|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
এক নম্বরি এবং দুই নম্বরি |
বইপোকা |
আমার পড়শি ‘জলপায়রা’ প্রকাশনীর পোপাইটার উদ্ধবচন্দ্র খাঁড়া গোধূলির আলোকে কলেজ স্ট্রিটের রেলিং হইতে খুঁজিয়া পাইয়াছেন এক কপি ‘তিতিবিরক্ত’ পত্রিকা। সন্ধ্যাকালে আমার গৃহে আসিলেন তিনি, মহা উৎসাহে কীটদষ্ট পত্রিকাটি দেখাইতে থাকিলেন। জিজ্ঞাসা করিলাম, কী করিবেন ইহা লইয়া? খাঁড়া মহাশয় আশপাশটা এক বার ভাল করিয়া দেখিয়া লইয়া গলা নামাইয়া বলিলেন, ‘ইহা ছাপাইয়া বাজারে ছাড়িব, হটকেকের ন্যায় বিকাইবে। ‘ক্ষণজন্মা’র সংকলন প্রকাশ করিয়া ধ্রুবতারা-র যদু হাজরার ত মাটিতে পা পড়িতেছে না, দেখাচ্ছি এই বারে।’ আমার সান্ধ্যকালীন মৌতাত জমিয়া আসিয়াছিল, উদ্ধবচন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করিলাম, এই যে বৎসরে শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয় আপনার প্রকাশালয় হইতে, তাহাদের কয়টির আইএসবিএন নম্বর আছে? ‘এজ্ঞে উহা কী বস্তু আমার জানা নাই, কিন্তু কয় কপি ছাপিলাম আর কয় কপি বিকাইল তাহার হিসাব সব আমার জাবেদা খাতায় লিখিয়া রাখিয়াছি। তবে হ্যাঁ, আইএসবিএন টেন জানি না, আমার গ্রন্থসকল মোটের উপর দুইটি নম্বরে চিহ্নিত, এক নম্বর আর দুই নম্বর। জলপায়রা হইতে যাহা প্রকাশিত হয় তাহা এক নম্বরী, আর আমার পত্নী নেত্যকালীর ঘুঘু গ্রন্থালয় হইতে দুই নম্বরীগুলি বাহির করি।’ কথা বাড়াইলাম না, বইপাড়ার গলিতে আমার মন ফিরিতে লাগিল, ভাবিলাম এই ভববাজারের তথ্যায়ন করিবার জন্য কি না ‘ক্যাটালগিং-ইন-পাবলিকেশন’ বা ‘প্রকাশনাকালীন সূচিকরণ’ প্রকল্প গৃহীত হইয়াছে সরকারি স্তরে! উদ্যোগটি স্বাগত, কিন্তু সুফল ফলিবে ত? |
|
|
|
|
|