টুকরো খবর

সাপে আতঙ্ক হাসপাতালে
এবার বিষধর সাপ ঢুকে পড়ল হাসপাতালের ওয়ার্ডে। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহ সদর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে দুটি সাপ ঢুকে প্রায় আধঘন্টা ধরে গোটা ওয়ার্ড ঘুরে বেড়িয়েছে। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছে প্রসূতি বিভাগের সদ্যোজাত শিশু ও তাঁদের মায়েরা। অবশ্য সকলে সতর্ক থাকায় বিপদের হাত থেকে বেঁচেছেন। ওয়ার্ডের ভর্তি রোগী, স্বাস্থ্য কর্মীরা জানান, তাড়াতে গেলে ওই বিষধর সাপ দুটি ফণা তুলে তেড়ে আসছিল। সাপের হাত থেকে বাঁচতে প্রসূতি বিভাগে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কেউ হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় ওয়ার্ডের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রাণভয়ে ছুটেছেন প্রসূতি মায়েরা। অনেকে সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে ওয়ার্ডের বাইরে বার হয়ে যান। অনেক চেষ্টার পর স্বাস্থ্য কর্মীরা কোনও রকমে সাপ দুইটিকে প্রসূতি বিভাগ থেকে তাড়িয়ে বাইরে বের করে দেন। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা একটি সাপকে মারলেও অপরটি হাসপাতালের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। এতে গোটা হাসপাতালে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শুক্রবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজে এক জরুরি বৈঠকে গিয়ে প্রসূতি বিভাগে সাপ ঢোকার কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, “তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সদর হাসপাতালকে টাকা দেওয়া হয়েছে। তার পরেও গোটা হাসপাতাল চত্বর জঞ্জালে ভরে গিয়েছে। দ্রুত সমস্ত ঝোপ জঙ্গল কেটে হাসপাতাল চত্বর পরিস্কার করার নির্দেশ দিয়েছি।” মালদহের জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন ঝরিয়াত বলেন, “মন্ত্রীর নির্দেশে কাল থেকে হাসপাতাল চত্বরের সমস্ত জঙ্গল কাটার কাজ শুরু করার জন্য হাসপাতাল সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “হাসপাতাল চত্বরটি বিশাল। একদিকে জঙ্গল কাটানো হতেই অন্যদিকে জঙ্গল গজিয়ে উঠছে। স্বাস্থ্যের জন্য প্রসূতি বিভাগের বাইরে ব্লিচিং পাউডার কিংবা কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ানো যাচ্ছে না। দেখি কী করা যায়।”

আর্সেনিক সচেতনতা
আর্সেনিকের কারণ ও প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শুক্রবার দুপুরে লালবাগ নেতাজি আবাস হলে ওই সচেতনতা শিবিরে হাজির ছিলেন মহকুমা প্রশাসনিক কর্তা থেকে পিএইচই দফতরের আধিকারিকেরা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের আর্সেনিক প্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম বাহাদুরপুর, নতুনগ্রাম, কাপাসডাঙা প্রভৃতি এলাকা। ওই এলাকায় এখনও আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা দূষিত জল পান করছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.