টুকরো খবর
সিঙ্গুরে আপিল করতে পারে অনুসারী শিল্পও
টাটারা তো আপিল মামলা করতেই পারেন। সেই সঙ্গে অন্য যে-সব ভেন্ডার অনুসারী শিল্প গড়ার জন্য সিঙ্গুরে লিজে জমি পেয়েছিলেন, তাঁরাও কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মামলায় যোগ দিতে পারবেন। শুক্রবার এই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের তৈরি সিঙ্গুর জমি আইনের বিরুদ্ধে টাটা মোটরস যখন মামলা করে, তখন ওই ভেন্ডারেরাও একই বিষয়ে মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। বিচারপতি জানিয়েছিলেন, টাটাদের দায়ের করা মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পরে ওই সব মামলার শুনানি হবে। কিন্তু ভেন্ডারদের মামলার শুনানির আগেই বিচারপতি টাটাদের মামলার রায় দেন। ভেন্ডারদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য শুক্রবার জানান, তাদের বক্তব্য শোনার আগেই হাইকোর্ট টাটাদের মামলার রায় দেওয়ায় অনুসারী শিল্প সংস্থাগুলি অসন্তুষ্ট। ওই রায় ভেন্ডারদের স্বার্থের পরিপন্থী। তাই ‘অসন্তুষ্ট পক্ষ’ হিসেবে তাঁদেরও আপিল মামলা করার অনুমতি দেওয়া হোক। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, রায়ে অসন্তুষ্ট হলে ভেন্ডারেরা সরাসরি আপিল মামলায় যোগ দিতে পারবেন।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে হেনস্থার অভিযোগ
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকায় হাঁটাচলায় সমস্যা আছে হাসিম চৌধুরীর। কিন্তু তার জন্য যে এমন ফ্যাসাদ তাঁর কপালে লেখা আছে, কে জানত। বর্ধমানে পূর্ত দফতরের কর্মী হাসিম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বাস ধরে আরামবাগে নামেন। বাসস্ট্যান্ডের কাছেই তাঁর বাড়ি। ওইটুকু পথ হেঁটে যেতে গিয়ে ব্লক পাড়ার মোড়ের কাছে পুলিশ তাঁকে দাঁড় করান। সন্দেহ, মাতাল হয়ে বেসামাল অবস্থায় আছেন হাসিম। কথায় বলে, পুলিশে ছুঁলে আঠারো ঘা। হাসিম কিছুতেই পুলিশকে বোঝাতে পারেননি, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকায় এ ভাবেই হাঁটাচলা করতে বাধ্য হন তিনি। কথায় কথায় ওই ব্যক্তির কয়েক জন প্রতিবেশীও চলে আসেন। তাঁরাও হাসিমের সমস্যার কথা বলেন পুলিশকে। কিন্তু তাতেও সন্দেহ দূর করা যায়নি পুলিশের। জোরজবরদস্তি তাঁকে থানায় তুলে আনা হয়। রাতে অবশ্য ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়া পেয়েছেন হাসিম। অকারণ হেনস্থা হওয়ার ঘটনা তিনি শুক্রবার জানিয়েছেন আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগীকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। হাসিম বলেন, “কত বার পুলিশকে বললাম, আমার শারীরিক সমস্যা থাকায় এ ভাবেই বেঁকে হাঁটতে হয়। মদ খাইনি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ধরে নিয়ে এল থানায়।” তাঁর প্রতিবেশী রত্না মণ্ডল, কাজল দে-রা বলেন, “উনি যে প্রতিবন্ধী, সে কথা পুলিশকে কিছুতেই বোঝানো গেল না। ঘটনা দেখে আমরাও তাজ্জব!” কী বলছে পুলিশ? তাদের সাফাই, কোনও রকম হেনস্থা করা হয়নি ওই ব্যক্তিকে। তবে, অস্বাভাবিক হাঁটা-চলা দেখে বিভ্রান্তি ঘটে গিয়েছে।

রামমোহনের মূর্তির আবরণ উন্মোচন খানাকুলে
খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির তহবিল থেকে ৩০টি মশারি দেওয়া হল খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে। শুক্রবার বিকেলে সেগুলি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী। বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, মাসখানেক আগে রোগীদের মশারির দাবি ছিল। অভিযোগ ওঠে, পুরনো মশারিতে মশা আটকানো যাচ্ছে না। সেই দাবি মেটানো হল পঞ্চায়েত সমিতি থেকে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন খানাকুল ১ বিএমওএইচ সব্যসাচী সাহা। এ দিন আরও দু’টি অনুষ্ঠান হয়েছে খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির তরফে। সমিতির নিজস্ব তহবিল থেকে অফিস চত্বরেই রামমোহন রায়ের আবক্ষ মূর্তি আবরণ উন্মোচন হয়। ব্লকের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিলের সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা পক্ষের তরফে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সংগৃহীত নিজস্ব তহবিলের কম পক্ষে ৫০ শতাংশ টাকা এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে খরচ করার কথা। বাকি টাকা সংশ্লিষ্ট দফতরের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জরুরি তহবিল হিসাবে খরচ করা যায়। অধিকাংশ টাকাই জরুরি খাতে ব্যবহার হয় বলেই অভিযোগ। এ বিষয়ে বিডিও সুপ্রভাতবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিল বাড়ানোর ক্ষেত্রে উদ্যোগী হওয়ার পাশাপাশি তা সদব্যবহারের দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।”

বধূর মৃত্যু, গ্রেফতার স্বামী
স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেরে পুলিশ তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনির মনোহরপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সালেমা বেগম (২২)। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই মনমালিন্য চলছিল। ঝামেলা মেটাতে মাস কয়েক আগে পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যস্থতায় এক বার সালিশিও ডাকা হয়। তাতেও অবশ্য দম্পতির সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ স্বামী শেখ রফিক পাড়ার লোকজনকে বাড়িতে ডাকেন। তাঁর স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পাড়ার লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ যখন আসে তার আগেই অবশ্য ওই বধূর মৃত্যু হয়েছে। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, “স্বামীর কথার মধ্যে পরস্পর বিরোধিতা আছে। বধূর কানে রক্তের দাগ এবং মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত মারধরের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ নির্দিষ্ট করে বলা যাবে।” ওই বধূর দাদা শেখ ইসরাইলের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ রফিককে পরে গ্রেফতার করে।

ডিজেলের অভাবে বাস কম আরামবাগে
নিজস্ব চিত্র।
ডিজেল সরবরাহের অভাবে আরামবাগে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপো থেকে শুক্রবার অধিকাংশ বাস বেরোতেই পারল না। কলকাতা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমানগামী ২২টি সরকারি বাস ছাড়ে এখান থেকে। এ দিন মাত্র ৬টি চলাচল করেছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে অসংখ্য নিত্যযাত্রীকে। সংস্থার ডিপো ম্যানেজার হারাধন সিংহরায় জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে ডিজেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এ দিন ৬টি মাত্র গাড়ি চালানো সম্ভব হয়েছে।” শুক্রবার বিকেলে অবশ্য ডিজেল সরবরাহ হয়েছে বলে ডিপো সূত্রের খবর। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় আজ, শনিবারও সব গাড়ি চালানো যাবে না বলে আশঙ্কা কর্মীদের।

খানাকুলের ওয়েবসাইট
শুক্রবার আরামবাগ মহকুমার খানাকুল ১ ব্লকের ওয়েবসাইট আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হল। এটির উদ্বোধন করেন আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী। প্রশাসন সূত্রের খবর, www.bdokhanakul1.org লিঙ্কে ক্লিক করলে সংশ্লিষ্ট ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েতের হাল-হকিকত জানা যাবে। এ বিষয়ে খানাকুল ১ বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, একশো দিনের কাজের প্রকল্প, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির নানা ভাতা, সহায়তা প্রকল্প-সহ যাবতীয় কর্মসূচির গতিপ্রকৃতি জানা যাবে এই ওয়েবসাইট থেকে। নিয়মিত যাতে ওয়েবসাইটটি আপডেট করা হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

লরির ধাক্কায় মৃত্যু
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। নাম ইয়াসিন মোল্লা (২৮)। বাড়ি হাড়োয়ার মেখলা গ্রামে। শুক্রবার ভোরে মোটরবাইকে হয়ে ঘটকপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে বাসন্তী মোড়ের কাছে একটি লরি বাইকটিকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.