নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
সরকারি জমি দখল করে ঝুপড়ি বানিয়ে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা। শুধু রাতেই নয়। দিনের বেলাতেও খদ্দেরের আসা-যাওয়া চলছে কুলটির লছিপুরে জি টি রোডের পাশে। এলাকার মানুষ অস্বস্তিতে। কিন্তু কুলটি পুরসভা এবং আসানসোল মহকুমা প্রশাসন সব জেনেও কার্যত চোখ বুজে রয়েছে।
নিয়ামতপুর থেকে আসানসোলের দিকে কিছুটা এগোলেই লছিপুরের কাছে বাঁ দিকে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শতাধিক বছরের পুরনো যৌনপল্লি। যৌনকর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা ও বিভিন্ন পরিষেবা দিতে পুলিশের সঙ্গে ভাবে কাজ করছে সমাজসেবী সংগঠনও। কিন্তু মূল এলাকা ছাড়িয়ে ‘কারবা’ যে ভাবে রাস্তার ধারে ছড়িয়েছে, তা একটু ঠাহর করলেই দেখা যায়।
লছিপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আসানসোলের দিকে খানিকটা এগোলেই ডান দিকে নজরে পড়ে সরকারি জমি দখল করে গড়ে ওঠা বেশ কিছু ঝুপড়ি। সেগুলির পিছনের দিকে আধা সরকারি সংস্থা আসানসোল মাইনস বোর্ড অফ হেলথের অব্যহৃত ভবনেও রাতে ‘কারবার’ চলছে বলে অভিযোগ। ওই এলাকার কাছেই বেলরুইয়ে থাকেন কুলটির উপপ্রধান বাচ্চু রায়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের খেদ, তাঁকে বারবার বলেও লাভ হয়নি।
বাচ্চুবাবুর বক্তব্য, “ওই সব অস্থায়ী ঝুপড়িতে দেহ ব্যবসা বন্ধ করতে হলে প্রশাসনের সাহায্য চাই। আমি মহকুমাশাসককে সাহায্য করার অনুরোধ করেছি।” আসানসোলের মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্তের আশ্বাস, একটি ‘সুসংহত পরিকল্পনা’ নেওয়া হয়েছে। কিছু দিন পরই কাজে নামবে প্রশাসন। এলাকাবাসীর অভিজ্ঞতা, এই ‘কিছু দিন’ আর কাটে না। কাজে নামাও তাই হয় না। এ বার কি তার ব্যতিক্রম হবে? |