|
|
|
|

ডাকঘর
|
ফের প্রসঙ্গ গ্রান্টহল |
গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত গ্রান্টহল সংক্রান্ত বিষয়ে সায়ন্তন মজুমদারের লেখা ‘প্রতিষ্ঠা ও পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক চিঠির প্রেক্ষিতে এই চিঠি। এক জন প্রবীণ ইতিহাসবিদ হিসাবে এ কথা সুস্পষ্ট ভাবে জানাতে চাই যে, কোনও অপ্রয়োজনীয় বির্তক সৃষ্টি আমার ইতিহাস চেতনা ও নীতি বিরুদ্ধ। গত ২৭ অগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর এই পত্রিকায় প্রকাশিত দু’টি চিঠিতে আমি গ্রান্টহলের প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছি তা অবশ্যই যথার্থ। কাজেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বৃদ্ধি অনৈতিহাসিক, অপ্রয়োজনীয় ও হাস্যকর। ওই বিষয়ে ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সায়ন্তনবাবুর চিঠিতে নতুন কোনও তথ্য পাওয়া গেল না। কেবল জানতে পারলাম তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। বহরমপুর, তথা মুর্শিদাবাদের ইতিহাসপ্রেমী সব মানুষের কাছে আমার বিনম্র আবেদন, অবিলম্বে গ্রান্টহল তথা যোগেন্দ্রনারায়ণ মিলনীর একটি বস্তুনিষ্ঠ ও পূর্নাঙ্গ ইতিহাস রচিত হোক। কারণ, ভারতীয় মহাবিদ্রোহ (১৮৫৭) পরবর্তী কালে শহর বহরমপুরের উত্থান, ক্রমবিকাশ ও মুর্শিদাবাদ জেলার সামাজ, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনের বহু ইতিহাস ওই গ্রান্টহল তথা যোগেন্দ্রনারায়ণ মিলনীর সঙ্গে জড়িত। দেশের বহু বরেণ্য ব্যক্তির স্মৃতিধন্য ওই প্রতিষ্ঠান।
বিষাণকুমার গুপ্ত, বহরমপুর
|
জিয়াগঞ্জ ও বালুচরি |
সপ্তদশ শতাব্দী থেকেই জিয়াগঞ্জ সংলগ্ন বালুচর এলাকাকে ঘিরে একটি রেশম শিল্পাঞ্চল কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। বালুচরি শাড়ির মধ্যে দিয়েই সে সময় রেশম শিল্পের উৎকর্ষতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল। বালুচরি শাড়িকে বলা হত ‘আর্ট ইন ইন্ডাস্ট্রি’। দশ হাত লম্বা পঁয়তাল্লিশ ইঞ্চি চওড়া ওই শাড়ির আঁচলে জরি দিয়ে রামায়ন, মহাভারত, বা নানা পৌরাণিক কাহিনির নকশা আঁকা হত। বালুচর এলাকাটি ছিল শিল্পীদের বোনা বস্ত্রাদির সব চেয়ে বড় আড়ত ও ব্যবসাকেন্দ্র। একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৬৬৩ সাল নাগাদ ওলন্দাজ কুঠিতে ৭০০ তাঁতি সিল্ক বোনার কাজ করত। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই-এর দরবারে জিয়াগঞ্জের বালুচরির খুব কদর ছিল। বালুচর তখন এতটাই সমৃদ্ধ ছিল যে মারাঠা বর্গিরা এক বার বালুচর লুঠ করতে এসেছিল। ওই বালুচরি শাড়ির প্রথম দক্ষ কারিগর ছিলেন পার্শ্ববর্তী বাহাদুরপুর গ্রামের দুবরাজদাস চামার, যাঁর জন্ম আনুমানিক ১৮১৪ সালে। নিত্যগোপাল মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘রেশম বিজ্ঞান’ গ্রন্থে দুবরাজদাস সর্ম্পকে বলেছেন, যে তিনিই ছিলেন একমাত্র বালুচরি তাঁতশিল্পী ‘who can set the loom to any pattern’। বালুচরি শাড়ির পরবর্তী বিশিষ্ট শিল্পী হেম ভট্টাচার্য, শশিভূষণ দত্ত, মৃত্যুঞ্জয় সরকারেরাও আজ প্রয়াত। এঁদের মৃত্যুর পর উনিশ শতকের শেষ দিক থেকে বালুচরি শিল্পের বিলীন দশার শুরু। শিল্পীদের অর্থের অভাব, বিলাতি-জাপানি-চিনা প্রভৃতি বিদেশি রেশম শিল্পের প্রতি আকর্ষণ, হালফিল কম্পিউটার ডিজাইন-- বালুচরি শিল্পকে কোনঠাসা করে ফেলেছে। বর্তমানে একটি বালুচরি তাঁতযন্ত্রের দাম এক লক্ষ টাকা, শিল্পীর পারিশ্রমিক ৩ হাজার টাকা, একটি বালুচরি শাড়ির দাম ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা। ফলে বালুচরি শিল্পের বর্তমান উত্তরসূরীরা ওই পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ওই বিশ্বখ্যাত শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য সরকারি আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করা জরুরি। সাধন দাস, ভৈরবটোলা-লবনচোয়া
|
উপদ্রবের শাস্তি চাই |
বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে ভদ্র ও মানবিক ব্যবহার প্রত্যাশা করেন বেথুয়াডহরির মানুষ। কারণ ওই অভায়রণ্য বেথুয়াডহরির গর্ব। অথচ পর্যটদের একাংশ হরিণের পিঠের উপর ওঠার চেষ্টা করেন, জোর করে হরিণের ছবি তোলার চেষ্টা করেন, হরিণের গায়ে ইট ছুঁড়ে মারে, পাথর ছুড়ে জখম করেছে ঘড়িয়াল। ফলে মরেছে গন্ধগোকুল, হয়েছে হরিণের মৃত্যু। |
 |
পর্যটকদের তাণ্ডবে মৃত হরিণ। —ফাইল চিত্র |
পর্যটকদের ওই পাশবিক আচরণের খবর পড়ে স্তম্ভিত হতে হয়। এরা মানব জাতির কলঙ্ক। ওই পাশবিক অত্যাচার চলার সময় বনকর্মীরা কি করছিলেন? ঘুমোচ্ছিলেন? তদন্ত করতে বনমন্ত্রী নিজে ওই অভয়ারণ্য পরিদর্শন করেছেন। এ বার দোষী বনকর্মী ও দোষী পর্যটকদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। দেবাশিস ঘোষ, বেথুয়াডহরি
|
পর্যটকদের অতি-আদর |
বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে উন্মত্ত পর্যটকদের অতি ‘আদরে’ শান্ত নিরীহ চিতল হরিণ ও গন্ধগোকুলের মৃত্যু কেবল দু’টি প্রাণীর মৃত্যু নয়। মৃত্যু হল সভ্যতার, মৃত্যু হল শুভবোধের। এ হেন ঘৃণ্য ও কুৎসিত অপকর্মের নিন্দার ভাষা নেই। সমাজটা কি এতটাই ভয়ারণ্য হয়ে যাবে! শুধু প্রশাসন নয়, মানুষকেও জাগতে হবে।
তরুণকুমার সিংহ, দেবগ্রাম
|
অরাজকতার শেষ কোথায় |
‘চিকিৎসা বিভ্রাট’ শীর্ষক ধারবাহিক প্রতিবেদনে হাসপাতালের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি প্রতিফলিত হয়েছে। প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের এমন হীন দশার নেপথ্যে রয়েছে দায়িত্বহীনতা ও কর্মবিমুখতা। কেবল উপরি আয়ের নেশায় সেবার মানসিকতাকে দূরে সরিয়ে রেখে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিজেদের আচরণকে রূঢ় থেকে রুঢ়তর করে তুলেছেন। ফলে সরকারি হাসপাতাল সর্ম্পকে মানুষের মনে ভয় ও অনাস্থা বাড়ছে। তার ফলে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভিড় বাড়ছে। কিন্তু সেখান গিয়েও মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। ক্লিনিক, নার্সিংহোম বিষয়ে সরকারি নিয়মবিধি রয়েছে। রয়েছে সরকারি কর্মী। তবুও এরকম অরাজকতা চলছে কেন?
তন্ময় ঘোষ, কৃষ্ণনগর |
|
|
 |
|
|