জেলা পুলিশ সুপারের নামে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ তুললেন সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুবীর বিশ্বাস। রবিবার রায়গঞ্জের সুপার মার্কেট সিটুর জেলা অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি ওই অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্য নিয়োগ করা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলার বিভিন্ন ব্লকে না কি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে ব্যক্তিগত নিরাপত্তরক্ষীদের তুলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে পাঠানো হচ্ছে। সুবীরবাবু বলেন, “আদপে ওই সমস্ত লিখে পুলিশ সুপার নিজেই উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। অন্য দিকে পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করে বাসিন্দাদের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলছেন। তা ছাড়া ওই চিঠিতে নিরাপত্তারক্ষী বাবদ টাকা চাওয়া হয়েছে। তাতে অপমানিত বোধ করছি। বিষয়টি লিখিত ভাবে পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। তিনি চিঠি পাঠিয়ে লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ না-করলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাব।” পুলিশ সুপার বলেন, “সুবীরবাবুর চিঠি এখনও হাতে পাইনি। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলব না। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিরাপত্তা রক্ষীর জন্য টাকা বকেয়া থাকায় সরকারি নির্দেশ মেনে চিঠি পাঠানো হয়েছে।” সুবীরবাবুর অভিযোগ, তিনি নিজে নিরাপত্তারক্ষী চাননি। গত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী বীরেশ্বর লাহিড়ির নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। সেই সুবাদে নিরাত্তারক্ষী পান। সেই কারণে তাঁকে পুলিশের তরফে নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া হয়। নিরাপত্তা রক্ষীর বিল মেটানো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপারের নির্দেশে নিরাপত্তা রক্ষীরা নিজেরাই চলে গিয়েছে। পুলিশেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীর খরচ বাবদ প্রায় ৬৩ লক্ষ টাকা বিল রাজ্য সরকারকে না মেটানোয় নিরাপত্তা রক্ষী ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। |