স্থানীয় সিংহরায় পরিবারের দান করা জমি এবং রাজেশ্বরী দেবীর আর্থিক সহায়তায় ১৮৮৮ সালে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজেশ্বরী দেবীর নামেই বিদ্যালয়ের নামকরণ। পরবর্তীকালে ব্রহ্মচারী জ্যোতির্ময় চৈতন্য মহারাজ, স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় বিদ্যালয় নতুন প্রাণ পায়। বিদ্যালয়ের রূপকার চৈতন্য মহারাজ এখানে প্রধান শিক্ষকের পদে আসীন ছিলেন। তিনি ১৯৬১ খ্রীষ্টাব্দে শিক্ষার প্রসার এবং সুশাসক হিসেবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের হাত থেকে ‘জাতীয় শিক্ষক’-এর পুরস্কার গ্রহণ করেন।
|
বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে অনেকটা জায়গা নিয়ে। স্তর অনুযায়ী ক্লাসরুমগুলি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এখানকার প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী সকলেই ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আন্তরিক। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয়। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নিয়মিত কম্পিউটার ক্লাস হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ‘এডুকেশন’ ও ‘কম্পিউটার’ পাঠ্যক্রম চালু করা খুবই প্রয়োজন। খেলাধূলাতেও আমাদের স্কুলের ছেলেমেয়েরা পারদর্শীতার ছাপ রেখে চলেছে। বহু ছাত্রছাত্রী রামহাটিতলা থেকে দ্বীপা চৌমাথা রাস্তা ধরে যাতায়াত করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তাটি বেহাল। ফলে, ছাত্রছাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। বিদ্যালয়ের আরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য। তবে, এ জন্য সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা কাম্য। সরকারি অনুদানও দরকার। |
হরিপালের প্রত্যন্ত গ্রাম দ্বারহাট্টা। এই গ্রাম তো বটেই, আশপাশের এলাকার শিক্ষার প্রসারে সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এই প্রতিষ্ঠান। জ্যোতির্ময় চৈতন্য মহারাজের সময়েই এই বিদ্যালয় উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়। গাছগাছালিতে ঘেরা এই বিদ্যালয় চত্বর একটি ছেলে বা মেয়ের পড়াশোনা এবং মানসিক বিকাশের পক্ষে আদর্শ। শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী সকলের সঙ্গেই পড়ুয়াদের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। পড়াশোনায় জোর দেওয়া ছাড়াও অঙ্কন, হস্তকলা, সঙ্গীত, নৃত্য, ক্যুইজ ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষকরা সব সময় আমাদের অনুপ্রাণিত করেন। গ্রন্থাগারটিও উন্নত মানের। |