বিমান প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে দর্শকদের মধ্যেই ভেঙে পড়েছিল বিমান। শুক্রবার আমেরিকার নেভাদার সব চেয়ে জনবহুল শহর রেনোয় সেই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। শুক্রবার ঘটনাস্থলেই বিমানচালক-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল।
দর্শকদের মধ্যে বিমান আছড়ে পড়ায় আহত হন ৭০ জনেরও বেশি। তাঁদের মধ্যেই গুরুতর আহত ৬ জন পরে মারা গিয়েছেন। আরও ছ’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার প্রায় ক্ষেপণাস্ত্রের মতো দর্শকদের দিকে ধেয়ে আসে ওই বিমানটি। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের (যেখানে দর্শকরা বসেন) কাছে আছড়ে পড়ে সেটি। কেউ বুঝে ওঠার আগেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বিমান। অভিজ্ঞ চালক এবং হলিউডের বিমানচালকের স্টান্টম্যান জিমি লিওয়ার্ড ‘পি-৫১ মুস্ট্যাং’-এর ককপিটে থাকলেও শেষ পর্যন্ত এড়ানো যায়নি এই দুর্ঘটনা। এর জেরে ঘটনাস্থলে তৈরি হয়েছে ৩ ফুট গভীর এবং ৮ ফুট চওড়া গর্ত। |
জাতীয় পরিবহণ সুরক্ষা বোর্ডের অফিসাররা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করেন। খুঁটিয়ে দেখেন বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন বিমানের একটি বিশেষ অংশ। ফুটেজ থেকে অফিসারদের ধারণা, বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার আগে প্রথমে মাটি ছুঁয়েছিল ওই অংশটি। বিমানের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সম্ভবত এই ছোট অংশটি সাহায্য করে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে এই অংশটি পরীক্ষা না করে কিছু বলছেন না অফিসাররা। তাই দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। দুর্ঘটনায় বহু মানুষ আহত হলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি যদি গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের আরও পিছনের সারির দিকে গিয়ে ভেঙে পড়ত, তা হলে মৃতের সংখ্যা হয়তো ১০০ ছুঁত। সেই দিক থেকে ‘সোসাইটি অফ এয়ার রেসিং হিস্টরিয়ানস’-এর প্রেসিডেন্ট ডন বার্লিনার বলছেন, “এটা বিমানচালকেরই কৃতিত্ব। শেষ মুহূর্তেও তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন যাতে বেশি লোকের মধ্যে সেটি ভেঙে না পড়ে।” |