বিশ্বভারতীর কলা ভবনের সার্টিফিকেট কোর্সের প্রাক্তন ছাত্র রবিউল ইসলাম মণ্ডপ শিল্পী হিসেবে বীরভূম ছাড়া কলকাতা ও মুর্শিদাবাদে পরিচিতি পেয়েছেন। দুবরাজপুর ব্লকের পছিয়ারা গ্রামের ওই তরুণ শিল্পী সিউড়ির একটি কালী পুজোয় ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মণ্ডপ তৈরির কাজ করেছেন। পর পর তিন বছর আদিবাসী বাড়ি, ভাঙা মন্দির, ও টেরাকোটার মন্দিরের আদলে মণ্ডপ নির্মাণ করে বহু মানুষের মন জয় করেছেন। এর পরে সিউড়ির ‘যাত্রিক’ ক্লাবে ২০০৯ সালে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরি করেছেন নেপালের বিখ্যাত মন্দিরের আদলে। পরের বছর তিনি সিউড়ির ‘চৌরঙ্গি’ ক্লাবের মণ্ডপ তৈরি করেছেন খাজুরাহ মন্দিরের আদলে। এ বারও ওই ক্লাবেরই মণ্ডপ তৈরি করছেন মিশরের আবুসিম্বল-এর আদলে। ওই মণ্ডপ নির্মাণের জন্য ইন্টারনেট ঘেঁটতে হয়েছে তাঁকে। রবীন্দ্রনাথের বাসগৃহ শ্যামলী বাড়ির আদলে কালী পুজোর মণ্ডপ তৈরি করেছিলেন কলকাতার মহেশতলায়। ওই বছরই তিনি উত্তর ২৪ পরগণার নুঙ্গীতে জগদ্বাত্রী পুজোর মণ্ডপ তৈরি করেছেন মধুবনি পট চিত্রকলা দিয়ে। আর সরস্বতী পুজোতে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে একটি মণ্ডপ সাজিয়েছেন খেলার তাস দিয়ে।
|
এই রাজ্যের নাটকের সঙ্গে যুক্ত অধিকাংশরাই সিউড়ির বহু পুরস্কৃত নাট্যকার সুবিনয় দাসের নাম জানেন। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি নাটক লিখে চলেছেন। নাটক লিখেছেন ‘গ্রুপ থিয়েটার’, ‘অসময়ের নাট্য ভাবনা’, ‘গণ নাটক’ প্রভৃতি নাট্য বিষয়ক পত্রিকায়। তাঁর লেখা ৬০টি নাটকের মধ্যে ৩০টি তাঁর নিজস্ব ভাবনা নির্ভর। বাকিগুলি কোনও না কোনও সাহিত্যিকের রচনার নাট্যরূপ। নাটক লেখার জন্য প্রচুর পুরস্কারও পেয়েছেন সুবিনয়বাবু। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল১৯৯৪ সালে ‘পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমি’, ওই বছরই ‘ড্রামা অ্যাকাডেমি ইন্ডিয়া’ ও ১৯৯৭ সালে ‘কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী’ পুরস্কার। তাঁর নাটকের বিষয় গ্রাম ভিত্তিক জীবন, শোষণ-প্রতিবাদ প্রভৃতি। এবং সবই বীরভূমের কথ্য আঞ্চলিক ভাষায় লেখা। তাঁর মুখ্য পরিচালনায় চলছে ‘থিয়েটার অভিযান’ নামে একটি নাট্য দলও।
|
জন্মসূত্রে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা। ২৮ ভাদ্র তাঁর প্রয়াণ দিবস। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে লাভপুরের বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী বৃহস্পতিবার আয়োজন করেছিল লোক সংস্কৃতি উৎসব। চলেছে শুক্রবার পর্যন্ত। উৎসবের দিন সকালে প্রায় দেড়শো জন লোকসংস্কৃতি শিল্পী বিভিন্ন আঙ্গিকে নিজেদের সংস্কৃতি পরিবেশনের মাধ্যমে লাভপুর পরিভ্রমণ করেন। উদ্যোক্তাদের কর্ণধার উজ্বল মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “তারাশঙ্করের প্রায় সব সৃষ্টির মধ্যেই কোনও না কোনও লোক সংস্কৃতির প্রসঙ্গ রয়েছে। তাই তাঁর প্রয়াণ দিবসটিকে স্মরণ করার এই প্রয়াস।”
|
শ্রী রামকৃষ্ণের ১৭৫তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে সম্প্রতি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সাঁইথিয়া শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পাঠচক্র। পাঠচক্রের সম্পাদক ভাস্কর কয়েড়ী জানান, অঙ্কন, আবৃত্তি, ক্যুইজ, বক্তৃতা ও সঙ্গীত-এই পাঁচটি বিষয়ে মোট ২৬টি বিভাগে প্রতিযোগিতা হয়। স্থানীয় ১২টি হাইস্কুল ও ১৪টি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা এতে যোগ দিয়েছিল। সাঁইথিয়া শশীভূষণ দত্ত বালিকা বিদ্যালয়ে এই প্রতিযোগিতাগুলি হয়।
|
সিউড়ির সঙ্গীত অনুশীলন কেন্দ্রের সুরাঙ্গন সংস্থার দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে গত ১০ সেপ্টেম্বর সিউড়ি রবীন্দ্র সদনে সঙ্গীতানুষ্ঠান হয়। সেখানে শিশু থেকে প্রবীণ সঙ্গীত শিল্পীরা বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীত পরিবেশন করে শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করেন।
|
• সাঁইথিয়া হাইস্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করলেন স্কুলেরই শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গত বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠান হয়। নাচ, এক ছাত্রের লেখা শ্রুতি নাটক-ইত্যাদি। স্কুলেরই শিক্ষক তথা কৌতূক শিল্পী অতনু বর্মন তাঁর লেখা একটি নাটক এক সহশিক্ষককে নিয়ে মঞ্চস্থ করেন। শেষে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
• শান্তিনিকেতনের শিশু র্তীথের উদ্যোগে ১০ সেপ্টেম্বর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বিসর্জন নাটক পরিবেশিত হয়েছে।
• স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা হয়েছে পাড়ায়। বুধবার পাড়ার কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল নামৃতম নামে একটি সংস্থা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী সুপর্ণানন্দ। নামৃতমের স্বামী ভাস্করানন্দ ও পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের শিক্ষক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় শিল্পীরা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। বিবেকানন্দের চিন্তায় মনুষ্যত্বের বিকাশ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওই উপলক্ষে কাশীপুরের পঞ্চকোট রাজ ভগিনী নিবেদিতা বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠান হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া ও পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের শিক্ষক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পড়ুয়ারা বিবেকানন্দের ছবি নিয়ে প্রভাত ফেরি করে।
• পুরুলিয়া থিয়েটার অর্গানাইজেশন এবং যুব রঙ্গমঞ্চ রাঁচির উদ্যোগে ৮-১০ সেপ্টেম্বর পুরুলিয়া শহরের নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির হলে হয়েছে তিন দিনের নাট্য কর্মশালা। উদ্যোক্তাদের পক্ষে কমলকান্ত দাস জানান, কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ২৫ জন শিল্পী যোগ দিয়েছিলেন। উপস্থিত ছিলেন দিল্লির জাতীয় নাট্য বিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজয় মালকানি।
• বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির কাপিষ্ঠায় ১১ সেপ্টেম্বর সাংস্কৃতিক অনূষ্ঠান হয়েছে। বড়জোড়ার বিধায়ককে সংবর্ধনা দেওয়া উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সঙ্গীতা মণ্ডল। এ ছাড়া নৃত্য পরিবেশন হয়। |