রোজগারের টাকা, শুভানুধ্যায়ীর সহযোগিতায় কোচবিহার জেলে দুর্গা পুজোর আয়োজন করেছেন বন্দিরা। অন্য দশটা এলাকার বাসিন্দারা যেমন বৈঠক করে কমিটি গড়েন, সেই ভাবেই পুজোর আয়োজনে কমিটিও গড়েছেন তারা। প্রতিমার দায়িত্ব নিয়েছেন খোদ কোচবিহার পুরসভার চেয়াম্যান বীরেন কুণ্ডু। চলছে মণ্ডপ সজ্জার প্রস্তুতি। সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোলে চাকের তালে নেচে ওঠবার আয়োজনে খামতি থাকবে না। চার দেওয়ালের ভেতরে থেকেও পুজোর চার দিন ওই বন্দিদের কাছে বর্ণময় হয়ে ওঠা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কোচবিহার জেলের সুপার খগেন্দ্রনাথ ধর বলেন, “চারটা দিনের আনন্দে সামিল হতে বন্দিরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে কমিটি গড়েছেন। রোজগারের জমানো টাকাও পুজোর আয়োজনে খরচ করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা। শুভানুধ্যায়ীরা পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আর আপত্তি করিনি।” বর্তমানে জেলে বন্দির সংখ্যা ৫৫০। তাদের মধ্যে ন্যূনতম তিন বছরের বেশি বন্দি ২০০ জনের মধ্যে সশ্রম কারাদন্ডে সাজাপ্রাপ্তের সংখ্যা শতাধিক। সরকারি নিয়ম মেনে জেলে পুকুর, পরিচর্যা, বাগান তৈরি, সহ-বন্দি অসুস্থদের দেখভাল, জেল ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখার মতো কাজের সুযোগ দেওয়া হয়। দক্ষতার নিরিখে ওই সব কাজের জন্য তারা পারিশ্রমিকও পান। ব্যাঙ্কে জমানো পারিশ্রমিকের টাকা থেকে তারা সকলেই সাধ্যমতো চাঁদা দিয়ে পুজোর পরিকল্পনা নেন। পরে অন্য বন্দিদের আত্মীয়, শুভানুধ্যায়ীরাও পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার কথা জানান। এসবের মধ্যে সম্প্রতি কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডুকে প্রতিমার দায়িত্বে নেওয়ার আবদার জানানো হয় বন্দিদের তরফেই। যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত দেবাশিস দাস মণ্ডপ সজ্জার কাজ সামলাবেন।
|
পুজোর মধ্যে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নতুন ভবন পেতে চলেছে জলপাইগুড়ি সদর থানার নন্দনপুর জুনিয়ার গ্রামের বাসিন্দারা। এতদিন কেন্দ্রটি স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে ছিল। স্থায়ী পাকা ভবনের দাবি বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের। নন্দনপুর বোয়ালমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে ওই ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাজ শেষ হলেও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে কেন্দ্রটি নতুন জায়গায় চালু হয়নি। পুজোর মধ্যেই চালু হবে বলে পঞ্চায়েত প্রধান সন্তোষ বাড়ই জানান। এবারও নতুন কোনও পুজো হচ্ছে না নন্দনপুর-বোয়ালমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অন্য বারের মত এবারও ১৫টি পুজো হচ্ছে এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। নন্দনপুর-বোয়ালমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্তোষ বাড়ই জানান, প্রশাসনের অনুমতির জন্য পুজো কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
|
শিবলিঙ্গের উপর দেবীকে ঠাঁই দিয়েছেন মহাদেব। দেবীর মাথার উপর ফণা ছড়িয়ে সুরক্ষায় পঞ্চমুখী সাপ। শুম্ভ-নিশুম্ভ দুই অসুর শিবলিঙ্গকে সমূলে তুলে ফেলতে উদ্যত। ডুগডুগির উপর দাঁড়িয়ে কার্তিক ও গণেশ অসুর নিধনে যুদ্ধরত। অন্যদিকে আবার দুই অসুর ভুল বুঝতে পেরে লক্ষী, সরস্বতীর পা ধরে ক্ষমাপ্রার্থী। স্থানীয় মৃৎশিল্পী মধুসূদন দাসের গড়া দেবী প্রতিমায় এবার এমনই চমক দিতে প্রস্তুত দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের যজ্ঞতলা পুজো কমিটি। এ বার ৬০ বছর পড়ল তাঁদের পুজো। পুজো কমিটির সম্পাদক বলাই কুণ্ডু জানান, ‘মৃত্যুকূপ’ কাল্পনিক মণ্ডপ জুড়ে হচ্ছে শোলার কাজ। |