন্ধুর বাইকে পিছনের সিটে ছিলেন অমিত। কোলাঘাট ব্রিজের কাছে আর এক দল বাইক-আরোহীর সঙ্গে তাঁদের কোনও কারণে বচসা বাধে। দীপঙ্কর বলেন, “বচসার সময়ে অমিতকে লোহার রড দিয়ে মাথায় মারা হয়। মাটিতে ফেলে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়।” গুরুতর জখম অমিতকে প্রথমে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে আনা হয় এসএসকেএমে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
দীপঙ্কর বলেন, “হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মোবাইলে কয়েক জনের ছবি তোলা আছে। সেই ছবি পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।” অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে লেক থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অমিতকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তেরা গরফা ও কসবা থানা এলাকার বাসিন্দা। মত্ত অবস্থায় দুই দলের সংঘর্ষ হয় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|