মুখোমুখি ১...
সেকেন্ড হাফ
ত্রিকা: আপনি নাকি সিকিমে ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিলেন?
ভাইচুং: বলতে পারেন আধ ঘণ্টার জন্য বড় বাঁচা বেঁচে গেছি। আমার গ্রামে পৌঁছনোর পাঁচ মিনিটের মধ্যে সে দিন ভূমিকম্প শুরু হয়ে যায়। তিরিশ সেকেন্ড মতো স্থায়ী ছিল ব্যাপারটা। কিন্তু ভীষণ স্ট্রং। চার দিক নাড়িয়ে দিয়েছিল।

পত্রিকা: কী মনে হচ্ছিল তখন?
ভাইচুং: প্রথম চিন্তা হচ্ছিল মাধুরী আর বাচ্চাদের জন্য। কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছিলাম না ওদের সঙ্গে। সব রকম কানেকশন চলে গিয়েছিল। দুম করে প্রচণ্ড জোরে একটা আওয়াজ হল। পরে শুনলাম, ওটা ধস নামার আওয়াজ। খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম যে গ্যাংটকের কী অবস্থা। দেড় ঘণ্টা পরে মাধুরীকে যোগাযোগ করতে পারি। জানলাম গ্যাংটক সেফ আছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিম। আর ইয়ুমথাং। তখন মনে হচ্ছিল আর আধ ঘণ্টা আগে এটা ঘটলে রাস্তার ধসে আমিও চাপা পড়তে পারতাম।

পত্রিকা: এই সব সময় কী মনে হয়?
ভাইচুং: প্রথম মনে হয় বিপর্যয়ে যেন গোটা পরিবার একসঙ্গে থাকতে পারি। তার পর মনে হতে থাকে জীবন কত পলকা।

পত্রিকা: আপনি হলেন সিকিমের অঘোষিত ‘রাষ্ট্রদূত’। ত্রাণ প্রকল্পে কী ভূমিকা নিচ্ছেন?
ভাইচুং: আমাকে এখনও কেউ কিছু বলেনি। আমি নিজেই কিছু এমএলএর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

পত্রিকা: যাই হোক আপনার বিরুদ্ধে একটা বড় অভিযোগ আছে।
ভাইচুং: (অবাক) অভিযোগ! কেন?

পত্রিকা: দুম করে রিটায়ার করে ফেললেন কেন?
ভাইচুং: (এত ক্ষণে আশ্বস্ত) ষোলো বছর খেলার পর রিটায়ারমেন্ট তো অনিবার্যই। আরে আমি তো চেয়েছিলাম এশিয়া কাপের পর রিটায়ার করতে। ওখানে মাত্র পনেরো মিনিটের জন্য নেমেছিলাম। তার পর ভাবলাম রিটায়ার করব ইংল্যান্ডে ট্যুরে গিয়ে। আইডিয়াল সময় হবে। দেখলাম চোটে এমন ধসে গেছি যে সেটাও হচ্ছে না। তখন জানিয়ে দিলাম।

পত্রিকা: স্বার্থপরের মতো কাজ হল না?
ভাইচুং: স্বার্থপর কেন? ফিট হতে বারবার চেষ্টা করছি আর পারছি না এমন অবস্থায় আর কী বা করণীয় ছিল আমার?

পত্রিকা: অন্যরা নিজের কথা ভেবে সরে যাবে। আপনি কেন নিজের কথাই শুধু ভাববেন? আপনি হলেন ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয়। আপনি চলে যাওয়া মানে তো দেশজ ফুটবলটাই মড়মড় করে ভেঙে পড়া!
ভাইচুং: দেখুন কোনও না কোনও দিন তো ছাড়তেই হবে। একটা সময় গিয়ে সবাইকেই শেষ করতে হয়। প্লেয়ার আসে। প্লেয়ার যায়। তারই মাঝে কোনও কোনও প্লেয়ার ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে। তা বলে সে কি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে নাকি? আমার সময় ছিল। আমার দশক ছিল। সেটা শেষ হয়ে গিয়েছে। কাল অন্য কেউ উঠে আসবে। ব্র্যান্ড হিসেবে যে ভাইচুং ভুটিয়ার চেয়ে অনেক বড় হবে।

পত্রিকা:সে কোথায়? ত্রিসীমানাতেও তো এমন কারও সাক্ষাৎ পাওয়া যাচ্ছে না।
ভাইচুং: আসবে। নিশ্চয়ই আসবে। পোস্টার বয় তুলতেই হবে। কিছু প্লেয়ার চাই যারা ব্র্যান্ড হয়ে যাবে। ক্রিকেটের মতো এমন কিছু মুখ চাই যাদের দেখে আমাদের দেশে ছেলেরা ফুটবল ধরতে চাইবে।

পত্রিকা: এমন নয় তো যে আপনার সরে যাওয়ার আসল কারণ ফুটবল ফেডারেশনের বব হাউটনকে তাড়িয়ে দেওয়া?
ভাইচুং: সত্যি নয়। আমার সিদ্ধান্ত সে বব থাকাকালীনই নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। ফিট হতে না পারলে আঁকড়ে থেকে কী লাভ।

পত্রিকা: হাউটনকে তাড়ানো নিয়ে আপনার ক্ষোভ নেই বলছেন?
ভাইচুং: ক্ষোভ তো আছেই। খুব অন্যায় অভিযোগ তুলে ওঁকে সরানো হয়েছিল। ভারতীয় ফুটবলে একটা লজ্জাজনক ঘটনা। আপনি বলতেই পারেন একটা লোক পাঁচ-ছ’বছর কোচ রয়েছে। আমি এ বার নতুন চিন্তাধারা আনতে চাইছি। তাই নতুন লোক চাই। তাই বলে যে লোকটা এত ভাল সার্ভিস দিল, তাঁকে অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেবেন?
পত্রিকা: আচ্ছা আপনার কার বিরুদ্ধে বেশি রাগ? কলকাতা মিডিয়া, না সত্তর আশির দশকের ফুটবলাররা?
ভাইচুং: ব্যক্তিগত ভাবে আমার কারওর ওপর নেই। কলকাতা মিডিয়া আমায় অনেক দিয়েছে। ফুটবলারদের যাঁদের কথা বলছেন, তাঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল।

পত্রিকা: কিন্তু এঁদের কেউ কেউ যখন বিশেষজ্ঞ হয়ে লিখতে গেছেন আপনার তীব্র উত্তেজনার কারণ হয়েছেন।
ভাইচুং: আসলে আমার ওঁদের ওপর রাগ হয়নি। হতাশ লেগেছে যে ওঁরা প্রেস সামলানোর কায়দাটা শেখেননি। সহজেই ওঁদের ভজিয়ে নিজের দিকে নিয়ে আসা যায়। ইউরোপে স্পোর্টসম্যানদের উঠতি বয়সে মিডিয়া ট্রেনিং দেওয়া হয়। এখানে সে সবের চল নেই। প্রাক্তনরা তাই বারবার ফাঁদে পড়েছেন।

পত্রিকা: আপনার মিডিয়া সামলানোর কৌশল কী ছিল?
ভাইচুং: কলকাতার একটা সমস্যা হল রিপোর্টাররা রোজ মাঠে আসেন আর প্রতিদিন কোট চান। প্রতিদিন কথা বলবেন কী। রোজ কথা বললে তো কাগজের পাঠকই আপনার ওপর শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলবে। প্রেস সামলানোয় সব চেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট হল এই সিদ্ধান্তটা যে কখন কথা বলবেন? কখন নিজেকে সরিয়ে নেবেন? আর একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কী বলছেন। সত্যি বলার মতো জরুরি কিছু আছে তো আপনার?

পত্রিকা: একটা কথা খুব শোনা যায় যে ষাট ও সত্তর দশকে ভারতীয় ফুটবল যে চেহারায় ছিল সেটা এখনকার যুগে বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে।
ভাইচুং: এটাই আমাদের সমস্যা। আমরা এখনও সেই পুরনো যুগের তামাক খেয়ে যাচ্ছি আর বাকি বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। কোথায় ছুটছে ঊর্ধ্বশ্বাসে! কাতার সেই সময় নিখাদ মরুভূমি ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ফুটবলই সে ভাবে শুরু করেনি। আজ ওরা সিস্টেম আর ঠিকঠাক প্রচারের গুণে কোথায় চলে গিয়েছে। অথচ আমাদের মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গল ৬০ বছর আগে যেখানে ছিল আজও সেই জায়গায়। আমায় বলুন তো কোথায় পরিবর্তন হয়েছে? কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে? এত বড় দু’টো ক্লাব। আজও তাদের নিজস্ব ট্রেনিংয়ের মাঠ আছে? আইএফএ অফিস আজও সেই ষাটের দশকে পড়ে। সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। প্লেয়ার তখনকার দিনে যেমন সই করতে ভিড় ঠাসা আইএফএ অফিসে যেত, আজও যায়। যার চল উন্নত ফুটবল দেশে কোথাও নেই। আসলে কী জানেন, আমাদের শুধু প্লেয়ারেরই দরকার নয়, আইডিয়ারও দরকার।

পত্রিকা: আমায় কেউ কেউ বলেছেন ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার পর ভাইচুং ভারতীয় ফুটবলের ললিত মোদি হতে চায়।
ভাইচুং: না না সে রকম কিছু নয় (অপ্রস্তুত)।

পত্রিকা: না করছেন কেন? এখন ললিত মোদি মহাবিতর্কিত নাম বলে?
ভাইচুং: যা-ই বলুন মোদি কিন্তু একটা দারুণ কাজ করে দেখিয়েছেন। পুরো ইউরোপীয় ফুটবলের কনসেপ্টটা উনি ক্রিকেটে নিয়ে এলেন। আইপিএল শুরু করার সময়। প্রশাসকদের আইডিয়া থাকতে হবে। ব্রেন থাকতে হবে। তবেই না। ভারতীয় ফুটবলে ললিত মোদির মতো কেউ থাকলে ভালই হত। যিনি দ্গিন্ত খুলে দেশজ ফুটবলকে নতুন মোহনায় পৌঁছে দিতেন। প্রশাসক টগবগে হলে, স্বপ্নদর্শী হলে কী হতে পারে, হাতের কাছে সব চেয়ে বড় নমুনা জাপান। কী ভাবে ওরা জে লিগ চালু করে ফেলল।

পত্রিকা: এআইএফএফ সচিব ভাইচুং ভুটিয়া, এটাও নাকি ভবিষ্যতের নিশ্চিন্ত পরিণতি?
ভাইচুং: ঠিক এই মুহূর্তে তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। ভবিষ্যতে অবশ্যই আমি ইনভলভড হতে চাই।

পত্রিকা: ভবিষ্যৎ মানে কী? এটাই তো আপনার জীবনের সেকেন্ড হাফ। ইনভলভড হতে গেলে তো এটাই সময়।
ভাইচুং: আমি তো অলরেডি প্রশাসক হয়েই গিয়েছি। একটা দলের মালিক হতে চেয়েছিলাম। সিকিম ইউনাইটেডের অন্যতম অংশীদার হয়ে সেই শখটা মিটেছে।

পত্রিকা: সিকিমের অন্যতম মালিক মানে আপনাকে তো একই সঙ্গে প্লেয়ার ক্যাচারের ভূমিকাও নিতে হবে।
ভাইচুং: অলরেডি তো নিতে হয়েছে। ন্যাশনাল টিম প্লেয়ারদের সঙ্গে আমিই তো কথা বলে কয়েক জনকে টেনে এনেছি। কী কঠিন যে তুমি ইন্ডিয়ায় খেলো অথচ দেশের দ্বিতীয় ডিভিশন লিগে খেলার জন্য সই করছ। প্লেয়ারদের বোঝানো খুব কঠিন।

পত্রিকা: ভবিষ্যতে এমনও তো হতে পারে টোলগে-কে রাখার জন্য ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ওর বাড়ি গিয়েছেন। একই সঙ্গে আপনিও গিয়েছেন টোলগেকে সিকিম ইউনাইটেডে খেলানোর জন্য।
ভাইচুং: হতে পারে।

পত্রিকা: ময়দানি কর্তারা দলবদলে আপনাকে হ্যান্ডল করার সময় অদ্ভুত একটা শব্দ প্রয়োগ করতেন। ভাইচুং, আপনি মানে বুঝবেন কি না জানি না। শব্দটা হল ছল্লিবল্লি। ওঁরা বলতেন প্রতিবার দলবদলের আগে ভাইচুং আমাদের নিয়ে ছল্লিবল্লি খেলে। এ বার তো সিকিম টিমে প্লেয়ারদের টানতে গিয়ে আপনার একই শব্দ মনে হতে পারে।
ভাইচুং: মানলাম না। আমি কখনও কাউকে নাচাইনি। আমি যখন ইয়েস বলেছি, তখন সেটা ইয়েসই থেকেছে। আমি এই চাপ দিয়ে দাম বাড়ানোয় কখনও বিশ্বাসী ছিলাম না।

বাছাই করা সেরা ভারতীয় দল
(যাদের সঙ্গে খেলেছি)
পত্রিকা: তাই?
ভাইচুং: তাই মানে? একদম তাই! আর আমি খুব বেশি লোকের সঙ্গে কথাও বলতাম না। তাতে জটিলতা- চাপ দু’টোই বাড়ে। ইস্টবেঙ্গলে আমি কথা বলতাম পল্টু দাশ আর বাবু ভট্টাচার্যের সঙ্গে। মোহনবাগানে দেবাশিস দত্ত আর টুম্পাই। এর বাইরে কখনও ঢুকিনি।

পত্রিকা: আপনার নেটওয়ার্কিং দক্ষতা সম্পর্কে অনেক কথা শোনা যায়। আপনার নাকি রাহুল গাঁধীর সঙ্গেও যোগাযোগ থাকে।
ভাইচুং: (কিছুটা অপ্রস্তুত) নেটওয়ার্কিং থাকাটা আজকের দিনে ভীষণ ভীষণ ইম্পর্ট্যান্ট। আমার যদি নেটওয়ার্কিং ক্ষমতা না-ই থাকত তা হলে ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন চালাতে পারতাম না।

পত্রিকা: আবার জিজ্ঞেস করি কলকাতা মিডিয়ার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ফুলে-কাঁটায়। কেন?
ভাইচুং: ওরা বড় বেশি নেগেটিভ লেখে।

পত্রিকা: সে তো শোনা যায় প্রাক্তন ফুটবলার- বিশেষজ্ঞদের বিরুদ্ধে আপনার ক্ষোভ যে তাঁরা নেগেটিভ।
ভাইচুং: বললাম তো, আজ আমি আর ওঁদের দোষ দিই না। দোষ দিই মিডিয়াকে যারা খুঁজে খুঁজে ঠিক ওই লোকগুলোকেই জোগাড় করেছে যারা বাঁকা কথা বলবে।

পত্রিকা: এ রকম হয় নাকি?
ভাইচুং: কেন হবে না? আমি মনে করুন আপনার বিরুদ্ধে লেখাতে চাই। আমি তো জানি কার কার গেছে গেলে অ্যান্টি কোট পাওয়া যেতে পারে। কে কে সমালোচনামূলক কথা বলবে না, এ বার সেই অনুযায়ী চললেই হল...আমি বুঝি এ সব।

পত্রিকা: পুরো ফুটবল মিডিয়াই তার মানে নেগেটিভ?
ভাইচুং: পুরো মিডিয়া নয়। শতকরা দশ ভাগ নেগেটিভ। যারা কেবল অ্যাঙ্গল খুঁজে চলেছে। একটা উদাহরণ দিই। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে আমি আর ব্যারেটো মনে করুন খারাপ খেললাম। পুরো লেখাটাই হবে আমাদের ব্যর্থতার ওপর। কেউ লিখবে না, কেউ বলবে না যে একটা না একটা সময় ওদের ব্যর্থতা অবশ্যম্ভাবী ছিল। কেউ বলবে না যে ভাইচুং ভাল খেলেনিটাকে পাত্তা না দিয়ে ওই নতুন ছেলেটার ওপর ফোকাস করো যে আজ দারুণ খেলেছে।

এখন জীবন
সিকিম ইউনাইটেড

ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন

ফুটবল স্কুল
ফুটবল অকাদেমি

পত্রিকা: সৌরভ। লিয়েন্ডার আর আপনি। একই সময়ে উঠে আসা কলকাতার তিন রত্ন। বন্ধুদের সম্পর্কে কী বলবেন?
ভাইচুং: লিয়েন্ডার আমার বাডি। বাডি বলার মতোই চরিত্র। আমরা একসঙ্গে পার্টি-টার্টি করি। কলকাতায় ও এলে একসঙ্গে ঘুরি। লি দারুণ ছেলে।

পত্রিকা: সৌরভ?
ভাইচুং: সৌরভের সঙ্গে দেখা অনেক কম হয়।

পত্রিকা: শোনা যায় আপনাদের সম্পর্কে সামান্য স্টিফনেস রয়েছে?
ভাইচুং: একদমই না। বরঞ্চ আমার একটা শ্রদ্ধা আছে ওর সম্পর্কে। আমার রেসপেক্ট হল যে সৌরভই প্রথম বাংলা আর ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে অ্যাগ্রেশন এনেছিল। প্রথমে ওই ঠিক করে দেয় আমরা ভারত তো কী। আমাদের ওপর চড়ে থাকতে কাউকে দেব না। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া কাউকে না।

পত্রিকা: রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে সবাই বলে আপনার দারুণ বন্ধুত্ব।
ভাইচুং: রাহুল দারুণ ছেলে। এত বড় ক্রিকেটার। অথচ কী সিম্পল। কোনও স্টার সুলভ হাবভাবই নেই। আমি ওর সঙ্গে ফিটনেস আর যোগাসন নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিয়েছি। রাহুল প্রচণ্ড ফোকাসড। ফিটনেস আর ট্রেনিং নিয়ে সাঙ্ঘাতিক চিন্তা করে।

পত্রিকা: ও! আর একটা জিনিস জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেলাম। অবসর জীবনে অবসর নেই বোঝা গেল। কিন্তু প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন আর সিকিম টিম বাদ দিলে হাতে আর কী আছে?
ভাইচুং: আমার নামে কিছু ফুটবল স্কুল রয়েছে। দিল্লিতে যেমন ভাইচুং ভুটিয়া ফুটবল স্কুল আছে। এর বাইরে কোচিং অকাদেমি। হাত ভর্তি বলতে পারেন।

পত্রিকা: মমতার ঘরে আপনার প্রবেশ জল্পনা তুলছে, এগুলোর বাইরে আবার তৃণমূলও নয়তো?
ভাইচুং: নো নো। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। তখন উনি বললেন, কলকাতায় কেন ফুটবল অকাদেমি করছি না? আমি ওঁকে কথা দিয়েছি সিকিমে আমার অকাদেমির ব্রাঞ্চটা এখানে খোলার চেষ্টা করব।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.