সম্পাদক সমীপেষু...
কলকাতা = লন্ডন গ্রামগুলির কী হবে?
রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী সরকার গঠনের পরে পরেই কলকাতাকে লন্ডনের আদলে তৈরি করবেন বলে ঘোষণা করলেন। খুব ভাল কথা। কলকাতার উন্নতি দেখতে কার না ভাল লাগে। এই শহরে অত্যাধুনিক বিমানবন্দর গড়ে উঠুক, প্রশস্ত রাজপথ তৈরি হোক, শিশুদের জন্য বিভিন্ন প্রান্তে অজস্র পার্ক গড়ে উঠুক, বিদেশের মতো ফুটপাথ কেবলমাত্র পথচারীদের জন্য নির্দিষ্ট রাখা হোক। কিন্তু কলকাতা শহর শেষ হলে চতুর্দিকে যে হাজার হাজার গ্রাম আছে এদের কী হবে? শহরগুলিতে সন্ধে নামার সঙ্গেই আলো জ্বলে ওঠে। এই ‘হাই-টেক’ যুগেও গ্রামগুলিতে সন্ধে নামলে চতুর্দিকে নিকষ কালো অন্ধকার নেমে আসে। নিয়ন বা ভেপার না-ই বা হল, অন্তত পক্ষে প্রতিটি পোলে একটি করে একশো ওয়াটের বাল্ব কি দেওয়া যায় না? অধিকাংশ গ্রামে না আছে ভাল রাস্তা, না আছে পার্ক, না আছে একটি গ্রন্থাগার।
ভবিষ্যতের দিকে! কলকাতার রাজপথ।
পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার কলকাতায় আশানুরূপ ভাবে ভোট না-পেলেও কলকাতায় কোটি কোটি টাকা ঢেলেছে। নিউটাউন তৈরি করে গেছে। বর্তমান সরকারও কলকাতাকে লন্ডনের মতো ঝাঁ চকচকে শহর করতে চাইছে। গ্রামগুলিকে বঞ্চিত করে কলকাতার শ্রীবৃদ্ধির জন্য কোটি কোটি টাকা ঢালা কি পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি রাজ্যের উন্নতির লক্ষণ? সত্যি বলতে কী, আজও একটি গ্রামের ছেলে চাকরি পেলেই শহরে মাথা গোঁজার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। গ্রামের লোককে গ্রামে ধরে রাখতে গেলে কলকাতার মতো গ্রামগুলিকে সব দিক দিয়ে আরও উন্নত করতে হবে।

আমাদের বাড়ি মধ্য হাওড়ার বেলিলিয়াস লেনের অন্তর্গত কৃত্তিবাস ধাড়া লেনে। এলাকা পুনর্বিন্যাসে এটি শিবপুর বিধানসভার মধ্যে। এখানকার বিধায়ক বর্তমানে মন্ত্রী। আমাদের কাউন্সিলর (২১ নং ওয়ার্ড) তৃণমূল কংগ্রেসের। গত ১২-৮ থেকে জল জমার মতো বৃষ্টি হয়নি। তা সত্ত্বেও এ পত্র লেখার তারিখ পর্যন্ত (১৮-৮) আমাদের রাস্তার কিছু অংশ জলমগ্ন ছিল। জানি না, এই নরক যন্ত্রণা কত দিন ভোগ করতে হবে?

অসহায়? প্রতিবন্ধীদের একটি মিছিল।

ডাক্তার নেই, শংসাপত্র পেতে হয়রান প্রতিবন্ধীরা’ (১২-৮) প্রসঙ্গে কিছু কথা। বিজ্ঞানসম্মত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে একজন প্রতিবন্ধীর অবশ্য প্রয়োজন পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা। এই পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য সেই প্রতিবন্ধীকে জেলা ও মহকুমা স্তরের হাসপাতালগুলিতে ও কলকাতার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের সম্মুখীন হতে হয়। আবার একটি মহকুমার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের অনেক প্রতিবন্ধীর পক্ষে সেই মেডিক্যাল বোর্ডে আদৌ উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয় না। এর ফলে, বহু প্রতিবন্ধী বছরের পর বছর সরকারি পরিচয়পত্র প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত থাকেন। ব্লক স্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে উক্ত মেডিক্যাল বোর্ড স্থায়ী ভাবে বসানোর ব্যবস্থা করা গেলে তৃণমূল স্তরের প্রতিবন্ধীরা বিশেষ উপকৃত হতেন। দ্বিতীয়ত, অনেক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও ঠিক মতো মূল্যায়ন না-করেই শংসাপত্র দেন। আবার অনেক হাসপাতালে এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকাও মানা হয় না।
বিষয়টি ত্রুটিমুক্ত করতে গেলে আগে প্রয়োজন শংসাপত্র প্রদানকারী চিকিৎসকদের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য অধিকর্তার মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা মূল্যায়ন সম্পর্কিত সচেতনতা শিবিরের আয়োজন। এই শংসাপত্র জোগাড় হলে পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সর্বস্তরের প্রতিবন্ধীরা যে সব সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন, তার মধ্যে আছে বিনামূল্যে সহায়ক যন্ত্র প্রদান, ছাত্রবৃত্তি প্রকল্প, অক্ষম ভাতা প্রদান, পরিবহণে যাতায়াতের সুবিধা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তায় স্বনির্ভরতা, সরকারি চাকরিতে বয়ঃসীমা শিথিল, বৃত্তিকর রেহাই প্রভৃতি।
১৪ অগস্ট রবিবাসরীয়-তে প্রকাশিত আমার ‘সমুদ্র ও অমিতাভ’ গল্পটিতে ‘মনে করো আমি নেই’ গানটিকে শ্যামল মিত্রর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গানটি প্রকৃতপক্ষে শ্রীমতী সুমন কল্যাণপুরের। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য দুঃখিত।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.