টুকরো খবর
বৈঠকে পাক ও মার্কিন গোয়েন্দারা
সেনাপ্রধান, বিদেশমন্ত্রী ও শেষে গুপ্তচর সংস্থার প্রধান। এক সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানের তিন জন শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তির সঙ্গে কথা বলল আমেরিকা। হাক্কানি গোষ্ঠীর জঙ্গিরা কাবুলে একের পর হামলা চালানোয় কপালে ভাঁজ পড়েছে আমেরিকার। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে চাপ দিতেই পরের পর এই বৈঠক। কিন্তু আইএসআই-প্রধান সুজা পাশার সঙ্গে সিআইএ-র নতুন প্রধান জেনারেল ডেভিড পেট্রাউসের বৈঠকটি হয়েছে গোপনে। সরকারি ভাবে কোনও দেশই এই বৈঠকের কথা স্বীকার করেনি। এর আগে গত শুক্রবার মাদ্রিদে যৌথ বাহিনীর যুগ্ম চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইক মুলের সঙ্গে দেখা করেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসফাক পারভেজ কিয়ানি। তার পরই মুলে জানিয়েছিলেন, হাক্কানি গোষ্ঠীর সঙ্গে পাক গোয়েন্দাদের একাংশ তলায় তলায় যোগাযোগ রাখছেন কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর দু’দিন পর রবিবারই নিউ ইয়র্কে পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন। সেখানেও অন্যতম প্রসঙ্গ ছিল হাক্কানি জঙ্গিদের কার্যকলাপ।

দুই মার্কিন বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইরান
দু’বছর ইরানের জেলে বন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পাচ্ছেন দুই মার্কিন নাগরিক। ২০০৯ সালের ৩১ জুলাই উত্তর ইরাকে পর্বতারোহণ করতে গিয়ে ইরানে ঢুকে পড়েন তিন মার্কিন শেন বয়্যার, জশ ফ্যাটাল এবং সারা শ্রাউড। গত বছর সেপ্টেম্বরে জামিনে মুক্তি পান শ্রাউড। এ বার তাঁর দুই সঙ্গীকেও মুক্তি দিতে চলেছে ইরান। জেলেই বয়্যারের সঙ্গে বাগদান হয় শ্রাউডের। নিজের মুক্তির পর সঙ্গীদের মুক্তির জন্য প্রচারে নামেন শ্রাউড। তাঁর দাবি সমর্থন করেন মহম্মদ আলির মতো ব্যক্তিত্বও। গত সপ্তাহে আমেরিকার কিছু ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের একটি দল বয়্যার এবং ফ্যাটালের মুক্তির ব্যাপারে কথা রলতে তেহরান যান। এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজাদ দু’জনের মুক্তির কথা ঘোষণা করেন। মার্কিন সফরের আগে তাঁর এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

তদ্বির স্থায়ী সদস্যপদের
দুই প্রধানমন্ত্রী। জাপানের ইয়োশিহিকো নোডার সঙ্গে মনমোহন সিংহ। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে। ছবি: পি টি আই
নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মনমোহন সিংহ। এই বিষয়ে কূটনৈতিক তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। কিন্তু, স্থায়ী সদস্যপদের পথে এখনও অনেক বাধা। চলতি সফরে সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছে। জাপান, জার্মানি, ভারত ও ব্রাজিল, এই রাষ্ট্রগুলি একসঙ্গে স্থায়ী সদস্যপদের জন্য দরবার করছে। সেটা চিনের মনপসন্দ নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইতালি, মেক্সিকো, আর্জেন্তিনা, পাকিস্তানের মতো দেশগুলিকে নিয়ে চিন একটা আলাদা ‘কফি ক্লাব’ তৈরি করেছে। চিনের বক্তব্য, দল বেঁধে দরবার না করে আলাদা চলো। জাপান-ভারত জোট ভাল চোখে দেখছে না চিন।

কৃষ্ণ-খার কথা
পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণর আর এক প্রস্ত করমর্দন ও আলাপচারিতার সুযোগ হয়েছে। জার্মান দূতাবাস আয়োজিত ‘নিউ সিল্ক রুট’ নিয়ে এক আলোচনাসভায় চিন, জাপান, কাজাখস্তান, পাকিস্তান, আমেরিকার সঙ্গে ভারতও ছিল। পাকিস্তানের বন্যা নিয়ে সেখানে সহমর্মিতা দেখিয়েছে ভারত। সার্কের বিদেশমন্ত্রীদের নিয়েও একটি পৃথক বৈঠক হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.