বাঙালিয়ানা আর পরিবার

সপ্তমীর ‘নায়িকা’
খাওয়াদাওয়ায় আর মনে আমি আদ্যোপান্ত বাঙালি হলেও সাজের ব্যাপারে কোনও ন্যাকা বাঙালিয়ানায় নেই! সেখানে আমি একদম বড় পর্দার গ্ল্যামারাস নায়িকা শ্রাবন্তী হয়েই থাকব। ‘রিল লাইফ’ আর ‘রিয়েল লাইফ’-এ কোনও ফারাক রাখব না। সপ্তমীর স্পেশাল সাজে তাই ময়ূরকণ্ঠী সবুজ আর হলুদ কম্বিনেশনের শিফন শাড়ি। একদম ফিল্মি যাকে বলে! কানে ম্যাচিং হলুদ-সবুজ দুল। ভারী গয়না পছন্দ করি না। শু্যটিং না থাকলে একেবারেই ও সব গয়নার ধার ধারি না। সপ্তমীর দুলটা ভারী পরছি তাই গলায় আর কিছু না। তাতে লুকটা খুলবে ভাল। সঙ্গে হাতে এক গোছা চুড়ি। কপালে টিপ।

মেপে খাওয়া-দাওয়াকে সি এল দিলাম
পুজোয় মেপে খাওয়া-দাওয়া? মাথা খারাপ? রোজকার জীবনেই ডায়েটিং করতে কালঘাম ছুটে যায়। অথচ আমি যে খেতে কী ভালবাসি! এই তো সে দিন শু্যট করতে গিয়ে ১৪টা ফুচকা খেলাম! তা ছাড়া আমার ফ্যানেরা ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’র দৌলতে আমার নাম দিয়েছে ‘কলকাতার কোকা কোলা’! তাই বেশি রোগা হলেই বকুনি খাব। পুজোয় আমাদের ফ্ল্যাটে চার দিনই ভোগ রান্না হয়। সে সব তো খাবই। কিন্তু সে তো নিরামিষ আর আমি হলাম আমিষের পোকা। ফাটিয়ে মাছ-মাংস খাব তাই। পুজোর একদিন আমার স্কুলের বন্ধুদের বাড়িতে ডাকব। রান্না করে খাওয়াব। একেবারে বাঙালি আমিষ রান্না। মাংসটা আমি বেশ রাঁধি। রাজীব দেশি মুরগি খেতে ভালবাসে। কষা মাংস করব। শাশুড়ি কৃষ্ণনগরের বাগান থেকে হলুদ পাঠান রান্নার জন্য। সেটা বিশেষভাবে ব্যবহার করব। পার্শে মাছের ঝালও আমরা খুব পছন্দ করি। সেটাও করতে পারি। মোগলাই রান্না-টান্না মানে বিরিয়ানি বা রেজালা আমার দ্বারা হয় না। রাজীব খেতেও পছন্দ করে না। তাই আমাদের পুজোর রান্না মানে একদম বাঙালি খাবার।


এই চার দিন জিমের দরজা বন্ধ
পুজোর চার দিন জিমের দরজা আমার জন্য এক্কেবারে বন্ধ। কোনও সিন-ই নেই! অবশ্য যখন জিম করি তখন খুব মন দিয়ে করি। জিমে আমার খুব কাজও হয়। কিন্তু তাই বলে পুজোয়? নো স্যার! তবে পুজোর আগে থেকেই একটু সাবধানে খাওয়া-দাওয়া করেছি। যেমন কার্বস কম। স্টু। প্রোটিনও মেপে। তবে ওই টুকুই। ভাত খেতে সাংঘাতিক ভালবাসি তো! বলতে পারেন ভাত-ই আমার নেশা। রাতে একটু ভাত না খেলে ঘুমই আসে না। পুজোয় আগে তো এ সব পেট পুরে খাব। বাকি ভাবনা পরে।

ফেসবুক-এ তো থাকতেই হবে
আমার ছবি ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’ তো পুজোতেই রিলিজ। সেটা কোন হলে কেমন চলছে সব খবরাখবর রাখতে হবে তো! আই-ফোনে ফেসবুকের খুব সুবিধে। ছবির পোস্টারও ফেসবুকে পোস্ট করেছি! ফ্যানেদের সঙ্গে পুজোতে সারাক্ষণ যোগাযোগ থাকবে ফেসবুকে। একটা ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও আছে আমার। তবে আইফোন-এ এখনও ডাউনলোড করিনি। সেই জন্যে ওটা কম ব্যবহার করা হয়। পুজোয় তো আর ল্যাপটপের সামনে বসা হয় না!

ফিটনেস এক্সপার্টের সাবধানবাণী
শ্রাবন্তী, আপনি কিন্তু ভুল করছেন! একটা ধরাবাঁধা ডায়েটে থাকেন সারা বছর। এই চারটে দিন লাগাম ছাড়া খাওয়া-দাওয়া করলে শরীরে তার ছাপ পড়বেই। শরীরে টক্সিন বেড়ে অবসাদ আসবে। সেই সব কাটিয়ে শেপে ফিরতে আর কাজে উৎসাহ পেতে হলে কতটা জিম করতে হতে পারে আপনি ভাবতেই পারবেন না। প্রচণ্ড খেলাম তারপর প্রচণ্ড জিম করে সব বার্ন করে ফেললামএই ধারণাটা কিন্তু ভুল। খাওয়া-দাওয়াটা পরিমিত রাখতেই হবে।

ছবি: রানা বসু
মেকআপ: নবীন দাস
স্টাইলিং: স্যান্ডি
ফিটনেস এক্সপার্ট: চিন্ময় রায়


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.