কর্মীর অভাব, টিকিট বিক্রি বন্ধে দুর্ভোগ
ম্পিউটার চালিত রিজার্ভেশন কাউন্টার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও কর্মী অভাবে তা চালু করা সম্ভব হয়নি। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টিকিট দেওয়ার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে গত দেড়মাস ধরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা রাধিকাপুর স্টেশন থেকে রাধিকাপুর-কলকাতাগামী একমাত্র ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতিদিনই রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকশো যাত্রী স্টেশনে গিয়ে টিকিট না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চেপে ১১ কিলোমিটার দূরে কালিয়াগঞ্জ এবং ৩৪ কলোমিটার দূরের রায়গঞ্জ স্টেশনে গিয়ে কলকাতাগামী ট্রেনেরে টিকিট কাটতে বাধ্য হচ্ছেন। রেল সূত্রের খবর, রাধিকাপুর যাত্রীদের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ কলকাতাগামী ওই ট্রেনের স্লিপার শ্রেণির ১১টি টিকিট এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ৪টি টিকিট বরাদ্দ করেছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জ এবং রায়গঞ্জ স্টেশনে গিয়েও টিকিট মিলছে না। অন্যযাত্রীদের কাছে টিকিটগুলি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। রাধিকাপুর স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট বালমুকুন্দ যাদব বলেন, “কম্পিউটার চালিত কাউন্টারের জন্য কম্পিউটার থাকলেও প্রশিক্ষিত কর্মী নেই। কিন্তু ওই কাউন্টার চালুর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় প্রশাসনিক জটিলতায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।” যদিও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম ভূষণ পটেল বলেন, “কোনও স্টেশন কর্তৃপক্ষ টিকিট দেওয়া বন্ধ করতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে রাধিকাপুর স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। টিকিট দেওয়ার কাজ যাতে শুরু হয় সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেসের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী প্রমথনাথ রায় বলেন, “অবিলম্বে কর্মী নিয়োগ করে রাধিকাপুর স্টেশনে কম্পিউটার চালিত টিকিট সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালুর জন্য রেলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। ওই ব্যবস্থা চালু করা না অবধি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তা চালানো দাবি জানানো হয়েছে।” রাধিকাপুর, কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ হয়ে কলকাতাগামী একমাত্র ট্রেন রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। প্রতিদিন ট্রেনটি যাতায়াত করে। পাঁচ বছর আগে রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির উদ্যোগে রাধিকপুর-বারসই ব্রডগেজ লাইন চালু হওয়ার পর ট্রেনটি চালু হয়। প্রথম থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টিকিট দেওয়া হয়। দেড় মাস আগে কম্পিউটার চালিত টিকিট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২টি কম্পিউটারও পাঠানো হয়। রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্মল কুমার দাস বলেন, “স্টেশন কর্তৃপক্ষ কলকাতাগামী ট্রেনের টিকিট দেওয়া বন্ধ করায় সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ থেকে টিকিট কাটতে হচ্ছে। ফের টিকিট দেওয়া চালু করা না হলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.