|
|
|
|
বারো হাতের রহস্য আজও বুঝলাম না |
বাঙালির দশমীর সাজ আলাদা করে চোখ টানে। সিঁদুর খেলার ফ্যাশন। গার্গী রায়চৌধুরী |
আমাকে স্বচ্ছন্দে শাড়ি-মনস্ক বলতে পারেন। জিনস-কুর্তি যে একেবারে বাদ থাকে, তা নয়, কিন্তু শাড়িতে আমি যতখানি সাবলীল, অন্যগুলোয় অতটা নয়। ওই বারো হাতের রহস্যটা আজও ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। তবে শাড়িকে শাড়ির মতোই পরতে হবে। লহেঙ্গার মতো করে শাড়ি পরা মোটেও পছন্দ নয়। আমি নিজে একটু সাবেকী ধরনের শাড়ি পছন্দ করি। এক সময় তাঁত ভীষণ পরতাম, এখন দক্ষিণ ভারতীয় শাড়ি পরছি এন্তার। কাঁথাকাজ বা ঢাকাইও আমার ভারী পছন্দ। আমি তো ধনেখালি শাড়ি কিনে তাতেও কাঁথাকাজ করিয়ে নিয়েছি। তবে শিফন খুব একটা পরি না। আমার শাড়ি হবে দু’দিকেই চওড়া বা মধ্যম চওড়া পাড়ের। সঙ্গে থাকবে মানানসই ব্লাউজ। ব্লাউজের ক্ষেত্রে আমার পছন্দ সত্তরের দশকের ফ্যাশন ফুলস্লিভ, ছোট্ট কলার দেওয়া। সঙ্গে চাই অ্যান্টিক লুকের গয়না। গলায় নয়, শুধু কানে আর হাতে। তবে দক্ষিণ ভারতীয় সিল্কের সঙ্গে কনুই পর্যন্ত বা ম্যাগি হাতাই বেশি পছন্দ। একটা মভ কালারের কাঞ্জিভরম আর আমার স্বামীর প্রথম উপহার দেওয়া শাড়িটি সবচেয়ে প্রিয়। |
|
পুজোর চার দিনের মধ্যে বাঙালিদের দশমীর সাজটা আমায় খুব টানে। আমি তো ঠিক করেছি সিঁদুর খেলব এ বার সাদা খোল লাল পাড় ঢাকাই দিয়ে, যার মধ্যে সোনালি রঙের হাল্কা হাল্কা বুটি থাকবে। সঙ্গে লাল ব্লাউজ আর ছোট ছোট সোনার গয়না দিয়ে শেষ হবে আমার পুজো-শেষের সাজ। |
|
|
|
|
|