টুকরো খবর |
খড়্গপুর পুরবোর্ডে ভোটাভুটি, চাঞ্চল্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুরসভার অন্দরে এক ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল রেলশহর খড়্গপুরে। শুক্রবার খড়্গপুর পুরসভায় বোর্ড মিটিং ছিল। সেই মিটিংয়েই একটি প্রস্তাবের সমর্থনে এগিয়ে এলেন মাত্র ১৬ জন কাউন্সিলর। অথচ সেখানে ক্ষমতাসীন তৃণমূল ও তাদের সহযোগী কংগ্রেসের সম্মিলিত আসন সংখ্যা ২৯ (যথাক্রমে ১৫ ও ১৪ জন)! তৃণমূলের সঙ্গে নিজেদের ‘দূরত্ব’ বুঝিয়ে দিয়ে কংগ্রেস-শিবিরের বক্তব্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর যে ক্ষমতাসীনদের পাশে নেই, তাই প্রমাণ হয়েছে। খড়্গপুরে মোট ৩৫ জন কাউন্সিলর। তৃণমূল ও কংগ্রেসের ২৯ জন ছাড়া সিপিআইয়ের ৩ জন, সিপিএমের ১ জন, বিজেপি’র ১ জন ও নির্দল ১ জন (বামফ্রন্ট সমর্থিত)। সূত্রের খবর, বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় কী ভাবে কাজ হবে, এ দিন বোর্ড মিটিংয়ে সে প্রসঙ্গ ওঠে। পুরসভার তৃণমূল নেতৃত্ব একটি প্রস্তাব পেশ করেন। তার বিরোধিতা করেন কংগ্রেসের ১৪-জন সহ কয়েক জন কাউন্সিলর। শেষমেশ হাত তুলে ভোটাভুটির পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই সময় সিপিএম-সিপিআইয়ের ৪ জন কাউন্সিলর সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। এর পরেই কংগ্রেসের সমর্থনে এগিয়ে আসেন বিজেপি ও নির্দল কাউন্সিলররা। অর্থাৎ, কংগ্রেসের পক্ষে ‘সংখ্যা’ দাঁড়ায় ১৬। প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিশংকর পাণ্ডের বক্তব্য, “এ ঘটনা থেকে পুর-কর্তৃপক্ষের শিক্ষা নেওয়া উচিত। সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরই যে তাঁদের পাশে নেই, এ ঘটনা তারই উদাহরণ।” পুরপ্রধান তৃণমূলের জহরলাল পালের বক্তব্য, “এটা কোনও ভাবেই ভোটাভুটি নয়।”
|
চন্দ্রকোনার গ্রামে ফের গোলমালে শাসকদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
ফের ‘সন্ত্রাসে’ অভিযুক্ত তৃণমূল। মিছিল করে গ্রামে ঢুকে সিপিএম সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুঠপাট, মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের এক লোকাল কমিটির সদস্যের বাড়িতে অগ্নি-সংযোগেরও অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে চন্দ্রকোনা থানার পুড়শুড়ি গ্রামে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশি-টহল শুরু হয়েছে। সিপিএমের চন্দ্রকোনা-১ জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল চক্রবর্তীর অভিযোগ, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হামলায় আমাদের ১০ জন কর্মী জখম হয়েছেন।” অন্য দিকে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি চিত্ত পালের দাবি, “ওই গ্রামে আমাদের মিছিল চলাকালীন সিপিএমই পরিকল্পিত ভাবে গোলমাল পাকিয়েছে। আমাদের একাধিক সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট হয়েছে।” দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বেলা এগারোটা নাগাদ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সীতারাম ঘোষের নেতৃত্বে শতাধিক তৃণমূল সমর্থক লাঠি-লোহার রড নিয়ে মিছিল শুরু করে পুড়শুড়ি গ্রামে। আচমকাই তারা তাণ্ডব চালায়। অভিযোগ, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ১০-১২টি বাড়িতে ভাঙচুর-মারধর চলে। এমনকী মহিলাদেরও মারধর করা হয়। সিপিএমের লোকাল কমিটির সদস্য মন্মথ দোলইয়ের বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইতিমধ্যে বোমা ফাটিয়ে মিছিলের লোকজন বেটাগ্রাম এলাকায় চলে যায়। সিপিএম নেতা সুনীলবাবুর বক্তব্য, “ঘটনার পরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ প্রায় দু’ঘণ্টা পরে গ্রামে গিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না। পাশের বেটাগ্রামে ওদের মিছিল বন্ধ করারও চেষ্টা করেনি।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
কৃষি দফতরে তালা চাষিদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
সারের কালোবাজারি বন্ধ, সার ব্যবসায়ীদের দোকান-দোকানে তল্লাশি চালানো-সহ নানা দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে দাঁতন-২ ব্লক কৃষি দফতরে তালা ঝোলালেন চাষিরা। আন্দোলনকারী সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের ব্লক সম্পাদক বলরাম দাস বলেন, “চাষিরা যদি কোনও সহায়তাই না পায়, তা হলে আর কৃষি দফতর খোলা রেখে লাভ কী!” কৃত্রিম ঘাটতি তৈরি করে সারের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদেরই দায়ী করেন বিক্ষুব্ধ চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, এই সময় চাষে ইউরিয়া, ফসফেট ও পটাশের প্রয়োজন। কিন্তু বাজারে তা পাওয়া যাচ্ছে না। এ দিন দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের নিয়ে জাহালদা বাজারে সার দোকানগুলিতে তল্লাশিতে যান চাষিরা। ব্লক কৃষি আধিকারিক রামচাঁদ বেসরা বলেন, “চাষিদের দাবি মেনে বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবারও দোকানে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।”
|
পরীক্ষাগারে গেল হাড়গোড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে কিছু দিন আগে হাড়গোড় উদ্ধারের পরে সেগুলি গত বছর থেকে ‘নিখোঁজ’ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী যজ্ঞেশ্বর মাহাতোর বলে দাবি উঠেছিল। যজ্ঞেশ্বরকে খুন ও দেহ লোপাটের অভিযোগে সিপিএম নেতা-কর্মীদের নামে মামলাও দায়ের হয়েছে। সেই হাড়গোড় শনাক্তকরণে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসে সেগুলি সংগ্রহ করে নিয়ে গেলেন সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তদন্তও চালাচ্ছে সিআইডি। ডিএনএ টেস্টের জন্য এ বার পরিজনেদের রক্তের নমুনা
সংগ্রহ করেও সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
|
পূর্ত কর্মচারীদের সভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পূর্ত দফতরের কর্মচারীদের সভা হল শুক্রবার। এ দিন মেদিনীপুর শহরের ফিল্ম সোসাইটি হলে সভাটি হয়। সভায় একটি কমিটিও তৈরি হয়েছে। স্টেট গভনর্র্মেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের অন্তর্গত এই পিডব্ল্যুডি এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি হয়েছেন সুশান্ত রায় ও সম্পাদক হয়েছেন সনৎ হালদার। মোট ২১ জনের কমিটি তৈরি হয়েছে। এ দিনের সভায় সরকারি প্রকল্প রূপায়ণে কর্মচারীদের সহযোগিতার পাশাপাশি অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সভায় সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদক সুব্রত সরকার, বিধায়ক অজিত ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
|
শৃঙ্খলা ভাঙায় এ বার ব্যবস্থা আইআরবিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিক্ষুব্ধ আইআরবি জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলতে বৃহস্পতিবার বিনপুরের শিলদা শিবিরে গিয়েছিলেন ডিজি (সশস্ত্র বাহিনী) গৌতমমোহন চক্রবর্তী। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়ের কাছে তিনি একটি রিপোর্ট জমা দেন। গৌতমবাবু বলেন, আইআরবি কম্যান্ডান্ট অফিসারের কাছেও সবিস্তার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যাঁরা শৃঙ্খলা ভেঙেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গেই তিনি জানান, জওয়ানদের যে-সব দাবিদাওয়া ও অভিযোগ আছে, খতিয়ে দেখা হবে সেগুলিও। মঙ্গলবার প্রথমে শিলদা শিবিরেই জওয়ানদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। কেউ কেউ অনশনেও বসেন। ছুটি এবং পোস্টিং নিয়ে সব চেয়ে বেশি ক্ষোভ রয়েছে জওয়ানদের মধ্যে। বুধবার সেই ক্ষোভই ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। তবে বৃহস্পতিবারেই পদস্থ পুলিশ অফিসারদের হস্তক্ষেপে জওয়ানেরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
|
ফলপ্রকাশ হল না ডেবরায় |
ছাত্র সংসদের ভোট হল। কিন্তু ফলপ্রকাশ হল না। শুক্রবার এমনই ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা কলেজে। কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ মেনেই ফলপ্রকাশ করা হয়নি। কলেজ সূত্রে খবর, ছাত্র সংসদের ২৩টি আসনের মধ্যে এ দিন ১০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ভোট হয়েছে কোনও রকম গোলমাল ছাড়াই। কিন্তু কলেজে ভোটের পরিবেশই নেই, তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সম্প্রতি মেদিনীপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ডেবরা কলেজেরই ৩ ছাত্র। তাঁরা ছাত্র পরিষদের কর্মী বলেই পরিচিত। এরই প্রেক্ষিতে আদালত জানায়, কলেজ ভোটের ফলপ্রকাশ করা যাবে না। ডেবরা কলেজের অধ্যক্ষ গোপালচন্দ্র বেরা বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনেই ফলপ্রকাশ করা হল না।”
|
ফুটবল দাঁতনেও |
জনসংযোগের লক্ষ্যে পুজোর আগে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে দাঁতন থানা। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুক্রবার দাঁতন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে চকইসমাইলপুর পঞ্চায়েত, তুরকা পঞ্চায়েতের সঙ্গে তররুই পঞ্চায়েত ও দাঁতন ভট্টর কলেজের সঙ্গে আলিকষা পঞ্চায়েত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। |
|