...সময় এল কাছে
বাড়ি-ধারা

বাবুডাঙা সালকিয়া হাউস
আনুমানিক ১৭৮০তে রাধামোহন বন্দ্যোপাধ্যায় সূচনা করলেও এখন এটি ‘গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো’ বলেই পরিচিত। বোধন শুরু হয় আশ্বিনের শুক্লপ্রতিপদে। একচালা মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা।

বালি বন্দ্যোপাধ্যায়বাড়ি
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তর্কসিদ্ধান্ত লেনের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুজো আরম্ভ করেন দুর্গাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। একচালা ডাকের সাজের বাংলা শৈলীর মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা। নবমীর দিন এখনও কাদামাটি খেলা হয়। দশমীর দিন হয় বেড়া-পুষ্পাঞ্জলি বা ফুল-সহযোগে দেবীবরণ।

শিবপুর ছোট ভট্টাচার্যবাড়ি
প্রায় আশি বছর আগে শিবপুর শরৎ চ্যাটার্জি রোডের এ বাড়ির পুজো শুরু করেন জগন্নাথ সিদ্ধান্তবাগীশ। এখন ভট্টাচার্য, বন্দ্যোপাধ্যায় ও চট্টোপাধ্যায় এই তিন দৌহিত্র পরিবার মিলে পুজো হয়। মঠচৌরী চালের বাংলা শৈলীর ডাকের সাজের মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা।

আন্দুল দত্তচৌধুরীবাড়ি
পুজোর সূচনা করেন আন্দুলের তৎকালীন জমিদার রামশরণ দত্তচৌধুরী। মঠচৌরী চালের ডাকের সাজ-যুক্ত মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা। অষ্টমীর দিন নবদুর্গার প্রতীক হিসেবে ৯টি ঘট বসে। নবমীতে চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি ‘মানুষ’ বলি দেওয়া হয়। একে বলে ‘শত্রুবলি’। পুরনো রীতি মেনে এখনও এই পরিবারের প্রতিমা বিসর্জনের আগে দুলেপাড়ায় যায়। সেখানে দুলে-বউরা বরণ করার পরে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়।

শিবপুর কুতিবাড়ি
পুজো আরম্ভ করেন কাঠ-ব্যবসায়ী দীননাথ কুতি। সাবেক একচালা ডাকের সাজের বাংলা শৈলীর মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা। পঞ্চমীর দিন পরিবারের বড় বউ অন্য এয়োস্ত্রীর আঁচলে পান, সুপুরি, মুড়কি, বাতাসা ও মিষ্টি বেঁধে দেন। একে বলে ‘এয়ো কামান’।

শিবপুর মুখোপাধ্যায়বাড়ি
ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি হুগলির মেড়েগ্রাম থেকে শিবপুরে এসে টোল খোলেন হরচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছেলেরা ১৮৬৮-তে কাশীনাথ চ্যাটার্জি লেনের বাড়িতে পুজো আরম্ভ করেন। একচালা ডাকের সাজের বাংলা শৈলীর মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা। প্রতি বছর প্রতিমাকে নতুন বেনারসি শাড়ি পরানো হয়। পুরনো রীতি বজায় রেখে এখনও নবমীর দিন কাদামাটি খেলা হয়।

বালি ভট্টাচার্যবাড়ি
সমবায়পল্লির ভট্টাচার্যবাড়ির পুজোটি আগে হত ঢাকার ভাওয়াল পরগনায়। একচালা ডাকের সাজের বাংলা শৈলীর প্রতিমা। কিন্তু পূর্ববঙ্গের রীতি অনুসারে, এ বাড়ির প্রতিমায় দুর্গার ডান দিকে কার্তিক ও বাঁ দিকে গণেশকে বসানো হয়। এ ছাড়া মহিষাসুরের বদলে থাকে রক্তবীজ অসুর। চালিতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহাদেব, প্রজাপতি ও দক্ষ এই পাঁচ দেবতার পুতুল থাকে। পঞ্চমীতে চণ্ডীর ঘট-স্থাপন দিয়ে আরম্ভ হয় পুজো। অষ্টমীর রাতে হয় বামাকালীর পুজো। নবমীর সকালে শিব ও গুরুর পুজো হয়।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.