এসটিএফের স্বতন্ত্র থানা লালবাজারেই |
কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোসর্র্ (এসটিএফ)-এর জন্য আলাদা একটা থানা তৈরি হতে চলেছে। আজ, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই মর্মে প্রস্তাব পেশ করবে স্বরাষ্ট্র দফতর। এসটিএফের সদর লালবাজারে। তাই এসটিএফের থানা সেখানেই হবে বলে লালবাজার-সূত্রের খবর। এসটিএফ-সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানগরে সংগঠিত অপরাধ ও জঙ্গি কার্যকলাপ প্রতিরোধের লক্ষ্যে ২০০৯-এ কলকাতা পুলিশের অধীনে ওই বাহিনী যখন গড়া হয়, তখনই প্রশাসনিক সুবিধার্থে সিবিআইয়ের ধাঁচে তার জন্য পৃথক থানা তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। সেটাই এ বার বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে বাড়তি সুবিধাটা কী হবে? স্বরাষ্ট্র-সূত্রের ব্যাখ্যা: বর্তমানে এসটিএফ কোনও ঘটনার তদন্ত করে মামলা দায়ের করতে চাইলে আগে মামলাটিকে একটি থানায় নথিভুক্ত করতে হয়। এবং ওই থানারই কোনও অফিসারকে ‘তদন্তকারী অফিসার’ করা হয়, যদিও আসল তদন্তের কাজে তাঁকে বড় একটা লাগানো হয় না। এসটিএফের অফিসারেরাই মূল তদন্ত করেন। কিন্তু থানার সেই ‘তদন্তকারী অফিসার’ অন্যত্র বদলি হয়ে গেলে পদ্ধতিগত কারণে অসুবিধায় পড়তে হয় তাঁদের। এ বার নিজেদের থানা হলে এসটিএফ-কে আর অন্য থানা মারফত মামলা রুজু করে সাধারণ আদালতে বিচার চাইতে হবে না। সিবিআইয়ের মতো বিশেষ আদালতও তৈরি হবে এসটিএফের জন্য। সেখানে বিশেষ বিচারক থাকবেন। ফলে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আশাও দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (৩) রাজীব কুমার বর্তমানে এসটিএফের প্রধান।
|
খিদিরপুরে ছাই ২২টি বাড়ি-দোকান |
খিদিরপুরে ঘনবসতি এলাকায় আগুন লেগে ১২টি দোকান এবং ১০টি একতলা টিনের চালের বাড়ি পুড়ে গিয়েছে। ফ্যান্সি মার্কেটের কাছে ডেন্ট মিশন রোডে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ যখন এই ঘটনা ঘটে, তখনও দোকান খোলা ছিল। দোকান সংলগ্ন একতলা বাড়িতেও লোকজন ছিলেন। তবে কেউ হতাহত হননি। যদিও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে। দমকল দেরিতে এসেছে বলে অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দা ও দোকান-মালিকেরা। তাঁদের অভিযোগ, দমকলে ফোন করা সত্ত্বেও কেউ ফোন ধরেননি। দমকল ও পুলিশ এলে বেশ কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের খানিকটা হাতাহাতিও হয়। পরিস্থিতির সামাল দিতে আরও বাহিনী পাঠানো হয়। দমকলের ন’টি ইঞ্জিন আসে। পৌঁছে যান দমকলের ডিজি দেবপ্রসাদ তারানিয়া। আসেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ববি হাকিম। ইঞ্জিন দেরিতে আসার অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়ে দমকলমন্ত্রী বলেন, “যানজট থাকায় একটু দেরি হয়েছে বলে শুনেছি। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ট্রাফিকের সঙ্গেও কথা বলব।” কী ভাবে আগুন লাগল, দমকল নিশ্চিত ভাবে তা জানাতে পারেনি। তবে শর্ট শার্কিটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাসিন্দারা জানান, একটি বন্ধ আটাকল থেকে প্রথম ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। গায়ে গায়ে ঘেঁষা ছোট ছোট দোকান ও বাড়িতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুড়েছে মুদিখানা, পান-বিড়ি, জামাকাপড়, সুতো, বাসন, প্রসাধন, মিষ্টি-সহ সব ধরনের দোকানই। রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চার দিকে পোড়া জিনিসপত্র ছড়ানো। জল থিকথিক করছে। ঢাল নিয়ে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দমকলের ডিজি বলেন, “আমাকে না, মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন।”
|
খাদ্য-হকারদের জন্য নয়া ব্যবস্থা |
পুর-এলাকার রাস্তায় যে সব হকার খাবার বিক্রি করেন, তাঁদের লাইসেন্স ও ব্যবসার পরিকাঠামো দিতে পুরসভাগুলির সঙ্গে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য। এ নিয়ে ৫টি বড় পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করবেন জনস্বাস্থ্য কারিগরিমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও পরিকল্পনা দফতরের মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। পুজোর পরেই লাইসেন্স দিতে আগামী সপ্তাহে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। পরের সপ্তাহ থেকে পর্যায়ক্রমে হাওড়া, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ির মেয়রদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সোমবার এ নিয়ে মেয়র, সুব্রতবাবু এবং মণীশবাবুর কথা হয়। নয়া কেন্দ্রীয় আইন ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট, ২০১১’ অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা মেনে হকারদের ব্যবসার ব্যবস্থাও করতে হবে রাজ্যকে। সুব্রতবাবু বলেন, “আমার দফতর হকারদের পরিস্রুত জল দেবে। বাকি কাজ পুরসভাগুলির।” তিনি জানান, শহরের ১৪১টি ওয়ার্ডে জল সরবরাহের দায়িত্ব পুরসভার। কিন্তু অধিকাংশ জলাধারের দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের। হকারদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় পুরসভার জলের লাইনের সঙ্গে অন্য লাইন জোড়া সমস্যা নয়।
|
পুলিশের অনুমানই সঠিক হল। নবাবপুরের বাসিন্দা মোশারফ মোল্লাকে (৪০) গত শনিবার দুপুরে নিউ টাউনে ‘ভুল করে’ গুলি করে মারে আততায়ীরা। পুলিশ জানায়, এতে জড়িত অভিযোগে মঙ্গলবার নিউ টাউন থেকে আবদুল্লা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে ধরা হয়। পুলিশের দাবি, আবদুল্লা জেরায় স্বীকার করেছে, মোশারফ মোল্লা নয়, নিউ টাউনের ওই এলাকায় একই নামের অন্য এক জন ছিল তাদের নিশানা। |