চিঠি শিল্পমন্ত্রীকে
সংশয় কাটাতে পার্থর সঙ্গে বৈঠক চায় চাঙ্গি
ন্ডালের বিমাননগরী প্রকল্প ঘিরে তৈরি হওয়া সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্ট ইন্টারন্যাশনার সংস্থা। এ জন্য পার্থবাবুকে তারা একটি চিঠিও দিয়েছে। বিমাননগরী প্রকল্পে চাঙ্গিই একমাত্র বিদেশি সংস্থা, যাদের অংশীদারি রয়েছে। সূত্রের খবর, পুজোর পরে ওই বৈঠক হতে পারে।
অন্ডালের প্রকল্পে চাঙ্গি মূলত একটি আন্তজার্তিক মানের বিমানবন্দর তৈরির দায়িত্বে রয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর পার্থবাবুকে চিঠি লেখেনচাঙ্গির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার লিম লিয়াং সং। তাতে তিনি বলেছেন, বিমাননগরী প্রকল্পে ২৬% অংশীদারি রয়েছে চাঙ্গির। আন্তজার্তিক মানের এই আঞ্চলিক বিমানবন্দর তৈরি করতে তাঁরা প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। বিমাবন্দরের নকশাও তৈরি করেছেন তাঁরা। বিমানবন্দরের সঙ্গে নগরীর নকশা ও পরিকল্পনা তৈরির ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা রয়েছে। তাই অন্ডালের প্রকল্পটি সঠিক ভাবে রূপায়ণ করতে সরকারের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন চান লিম লিয়াং সং।
সেই সঙ্গে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠকের সময় চেয়ে আর্জিও জানিয়েছে চাঙ্গি সংস্থা। কারণ, এ রাজ্যে সরকার বদলের পরেই বিমাননগরী প্রকল্প নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। চাঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে প্রকল্পটি তৈরি করছে বেঙ্গল এরোট্রোপলিস প্রজেক্ট লিমিটেড (বিএপিএল)। প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে ২১৬০ একর জমির উপর। কিন্তু সম্প্রতি ওই জমির অতিরিক্ত মূল্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাই নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রকল্প-কতৃর্পক্ষের আলোচনা হলেও এখনও জট খোলেনি। প্রকল্পটির ক্ষেত্রে নতুন সরকারের ভূমিকা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে চাঙ্গি।
সংশয়ের কারণ, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিমাননগরী প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার। এর পরেই তিনি সিঙ্গাপুর সরকারের কাছে ‘নেতিবাচক’ রিপোর্ট পাঠান। তাতে সরকারের ভূমিকা ‘যথেষ্ট’ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রকল্পটি নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট নয় বলে মনে করেন তিনি। এরোট্রোপলিস সূত্রে খবর, সরকারের অবস্থান জানতেই শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আর্জি জানিয়েছে চাঙ্গি। চিঠিতে এই প্রসঙ্গের উল্লেখ না করেও বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পের কিছু সমস্যা নিয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। কারণ, আপনার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’
প্রশাসন সূত্রে খবর, বিমাননগরী প্রকল্পের জন্য কেন এত জমি লাগবে (২১৬০ একর), তাই নিয়ে সরকারের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। সংস্থার দাবি, বিশ্বের ৩ জায়গায় এই ধরনের প্রকল্প (এরোট্রোপলিস) তৈরি হয়েছে অনেক বেশি জায়গা নিয়ে। যেমন, কোরিয়ার ইচিয়ন (১৩,৮০০ একর), হংকংয়ের স্কাইসিটি (৩০৮৪) ও সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি (৪৫০০ একর)। অন্ডালের ২১৬০ একর জমিতে বিমানবন্দরের জন্য ৩০%, বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ২৯%, পুনর্বাসনের জন্য ২৩% ও আবাসনের জন্য ১৮% জমি লাগবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.