টুকরো খবর

চোখ টানতে পুজো-সাজ বক্সা জঙ্গলে
পরিবেশ দূষণের অভিযোগ ওঠায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এরিয়া জয়ন্তীতে পর্যটকদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন দফতর। কিন্তু পুজোর মুখে পর্যটকদের যাতে হতাশ হয়ে ফিরতে না-হয় সেই জন্য ঢেলে সাজা হচ্ছে চিলাপাতার জঙ্গল। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চিলাপাতার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাতায়াতের রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। টাইলস বসানো হচ্ছে মেন্দাবাড়ির ‘জাঙ্গল ক্যাম্পে’। বন্যপ্রাণ-৩ বিভাগের ডিএফও ওমপ্রকাশ বলেন, “গত বছর বন বিভাগের পর্যটক আবাস ও জঙ্গল সাফারি থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। এ বছর যাতে আরও বেশি পর্যটক আসেন তার চেষ্টা চলছে। পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হচ্ছে।” আলিপুরদুয়ার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্লব দে জানান, বক্স ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের জয়ন্তীতে গত বছর কার সাফারি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বছর জঙ্গল ঘুরতে আসা পর্যটক চিলাপাতার দিকে যেতে চাইছেন। সেখানে বন দফতরের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে পর্যটকদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি বন দফতর চিলাপাতার জঙ্গলে পর্যটকদের যাতায়াত ও রাত্রি বাসের অনুমতি দিয়েছে। চিলাপাতায় তোর্সা নদীর ধারে প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে বন্যপ্রাণ দেখতে কয়েক বছর ধরে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। চিলাপাতায় নল রাজার গড়, তোর্সা নদীর পাড়ে সিসি লাইন টাওয়ার, চিলপাতার কাছে দেওডাঙ্গা টাওয়ার ও মেন্দ বাড়ির টাওয়ারে বসে গন্ডার, হাতি, বাইসন দেখতে পর্যটকদের চাহিদা বাড়ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগও বেড়েছে। গত বছর ওই এলাকায় ২০ লক্ষ টাকা আয় হয়। চিলাপাতার বনবাংলো, মেন্দাবাড়িতে জঙ্গল ক্যাম্পে স্থানীয় যুবকরা রান্নার কাজ করছেন। বিক্রি বেড়েছে স্থানীয় দোকানগুলিতে। গাইড হিসবে কাজ পাচ্ছেন চিলাপাতা, মেন্দাবাড়ি ও কোদালবস্তির ৩৩ জন যুবক। কার সাফারি করে অর্থ উপার্জন করছেন গাড়ি চালকরা। এলাকার পর্যটনের সম্ভাবনা দেখে কয়েকটি বেসরকারি টুরিস্ট লজ চালু হয়েছে। সাফারিতে গিয়ে যাতে গাড়ি চাকা কোথাও আটকে না যায় সে জন্য মেন্দাবাড়ি জঙ্গল ক্যাম্প থেকে কোদালবস্তি সি সি লাইন পর্যন্ত ১৫ কিমি ও নল রাজার গড় থেকে চিলাপাতা পর্যন্ত ৬ কিমি রাস্তায় মেরামতি করা হচ্ছে।

টিভি ব্যবসার হাত ধরে ভারতে বাজার বাড়াবে সোনি
প্রধানত টিভি ব্যবসার হাত ধরেই ভারতে বাজার দখল বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে জাপানের বৈদ্যুতিন সংস্থা সোনি। এবং এ ক্ষেত্রে তাদের অন্যতম বাজি নতুন থ্রি-ডি টেলিভিশন। বিক্রি বাড়াতে যেগুলির দাম এ বার সাধ্যের মধ্যে আনা হয়েছে বলে দাবি সংস্থার। এখন সোনির বিশ্বব্যাপী মোট ব্যবসার মাত্র ৫% আসে ভারত থেকে। কিন্তু আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই তা প্রায় ১০ শতাংশে পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সোনি ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসারু তামাগাওয়া। তিনি জানান, এই লক্ষ্য ছুঁতেই এক দিকে সংস্থা নতুন ৩২ ইঞ্চির থ্রি-ডি টিভি এনেছে বাজারে। যার দাম ৫৫ হাজার টাকা। সংস্থার পরিকল্পনা, গত বছরের ১০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে এ বছর থ্রি-ডি টিভির বিক্রির পরিমাণ ৫০ লক্ষে নিয়ে যাওয়া। প্রসঙ্গত, আগে সোনির এই ধরনের টিভির মাপ শুরুই হত ৪০ ইঞ্চি থেকে। দাম ছিল ১ লাখ। অন্য দিকে, ব্যবসা বাড়াতে তাদের একটি জনপ্রিয় ‘গেম’ প্লেস্টেশন-এর দামও ১৭.৫ শতাংশের বেশি কমিয়ে দিয়েছে সোনি। গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০১০-’১১ অর্থবর্ষে ভারতে সোনি কর্পোরেশন আয় করেছিল ৮,৬৫২.১০ কোটি ডলার। ওই আয় আরও বাড়ানোর পথে হাঁটতে সংস্থা এ দেশের বিপণন খাতে ৩৬০ কোটি টাকা লগ্নিও ধার্য করেছে বলে জানান তামাগাওয়া। যার ১৫০ কোটি এ বছর সোনির ‘ব্রাভিয়া’ টিভি-র প্রচারে ব্যয় করার পরিকল্পনা তাঁদের।

রাজ্যের সঙ্গে ব্যবসায় জোর ইজরায়েলের
ভারতের সঙ্গে ইজরায়েলের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্ব যথেষ্টই। ভবিষ্যতে তা আরও বাড়াতে তাঁরা উৎসাহী বলে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে গেলেন ভারতে ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত অ্যালোন উশপিজ। সেই লক্ষ্যে কলকাতায় তাদের ‘বিজনেস প্রোমোশান অফিস’ও চালু করল ইজরায়েলের দূতাবাস। এ দিন দুপুরে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর সঙ্গে বৈঠক করেন উশপিজ। বিকেলে কলকাতায় ইজরায়েলের সাম্মানিক কনসাল জেনারেল হর্ষ নেওটিয়ার উপস্থিতিতে ওই অফিসের উদ্বোধন করেন তিনি। নেওটিয়া জানান, এ রাজ্যে ইজরায়েলের লগ্নি আনাই অফিস খোলার মূল লক্ষ্য। মূলত কৃষি, সেচ, জলপ্রযুক্তি (বিশেষত বর্জ্য পরিশোধন), অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন (সৌর বিদ্যুৎ), খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইজরায়েলের দক্ষতাকে পশ্চিমবঙ্গ কাজে লাগাতে পারে বলে মত উশপিজ-এর। উশপিজ জানান, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শুখা এলাকায় ‘ড্রিপ ইরিগেশন’ ব্যবস্থা চালু করতে ইজরায়েলের কারিগরি দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চান। পাশাপাশি, এ রাজ্যের পর্যটকদের ইজরায়েল ভ্রমণের সুযোগ করে দিতে চান তাঁরা। বিশেষ করে কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার ইহুদিদের জেরুজালেমে তীর্থ পর্যটনেও নিয়ে যেতে তাঁরা আগ্রহী, জানান উশপিজ।

স্থায়ী কর্মী নিয়োগ শুরু মারুতিতে
নতুন স্থায়ী কর্মী নেওয়া শুরু করল মারুতি-সুজুকি। সংস্থা জানিয়েছে, এ দিন তারা ১০০ জন কর্মীকে নিয়োগ করেছে। এ দিকে, সুপারভাইজার ও অন্য এক কর্মীর উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগে এ দিনই বরখাস্ত করা হয়েছে ধর্মঘটী পাঁচ কর্মীকে। এবং সংস্থা কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়েছেন, ধর্মঘটীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ তাঁরা। উল্লেখ্য, কর্মী-বিক্ষোভে মারুতির মানেসর কারখানায় দু’সপ্তাহ ধরে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে গুড়গাঁও কারখানা থেকে মানেসরে কর্মী স্থানান্তরের পাশাপাশি চুক্তির ভিত্তিতে এত দিন কর্মী নিয়োগও করছিল তারা। এ দিনও ৫০০টি সুইফট গাড়ি সেখানে তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থা। এ দিন ধর্মঘটী কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে সোমবার জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের এক প্রতিনিধিদল।

ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকায় ছাঁটাই হচ্ছেন ৩০,০০০
মার্কিন অর্থনীতি যখন মন্দার কবল থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে, সেই সময় ফের কর্মী সঙ্কোচনের পথে হাঁটছে ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা। সংস্থা ঢেলে সাজতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্কটি। পরিকল্পনা মতো প্রতি বছর তাদের মোট খরচের প্রায় ১৮ শতাংশ অর্থাৎ ৫০০ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয় কমাতে চায় তারা। আর এরই অঙ্গ হিসেবে আমেরিকায় আগামী তিন বছরে মোট ৩০,০০০ কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্কটি। যা দেশে তাদের মোট কর্মী সংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। এ দিকে, ৯ শতাংশের উপরে থাকা বেকারত্বের হার কমিয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিল এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মঙ্গলবারই রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের এই আইনটি পাশ করানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

খুচরো করার যন্ত্র
খুচরো পয়সার অভাব মেটাতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উদ্যোগে নদিয়ায় দু’টি ‘কয়েন ভেন্ডিং মেশিন’ চালু করা হল। কৃষ্ণনগর ও নবদ্বীপের এই মেশিনগুলিতে নোট জমা করা হলে তার পরিবর্তে সমমূল্যের খচরো পয়সা পাওয়া যাবে। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ায় এই মেশিন প্রথমবার বসানো হল। ব্যঙ্কের ডিজিএম প্রসূন সাহা বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে খুচরোর সমস্যা মেটাতে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই মেশিন বসানো হচ্ছে। নদিয়ায় প্রথম এই দু’টি মেশিন বসানো হল।”

গো-এয়ার শহরে
এ বার কলকাতা থেকে উড়ান চালাবে গো-এয়ার। মুম্বইকে ঘাঁটি করে সস্তার এই বিমান পরিষেবা সংস্থা এত দিন উড়ান চালিয়েছে দক্ষিণ, উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারতে। মুম্বই থেকে সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) প্রবীণ নায়ার বলেন, “বিমানের অভাবে কলকাতা থেকে উড়ান চালানো যাচ্ছিল না। অক্টোবরেই একটি এয়ারবাস ৩২০ ভাড়া নিচ্ছি। ৮ অক্টোবর থেকে তা এই রুটে চালানো হবে।” ভোরবেলা বিমানটি দিল্লি থেকে কলকাতা আসবে। এখান থেকে পোর্টব্লেয়ার ঘুরে কলকাতায় ফিরে বিমান দিল্লি ফিরে যাবে। নায়ার জানান, কলকাতা-পোর্টব্লেয়ার রুটে যাত্রীদের চাহিদা রয়েছে বলে প্রথমেই তাঁরা ওই রুট বেছে নিয়েছেন।

শান্তিনিকেতনের বাস
শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতা বাস চালাবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। ‘সংস্কৃতি যাত্রা’ নামের এই পরিষেবা চালু হচ্ছে আগামী ১৬ তারিখ থেকে। সংস্থার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দিনে দু’টি বাস কলকাতা ও শান্তিনিকেতনের মধ্যে যাতায়াত করবে।” বাসভাড়া ৯০ টাকা ধার্য হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.