চা বাগানের পথ ধরে বনে ফেরার পথে নালায় পড়ে মারা গেল এক মাসের হস্তিশাবক। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের বানারহাট থানার হলদিবাড়ি চা বাগানে। ২২টি হাতির দল রেতির জঙ্গল থেকে তোলাপাড়া জঙ্গলে যাওয়ার পথে চা বাগানের নালায় শাবকটি পড়ে যায়। শাবকটি মারা যাওয়ার আগে হাতির দলটি দীর্ঘক্ষণ সেটিকে নালা থেকে তোলার চেষ্টা টালায়। ভোর বেলা শাবকটির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বনে ফেরে তারা। এদিন ভোরে শ্রমিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বনকর্মীরা নালা থেকে শাবকটির দেহ উদ্ধার করেন। জলপাইগুড়ি বন দফতরের এডিএফও কৌশিক চৌধুরী বলেন, “শ্রমিকরা হাতির ডাক শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। হাতির দল বহু চেষ্টা করে শাবকটিকে নালা থেকে উপরে তুলতে পারেনি। তবে হাতির পাল যে শাবকটিকে নালা থেকে তোলার চেষ্টা করে তার প্রমাণ মিলেছে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেতির জঙ্গল তোতাপাড়া জঙ্গলের যাওয়ার পথে প্রায়ই বুনো হাতির পাল হলদিবাড়ি চা বাগানকে করিডর হিসাবে ব্যবহার। |
বৃহস্পতিবার হাতির দলটি রেতি থেকে বার হওয়ার পরে খবর পেয়ে বনকর্মীরা দলটিকে নজর রাখতে শুরু করেন। যাতে হলটি লাগোয়া কোনও গ্রাম কিংবা বস্তিতে ঢুকে না-পড়ে। হাতির দল হলদিবাড়ি চা বাগানে ঢোকার পরে তোতাপাড়া জঙ্গলে যাওয়ার পরিচিত পথ ধরার পরে বনকর্মীরা ফিরে যান। কিন্তু বাগানের শ্রমিক লাইন থেকে আধ কিলোমিটার দূরে তোতাপাড়া জঙ্গল লাগোয়া বাগানের ৬ সি সেকশনে নালায় আচমকা দলে ছোট্ট সদস্যটি পড়ে যায়। প্রথমে কয়েকটি হাতি শুঁড় দিয়ে শাবকটি তোলার চেষ্টা করে। নালার ধারে থাকা চা গাছগুলির জন্য শাবকটিকে তুলতে সমস্যা হওয়ায় শুঁড় দিয়ে ৫-৬ টি গাছ উপরে জায়গাটি পরিষ্কার করে নেয় নেয় দলটি। কিন্তু গভীর নালা থেকে ছোট শাবকটিকে তোলা সম্ভব হয়নি। কাকভোরে কয়েকটি হাতি সমস্বরে চিৎকার করতে থাকে। সে সময় অনবরত হাতির চিৎকারে ঘুম ভাঙে শ্রমিকদের। ভোর ৬ টা নাগাদ কয়েকজন শ্রমিক দূর থেকে দেখতে পায় নালা ঘিরে হাতিগুলি দাঁড়িয়ে।
|
শিবানন্দ সেবাশ্রম তিরাট গ্রামে বৃক্ষরোপণ করল। দুঃস্থদের হাতে পুজোর পোশাকও তুলে দেওয়া হয়। ছিলেন স্বামী শিবানন্দ, রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেবু মুর্মু প্রমুখ। |