পরিবর্তনের ছোঁয়া সর্বত্র লাগলেও লাগেনি সেই বাড়ির পুজোয়। আজও সেই পুরনো আদব-কায়দা, রীতি-নীতি মেনে পুজো হয়ে চলেছে বোলপুরের দে-বাড়িতে। এ পুজোর বয়স ছুঁতে চলল দুই এক শতক। পুজো শুরু হয়েছিল সুপুর গ্রামে, ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে, শুরু করেছিলেন সুস্বরমণি দেবী। ১৮৫৯-এ এ অঞ্চলে রেললাইন পাতার বছরখানেক আগে সুস্বরমণি দুই পুত্র, এক কন্যা আর পঞ্চাশটি টাকা হাতে করে চলে আসেন বোলপুরে। সঙ্গে এলেন গৃহদেবী দুর্গাও। সেই থেকে পুজোর ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। প্রতিমার অঙ্গসজ্জার জিনিসপত্র বরাবর কলকাতা থেকেই কিনে আনা হয়, বাড়ির ছেলেমেয়েরা প্রতিমা সাজান এক পক্ষ ধরে। একচালের প্রতিমা, নির্মাণ করেন শশিভূষণ পাল। এখনও কাহার বা মাঝি সম্প্রদায়ের মানুষদের কাঁধে চেপেই বিসর্জন হয়। পরিবারের এই প্রজন্মের সদস্য ব্রতীন দে জানালেন, এক সময় ক্ষিতিমোহন সেন, অমিতা সেন, অন্নদাশঙ্কর রায়, নন্দলাল বসু, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রামকিঙ্কর বেইজ, ভবতোষ দত্ত, প্রবোধচন্দ্র সেন প্রমুখ নিয়মিত আসতেন পুজোয়।
|
এক কংগ্রেসকর্মীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল কিছু চাঁদা আদায়কারীর বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে সাঁইথিয়া থানার কুণ্ডলা গ্রামের কাছে, সাঁইথিয়া-লাভপুর রাস্তায়। জয়ন্ত চক্রবর্তী নামে ওই কংগ্রেসকর্মী বাড়ি কীর্ণাহারের জুবুটিয়া গ্রামে। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি মিরিটীর কাছেই এই গ্রাম। ঘটনাচক্রে দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রণববাবু এ দিনই গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। জয়ন্তবাবুর অভিযোগ, তিনি দলের কিছু ব্যানার ও প্রণববাবু ও সনিয়া গাঁধীর ঈদ ও শারদোৎসবের শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে গাড়িতে নলহাটি যাচ্ছিলেন। কুণ্ডলার কাছে এক দল যুবক পথ আঠকে চাঁদা চায়। রাজি না হওয়ায় তাঁকে ও তাঁর গাড়ির চালককে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। জয়ন্তবাবু সাঁইথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। |