বিধি ভেঙ্গে নিলাম ডেকে ৮ লক্ষ টাকার গামার গাছের ‘লগ’ ৫ লক্ষ টাকায় পছন্দের লোককে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কোচবিহার ২ ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের বিরুদ্ধে। কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির তরফে কোচবিহার জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সোমবার বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক সুদীপ মিত্র। তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসককে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।” গত ৭ সেপ্টেম্বর বক্সিরহাটে তুফানগঞ্জ-২ বিডিও অফিসে ২৫০টি গামার গাছ বিক্রির নিলাম ডাকা হয়। যেখানে সময়মতো হাজির হওয়ার পরেও বেশ কয়েক জনকে নানা অজুহাতে নিলামে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। যাদের নথিপত্রে খামতি দেখানো যায়নি এমন ২ জনকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলে বিডিও নিজের পছন্দের লোককে নিয়ে আলোচনার পর টেন্ডার হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়ে দেন। এমনকী বন দফতরের কোনও প্রতিনিধি ওই নিলামে ছিলেন না। কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির জোড়াই শাখার কার্যকারী সভাপতি বুদ্ধদেব বসুর অভিযোগ, “নিলামের ২৫০টি গামার গাছের লগ থেকে কমপক্ষে তিন হাজার সিএফটি কাঠ পাওয়া যাবে। যার বাজার দর ৮ লক্ষ টাকা। মাত্র ৫ লক্ষ ৮ হাজার টাকায় ওই নিলাম হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বিডিও থেন্ডুপ শেরিং শেরপা বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির হলঘরে নিলাম হয়েছে। যাদের বৈধ কাগজপত্র ছিল সকলেই টেন্ডারে অংশ নেন। তা ছাড়া কাঠ নিলামের আগে বন দফতর সেগুলির দাম ৫ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। তার থেকে বেশি টাকায় পঞ্চায়েত সমিতির অন্যান্য পদাধিকারিদের উপস্থিতে নিলাম হয়েছে। এটা যেহেতু বন দফতরের কাঠ নয়, সেজন্য তাদের কোনও প্রতিনিধিকে ডাকা হয়নি।” বন দফতর অবশ্য বিডিও’র দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। কোচবিহারের ডিএফও পিনাকী মিত্র বলেন, “ওই নিলামের ব্যপারে আমরা দাম নির্ধারণ করে দিইনি।” তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ছিট বড়লাউকুঠি সমিতির উদ্যোগে বনসৃজন করা হয়। সম্প্রতি ভাঙনে ২৫০টি গামার গাছ কেটে নিলামের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
|
তিন দিন ধরে চেষ্টা চালিয়েও বন দফতরের কুনকি প্রমীলাকে ঘরে ফেরাতে পারলেন না বনকর্মীরা। গত শনিবার দুপুরে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ওই কুনকি হাতি জঙ্গলে লতাপাতা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে সেটিকে পানবাড়ি জঙ্গলে দেখা যায়। বনকর্মীদের দেখেই ১৬ বছরের স্ত্রী হাতি প্রমিলা গভীর জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। তল্লাশি শুরু হলেও কুনকিটির খোঁজ মেলেনি। সোমবার পূর্ব রাজাভাতখাওয়া জঙ্গলের ২১ মাইল এলাকায় প্রমীলাকে ফের দেখতে পান বন কর্মীরা। উর্মিলা এবং চম্পারানি নামে আরও দুটি কুনকির সাহায্যে সেটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু দিনভর চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। সেটির আশেপাশে বুনো হাতিদেরও দেখা মিলেছে। সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের অফিসার উৎপল দত্ত বলেন, “অন্য কুনকি হাতিদের সাহায্যে প্রমিলাকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” পরিবেশপ্রেমী ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “প্রাকৃতিক নিয়মে পুরুষ হাতির সঙ্গে মিলনের উদ্দেশ্যে স্ত্রী কুনকি হাতিরা জঙ্গলে যায়। আবার ফিরেও আসে। অন্য কুনকি হাতিদের সাহায্যে প্রমীলার উপর নজরদারি চালাতে হবে।”
|
কুকুরকে খুন করার অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রায়গঞ্জের চণ্ডীতলায়। সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা কুকুরটিকে মৃত দেখতে পেয়ে বিক্ষোভে নামেন। তাঁদের অভিযোগ, এক দুষ্কৃতী অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কুকুরটিকে মারে। পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হেয়।
|
অসমে গোলাঘাট জেলায় বিহোগুড়ি চা বাগানে কাল রাতে নর্দমায় পড়ে যায় একটি হাতির ছানা। খবর পেয়ে নুমালিগড় বিট অফিস থেকে চলে আসেন বনকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটে রাজবাড়ি এলাকায়। বনকর্মীরা মাটি কাটার যন্ত্র এনে নর্দমার মুখ কেটে বড় করে দেন। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর অবশেষে আজ সকালে হাতির ছানাটি উদ্ধার করা হয়। নর্দমা থেকে উঠে কিছু ক্ষণ হাঁটাচলা করে হাতির ছানাটি। তার পর জঙ্গলের দিকে দৌড় মারে। |