নিমতৌড়িতে অসুস্থ ৫৩ স্বাস্থ্যকর্মী, তদন্তে স্বাস্থ্য দফতর |
প্রশিক্ষণ নিতে এসে স্বাস্থ্যকর্মীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গড়ে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দাস। তমলুকের নিমতৌড়িতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ভবনে প্রশিক্ষণ নিতে এসে রবিবার রাত থেকে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৫৩ জন ‘আশা’কর্মী। আবাসিক ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাসি খাবার পরিবেশন করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান চিকিৎসকেরাও। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেনের অভিযোগ, “উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও আগের বামফ্রন্ট সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ‘আইকেয়ারকে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই সময়ই জেলা পরিষদের তরফে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম আমরা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার গাফিলতিতেই এতজন স্বাস্থ্যকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।’’ যদিও ‘আইকেয়ারে’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর পুলক সাহু বলেন, “অব্যবস্থার অভিযোগ ঠিক নয়। এর আগেও তমলুকের ওই কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ হয়েছে। তখন এরকম কোনও অভিযোগ আসেনি।” এ দিকে, সোমবারই জেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪১ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার বাকি চার জনকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
|
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শিলান্যাস |
নন্দীগ্রামের মহেশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবন নির্মাণের শিলান্যাস করলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সোনাচূড়াতেও একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠানে জানান শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন, “নন্দীগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি কেনার জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ২৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বর্তমানে শুধু বহির্বিভাগই রয়েছে। বেহাল এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ১০ শয্যাবিশিষ্ট করা হচ্ছে। নতুন ভবন, চিকিৎসক-কর্মীদের আবাসন, সীমানা প্রাচীর তৈরি ও নলকূপ বসানোর জন্য জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন থেকে ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ দিন শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন, বিধায়ক ফিরোজা বিবি, নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহের, শেখ সুফিয়ান প্রমুখ।
|
লক্ষ্মণের মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো দেখতে নির্দেশ |
সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের হলদিয়ার ‘বিতর্কিত’ মেডিক্যাল কলেজটির প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা একটি পাল্টা আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশ দিয়েছে। তা ছাড়াও ওই কলেজটিতে সরকার নিজের মেধা তালিকা অনুযায়ী যে ৫০ জন পড়ুয়া ভর্তি করতে পারবে, তাঁদের নামের তালিকাও অবিলম্বে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল ফের ওই মামলার শুনানি। রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, লক্ষ্মণ শেঠের ‘হলদিয়া ইন্সটিটিউট অফ ডেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠানটির পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয় উন্নতি না ঘটিয়েই সেটিকে ‘আই কেয়ার ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ অ্যান্ড বি সি রায় হাসপাতাল’ হিসেবে দেখিয়ে কলেজ প্রশাসন এমবিবিএস পাঠ্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি শুরু করেছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ২৯ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে থাকা স্বাস্থ্য দফতর ওই কলেজটিকে অবৈধ বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে কলেজ। ১৬ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানি হয়। সেখানে রাজ্যের কেউ না থাকায় একতরফা অন্তর্বর্তী রায় পেয়ে যান কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাই আজ রাজ্যের পক্ষ থেকে কলেজটি অবৈধ বলে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাল্টা আবেদন করা হয়েছিল।
|
কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ৫ ঘণ্টা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে হেমতাবাদ ব্লক হাসপাতালে। দক্ষিণ হেমতাবাদের প্রায় শতাধিক বাসিন্দা কয়েকজন চিকিৎসককে ঘেরাও করে রাখেন। তাঁদের অভিযোগ, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ দক্ষিণ হেমতাবাদ এলাকার বাসিন্দা হালেমা খাতুন নামে প্রসূতিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে না দেখেই ফিরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। ওই প্রসূতিকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। হেমতাবাদ ৪ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সইফুর রহমান বলেন, “ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করে চিকিৎসকের শাস্তির দাবি করা হয়েছে।” হেমতাবাদ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ধনঞ্জয় বণিক বলেন, “অভিযোগ সঠিক নয়। ওই প্রসূতিকে পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে রেফার করেন।”
|
রাজ্যে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘ন্যাশনাল ড্রাগ ফোরাম’ তৈরির প্রস্তাব উঠল। মঙ্গলবার মধ্য কলকাতার তালতলায় ‘পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’র উদ্যোগে আয়োজিত এক স্বাস্থ্য শিবিরে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই প্রস্তাব রাখেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অলোক দাশগুপ্ত। অলোকবাবু বলেন, “বিভিন্ন ব্র্যান্ড একই ওষুধ বিভিন্ন দামে বাজারে বিক্রি করায় ওষুধের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ফলে, চিকিৎসা করাতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছেন তাঁরা। তাই রাজ্যে ন্যাশনাল ড্রাগ ফোরাম তৈরির কথা রাজ্য ও কেন্দ্রকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।” এ দিন শিবিরে ১২ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। শিবিরের উদ্বোধন করেন চিকিৎসক সুবীরকুমার দত্ত। অলোকবাবু আরও জানান, পুজো কমিটিগুলির কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে তারা পুজোর বরাদ্দ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ভূমিকম্প ও বন্যা পীড়িতদের জন্য দান করেন।
|
গাঁটে ব্যথা, জ্বর, দাঁত বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়ার মতো অসুস্থতা বারবার দেখা দিলে সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকেরা। এ সব ক্ষেত্রে ঝুঁকি না নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি। কারণ এই লক্ষণগুলি ‘ক্রনিক মায়লয়েড লিউকোমিয়া’র কারণ হতে পারে। এই রক্তের ক্যানসারে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রতি বছর নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ৩ হাজার জন। ভারতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মোট ৮৫০ জন ‘ক্রনিক মায়লয়েড লিউকোমিয়া’ আক্রান্ত রোগী এক সঙ্গে তৈরি করেছেন ‘রেড টাচ’ নামে এক সংগঠন। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করল ওই সংগঠন। সংগঠনের সদস্যরা জানালেন, জেলায়-জেলায় রক্তের ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা অভিযান চালাবেন তাঁরা। |