সোমবার সন্ধে থেকে রাতভর নিষিদ্ধ শব্দবাজি পুড়ল জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায়। মঙ্গলবার মহালয়ার ভোরে বাজি পোড়ানো তুঙ্গে ওঠে। দুপুর পর্যন্ত টানা শব্দবাজি পুড়েছে। মহালয়ের সকালে শহরের তিস্তা পাড়ের জুবলি পার্ক, করলা নদীর ওপরে নতুন সেতু এলাকায় তরুণী ও মহিলাদের একাংশের দিকে একশ্রেণির মদ্যপ যুবকদের বাজি ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি নিরঞ্জন সরকার বলেন, “কিছু শব্দবাজি ফেটেছে সত্যি। তবে শহর কোনও বাজার থেকে শব্দবাজি পাওয়া যায়নি। সবই বাইরে থেকে সরবারহ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” শহরবাসীর অভিযোগ, শহরের বেশির ভাগ বাজির দোকানেই লুকিয়ে শব্দবাজি বিক্রি হয়েছে কয়েকদিন ধরে। সোমবার বিকেলের পরে দিনবাজার-সহ বেশ কিছু এলাকায় প্রায় প্রকাশ্যেই শব্দবাজি বিক্রি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে শহরবাসীকে একটানা শব্দবাজির দাপট সহ্য করতে হয়েছে। শহরের হাসপাতাল ও বেসরকারি নার্সিংহোম লাগোয়া এলাকাগুলিতেও দেদার বাজি ফেটেছে বলে অভিয়োগ। এমনকী খোদ কোতোয়ালি থানার আশেপাশেও বাজি ফেটেছে। শহরের পরিবেশ প্রেমী সংস্থা সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রাজা রাউত বলেন, “বাজির তাণ্ডবে শব্দদূষণ মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে বয়স্ক ও অসুস্থদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। প্রশাসন থাকতে কীভাবে এই ঘটনা সম্ভব হল কে জানে!” পরিবেশ কর্মী ভাস্কর দাস জানান, তাঁরা নেচার ও ট্রেকার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে রবিবার শব্দবাজির বিরুদ্ধে একটি সচেতনতা শিবিরও করেছিলাম। কিন্তু তার এমন পরিণতি হবে ভাবতেই পারিনি। প্রশাসনের ভুমিকাও বোঝা গেল না।”
|
কাঠ পাচার বন্ধে পথে নামলেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। মঙ্গলবার বনমন্ত্রীর দেওয়া খবরের ভিত্তিতে মাথাভাঙায় বেআইনি কাঠ-সহ একটি ট্রাক আটক হয়। তদন্তে নেমে বন দফতর ঘোকসাডাঙা এলাকার একটি করাত কলও বন্ধ করে দেয়। ওই ঘটনায় বন প্রশাসনে হইচই পড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মাথাভাঙা থেকে চকিয়ারছড়া পর্যন্ত এলাকা জুনে কাঠ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য খতিয়ে দেখতে পথে নেমেছিলেন বনমন্ত্রী। মাঝপথে মোবাইলে খবর পান বেলতলা এলাকায় বেআইনি কাঠ-সহ ট্রাক আটকেছেন বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি বনমন্ত্রী সেদিকে ছুটে যান। বন কর্তাদের তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই তদন্তের ভিত্তিতে ট্রাকটি আটক করা হয়। যে করাত কলে কাঠ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটিও সিল করে দেওয়া হয়। বনমন্ত্রী বলেন, “পাচার রুখতে লাগাতার অভিযান চলবে।”
|
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক বধূর। মৃতার নাম আরাধনা দত্ত (২৬)। বাড়ি ময়ূরেশ্বরের বড়তুড়ি গ্রামে। সোমবার সন্ধ্যায় গোয়াল ঘরে কাজ করার সময়ে ওই বধূকে সাপ ছোবল মারে। রামপুরহাট হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। |