ট্রেন বাঁচানোয় দু’ভাইকে সংবর্ধনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
এই বাড়িতেই বাস রাজুদের। নিজস্ব চিত্র। রেললাইনে ফাটল দেখে ট্রেন বাঁচানোয় দুই ভাইকে সংবর্ধনা দিল কালনা পুলিশ ও পূর্ব সাতগাছিয়া পঞ্চায়েত। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় পূর্ব সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তাদের হাতে নতুন জামাকাপড় আর টাকা তুলে দেওয়া হয়। সোমবার সকালে স্কুল যাওয়ার পথে পাঁচ বছরের শুভঙ্করই দেখেছিল, অম্বিকা কালনা ও গুপ্তিপাড়া স্টেশনের মাঝে লাইনে ফাটল। সঙ্গে ছিল ভাই, চার বছরের রাজু। কাছেই রেলপাড়ের ঝুপড়িতে ফিরে গিয়ে বাবাকে খবর দেয় সে। তার পরেই বাবা-মা আর দুই ছেলে হাতে লাল কাপড়-গামছা নিয়ে লাইন ধরে হাঁটতে শুরু করেন। খবর পেয়ে লেভেলক্রসিংয়ের গ্যাংম্যান লাল নিশান নেড়ে ধেয়ে আসা হাওড়া-কাটোয়া লোকাল থামান। যাত্রীরা নেমে দুই ভাইকে কোলে তুলে নেন। কিছু টাকাও দেন কেউ কেউ। এ দিনও যেমন পুলিশ-প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে কিছু সাহায্য করা হয়েছে। যদিও রেলপাড়ে অস্থায়ী ঝুপড়িতে থাকা দুই খুদের তাতে দিন বদলাবে না। তবে পঞ্চায়েত প্রধান জগবন্ধু মণ্ডলের আশ্বাস, “আমরা খাসজমি খুঁজছি। তা পেলেই ওদের পাট্টা দিয়ে ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে।” |
তালা ভেঙে চুরি দোকানে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
থানা থেকে মাত্র ১০০ মিটার একটি দোকানে দূরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে দোকান খুলতে এসে ঘটনা জানতে পারেন দোকানের মালিক। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনার শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাহা লেনের কাছে আসানসোল দক্ষিণ থানার ঠিক উল্টো দিকে জিটি রোডের পাশে সুপার মার্কেটের একটি কম্পিউটর দোকানে চুরি হয়েছে। কয়েকটি কম্পিউটর ও ল্যাপটপ চুরি করেছে দুস্কুৃতীরা। দোকানের মালিক সন্দীপ মুখোপাধ্যায় পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন সাটারের তালা ভাঙা। তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে,তল্লাশি চলছে। এ দিকে থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সাটারের তালা ভেঙে দোকানে লুঠপাট হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। পুলিশ অবশ্য তা অস্বীকার করেছে। |
বুদবুদে মিলল যুবকের দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুদবুদ থানার বাইপাসে সোমবার গভীর রাতে দেহটি মেলে। পুলিশ জানায়, মৃত ওমপ্রকাশ চৌধুরীর (৩৮) বাড়ি মানকর রোডের রবিতীর্থ পল্লিতে। বীরসিং মোড়ে তাঁর একটি হোটেল আছে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গভীর রাতে পরিজনেরা জানতে পারেন, রাস্তার ধারে ওমপ্রকাশবাবুর দেহ পড়ে আছে। পুলিশ তাঁর মোবাইল ফোনটি নিয়ে গিয়েছে। |