|
|
|
|
|
হাসপাতাল পরিচালনা |
শিল্পের চাহিদা মেনেই এ পেশার বাড়-বাড়ন্ত। তাই পরিচালনের পাঠ্যক্রমের
মধ্যে দ্রুত ঢুকে পড়ছে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট। লিখছেন কৌলিক ঘোষ। |
বাকি সব কিছুর মতো সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে হাসপাতালও। আর বদলে যাওয়া এই জমানায় অন্য যে কোনও পরিষেবার মতো হাসপাতালও চাইছে পেশাদার পরিচালক। যার দৌলতে জন্ম নিয়েছে শুধু ‘হাসপাতাল পেশাদার’ হওয়ার জন্যই পড়াশোনার পথ। সেখানে পড়ুয়ারা প্রশিক্ষিত হচ্ছে যে কোনও ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রের পরিচালন, প্রচার, বিপণন ইত্যাদির খুঁটিনাটি সম্পর্কে।
|
চাহিদা বাড়ছে ক্রমশ |
কয়েক বছর আগেও অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা একই সঙ্গে চিকিৎসা ও হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব সামলে দিতেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশ জুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে আরও তীব্র হয়ে উঠেছে প্রতিযোগিতা। যে কারণে প্রয়োজন পড়ছে টক্কর
দেওয়ার মানসিকতা সম্পন্ন পেশাদার
‘হসপিটাল ম্যানেজার’দের।
চিকিৎসা পরিষেবা এখন শুধুই দেশের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বিদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসছেন বহু মানুষ। এবং সেই সংখ্যাটা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশের চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্রে ব্যবসা বৃদ্ধির হার এখন ২৩ শতাংশ, যা অন্যান্য যে-কোনও শিল্প ক্ষেত্রের থেকে অনেকটাই বেশি। ঈর্ষণীয়ও বটে। আর সমীক্ষার দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১১ সালে এ দেশে এই ক্ষেত্রে ব্যবসা হতে চলেছে প্রায় ৭,৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা। ফলে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে টিকে থাকতে পরিষেবার গুণমান, প্রচার ইত্যাদিতে বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি মনে করছে সকলেই। ফলে চিকিৎসা ছাড়াও সার্বিক ভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে পরিচালন, প্রশাসন, জনসংযোগ, বিপণন ইত্যাদি। এবং এগুলির হাত ধরেই একাধিক ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ খুলছে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষিতদের সামনে।
|
কাজের সুযোগ একাধিক |
হসপিটাল ম্যানেজমেন্টে প্রশিক্ষিতদের চাহিদা বাড়ার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালের কর্তারাও। কলকাতার ভাগীরথী নেওটিয়া উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার পি এল মেহতার মতে, গত কয়েক বছর ধরে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রটি অত্যন্ত দ্রুত হারে উন্নতি করছে। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষিতদের নিতে হচ্ছে পেশাদারিত্বের সঙ্গে হাসপাতাল পরিচালনার জন্য। শুধু হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমই নয়, রোগনির্ণয় কেন্দ্র, স্পেশ্যালিটি ক্লিনিকের মতো স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্যান্য কেন্দ্রেও এই পেশাদারদের কাজের সুযোগ ছড়িয়ে যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে দিশা আই হসপিটালের দেবাশিস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এখন চিকিৎসার সংজ্ঞাটাই পুরো বদলে গিয়েছে। বড় মাল্টি-স্পেশ্যালিটি হাসপাতাগুলিতে পরিচালন ব্যবস্থার মান তো ‘সর্বোচ্চ’ স্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছেই। পাশাপাশি দেখা হচ্ছে ছোটখাটো স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রেও যেন আধুনিক প্রযুক্তির ছাপ থাকে। পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যেন থাকে পেশাদারিত্বের ছোঁয়া। |
|
ব্যবসা বাড়াতে হাসপাতালকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার গুরুত্ব এখন অনেক বেড়েছে। ফলে জনসংযোগ, প্রচার, বিপণনের কৌশল নিয়ে মাথা ঘামানোর জন্য নেওয়া হচ্ছে আলাদা আলাদা কর্মী, জানাচ্ছেন কেরিয়ার বিশেষজ্ঞেরা। এ ছাড়া, স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে আসা রোগী বা তাঁর বাড়ির লোককে প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগ, কর্মী বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধানের জন্যও ডাক পড়ে প্রশিক্ষিতদের। অর্থাৎ সার্বিক ভাবে বলা যায় শুধু চিকিৎসা নয়, চিকিৎসার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত ধাপগুলিকে সুস্থ ভাবে পরিচালনা করাই হাসপাতাল পরিচালকের কাজের মধ্যে পড়ে।
|
কোথায় পড়ায়, কী যোগ্যতায় |
এখন প্রশ্ন হল, কোথায় কোন যোগ্যতায় পড়া যায় হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট। এ প্রসঙ্গে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১৫টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে ‘ব্যাচেলর ইন হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট’ পড়ানো হয়। অর্থাৎ ১০+২ পেরিয়েই ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয়ে যেতে পারেন এই পাঠ্যক্রমে।
এনএসএইচএম কলেজ অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি-র হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নিলয় সরকার জানালেন, তিন বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি করার পরে হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের পড়ুয়ারা গড়ে ১৪ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পেতে পারে। এমনকী যত দিন যাচ্ছে, এই পেশায় দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে বই কমছে না। রাজ্যের মধ্যে অ্যাপোলো, ক্যালকাটা মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, আমরি, বিএমবিড়লা হার্ট রিসার্চ, মেডিকা সিনার্জি, ফোর্টিস তো বটেই, সিএমসি ভেলোর, ম্যাক্সমুলার স্পেশালিটি হসপিটালেও চাকরি পাচ্ছে রাজ্যের হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের স্নাতক উত্তীর্ণরা। পাশাপাশি আরও অসংখ্য ছোট-বড় হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ক্লিনিক, রোগনির্ণয় কেন্দ্র ইত্যাদি তো আছেই।
একই মত জেআইএস গোষ্ঠীর কর্ণধার তরণজিৎ সিংহের। তিনি জানালেন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ-এর মতো জায়গাতেও চাকরির সুযোগ খুলছে ছাত্রছাত্রীদের সামনে।
আর এখন যেহেতু দেশে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে, তাই শিক্ষকতা করার সুযোগও সমান ভাবে খোলা বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে শিক্ষকতার দিকে যাদের আগ্রহ, তাদের অবশ্যই হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে উচ্চশিক্ষার দিকে এগোনো উচিত।
|
উচ্চশিক্ষার পথে হাঁটতে |
হসপিটাল ম্যানেজমেন্টে উচ্চশিক্ষার জন্য অবশ্য স্নাতক স্তরে বিষয়টি যে থাকতেই হবে তার কোনও মানে নেই, মত রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য প্রবীর শূর-এর। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তর স্তরে ‘মাস্টার ইন হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট’ পড়ানো হয়। এগুলি হল জেনেসিস ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, ডিএসএমএস কলেজ, চার্নক হসপিটাল।
যে-কোনও বিষয়ে স্নাতকরা একটি প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে উপরোক্ত তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মাস্টার ইন হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট’ বা ‘এমএইচএম’ কোর্সে ভর্তি হতে পারে। প্রবীরবাবুর আক্ষেপ, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট করে যে চাকরির প্রচুর সুযোগ মেলে, তা না-জানায় অনেকেই এখনও এ রাজ্যে এই বিষয়টি নিয়ে পড়ার কোনও আগ্রহ দেখায় না। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কিন্তু এই বিষয়ে প্রশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে এখন।
রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত হসপিটাল ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম ‘মাস্টার ইন হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ পড়ায় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। কলকাতার এনএসএইচএম কলেজ অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, পিয়ারলেস হসপিটাল অ্যান্ড বি কে রায় রিসার্চ ইনস্টিটিউটে এই পাঠ্যক্রমে ভর্তি করতে ‘জে ই ম্যাট’ প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র বাছাই করা হয়।
কলকাতায় হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও হেল্থ কেয়ার সংক্রান্ত স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম পড়ানোর ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ইনস্টিউট অফ সোশাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট-এর নাম উল্লেখযোগ্য। দু’বছরের এই কোর্স করলে রাজ্যের মধ্যে তাবড় তাবড় হাসপাতাল বা মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে তো বটেই, রাজ্যের বাইরের চিকিৎসাকেন্দ্রেও চাকরি মেলে। রাজ্যের বাইরে হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও হেল্থ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম পড়ায় মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিউট অফ সোশাল সায়েন্সেস-এ। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসক, নার্স, এম ফার্ম ডিগ্রিধারীরা দূরশিক্ষায় ১ বছরের সার্টিফিকেট কোর্স ইন হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিউট অব হেল্থ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার’ থেকেও। |
|
|
খেয়াল রাখুন তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ |
|
নেতাজি সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দু’টি এক বছরের ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম এনেছে এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (ই ডি আই)। ক্লাস হবে সল্টলেকে ই ডি আইয়ের প্রতিষ্ঠান চত্বরে। পাঠ্যক্রমগুলি হল ১) ডিপ্লোমা ইন অন্ত্রেপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্মল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট। যোগ্যতা, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। খরচ ৭,০০০ টাকা। ২) ডিপ্লোমা ইন ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম। যোগ্যতা, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। খরচ ৭,০০০ টাকা। ১৬ তারিখই ভর্তির শেষ দিন। ক্লাস হবে শুধু রবিবার। পড়ুয়ারা বিশেষ কর্মশালা, বাণিজ্য মেলা ও আলোচনা সভায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। আরও জানতে ফোন করো ০৩৩-২৩৩৫ ৭২৫৮ নম্বরে। দেখে নাও www.edikolkata.org ওয়েবসাইটটি।
|
অন্যান্য সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণের সঙ্গে এ বার জর্জ স্কুল অফ কম্পিটিটিভ এগজামিনেশন্স শুধু ব্যাঙ্কে চাকরির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করল। পশ্চিমবঙ্গের ৩১টি শাখাতে এই পাঠ্যক্রমটি চালু হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ফোন করে নেওয়া যায় ৯৮৩০২-৭৭১০০ নম্বরে।
|
|
‘গ্রিন কম্পিউটিং’-এর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে গ্লোবাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফোরাম (জিএসটিএফ)-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে এইচসিএল লার্নিং। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এইচসিএল ইনফোসিস্টেম্স-এর শিক্ষা ও প্রতিভা বিকাশ সংক্রান্ত বিভাগ এইচসিএল লার্নিং। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ‘গ্রিন কম্পিউটিং’। এটি হল, পরিবেশের ক্ষতি না-করে এবং যতটা সম্ভব বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে কম্পিউটার ও তার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ব্যবহারের পদ্ধতি। বৈদ্যুতিন বর্জ্য যাতে পরিবেশকে দূষিত করতে না-পারে সে জন্য ওই পদার্থগুলির যথার্থ সাফাই প্রক্রিয়াও ‘গ্রিন কম্পিউটিং’-এর মধ্যে পড়ে।
|
বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুতি দিচ্ছে ফ্রন্টলাইন ইনস্টিটিউট অফ কম্পিটেটিভ এগজামিনেশন। এর মধ্যে ‘ফন্টলাইন বেসিক’ বিভাগে রয়েছে স্টাফ সিলেকশন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, ইউ পি এস সি, ব্যাঙ্কিং সার্ভিস। ‘ফ্রন্টলাইন অ্যাডভান্টেজ’-এ থাকছে ব্যাঙ্ক প্রবেশনারি অফিসার-সহ স্কুল সার্ভিস কমিশন। ‘ফ্রন্টলাইন স্পেশাল’-এ থাকছে প্রাইমারি টিচার, গ্রুপ-ডি নিয়োগের পরীক্ষার প্রস্তুতি। বেহালা, পার্কস্ট্রিট, শিয়ালদহ, লেকটাউন, বারাসত -সহ বিভিন্ন জায়গায় শাখা আছে। ফোন নম্বর ২৩৩৪-৫৮৩১/ ৯৮৩৬৪-৩৬৩৬৪। frontlineinstitute.in ওয়েবসাইট দেখো। |
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
|
|
|
প্রশ্ন: আমার ছেলে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। ছোট থেকেই আঁকার ভাল হাত। ইচ্ছে, দ্বাদশের পর হয় আর্কিটেকচার, নয়তো ডিজাইনিংয়ের কোর্স করানোর। কোথায়, কী ভাবে ভর্তি করা যায় সবিস্তার জানালে উপকৃত হব।
তিমির দাস, দমদম
উত্তর: প্রথমে জানাই যে, দ্বাদশ পেরিয়ে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনার কোথায় কী সুযোগ রয়েছে।
১) রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটিতে (শিবপুর) ‘আর্কিটেকচার’ পড়া যেতে পারে। যাদবপুরে রয়েছে ৩১টি আসন এবং বেসুতে ২০টি।
২) আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মাধ্যমে ১০+২-এর পর খড়্গপুর এবং রুরকির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-তে ৫ বছরের ‘বি আর্ক’ পাঠ্যক্রমে ভর্তি হওয়া যেতে পারে।
৩) এ আই ট্রিপল ই পরীক্ষাটির মাধ্যমে দেশের একাধিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা এনআইটি-তে ‘বি আর্ক’ পড়া সম্ভব।
৪) দেশে আর্কিটেকচার পড়ার অন্যতম নামী প্রতিষ্ঠান, দিল্লির স্কুল অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার-এ পড়ার সুযোগ পেলে সব থেকে ভাল হয়। এ আই ট্রিপল ই পরীক্ষা দিয়েই ১০+২-এর পর ভর্তি হওয়া যায়।
এর পর আসছে ডিজাইনিং নিয়ে পড়ার বিষয়টি। |
|
১০+২ পাশ করার পর ডিজাইনিং নিয়ে পড়ার জন্য দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখযোগ্য। একটি হল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন। আর অন্যটি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি। দু’টিই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। আমদাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন (এন আই ডি)-এ চার বছরের পাঠ্যক্রম করা যায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, কমিউনিকেশন ডিজাইন, টেক্সটাইল অ্যাপারেল অ্যান্ড লাইফস্টাইল ডিজাইন-এর উপর। জানুয়ারি নাগাদ এখানে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। বিস্তারিত তথ্য মিলবে www.nid.edu ওয়েবসাইটটিতে।
ডিজাইনিং নিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি (এন আই এফ টি)-ও যথেষ্ট নামজাদা। কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, গাঁধীনগর, মুম্বই-সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে এন আই এফ টি-র শাখা রয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারি নাগাদ। বিস্তারিত তথ্য মিলবে www.nift.ac.in ওয়েবসাইটে। এখানে অ্যাকসেসরিজ ডিজাইন, ফ্যাশন কমিউনিকেশন, ফ্যাশন ডিজাইন, নিটওয়্যার ডিজাইন, লেদার ডিজাইন, টেক্সটাইল ডিজাইন-এ স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রম চালু রয়েছে।
|
উত্তর পেতে চিঠি লিখুন
পেশার দুনিয়ার যাবতীয় খোঁজখবর পেতে, নিজেকে পেশাদার হিসাবে তৈরি করার জন্য
প্রশিক্ষণের হাল-হদিস ও পাঠ্যক্রমের খুঁটিনাটি জানতে এবং বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে
আপনার
যে কোনও প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পাওয়ার জন্য চিঠি লিখতে পারেন এই ঠিকানায়-
আপনার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞের উত্তর,
কাজের বাজার,
ব্যবসা বিভাগ,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা- ৭০০০০১।
নিম্নোক্ত ই-মেল-এও আপনার প্রশ্ন পাঠাতে পারেন:
kajerbazar@abp.in |
|
|
|
|
|
|