মেসিদের খেলার পরে ৪৮ ঘণ্টাও কাটেনি। তার মধ্যেই সল্টলেক স্টেডিয়াম ফের ‘বহিরাগতদের’ দখলে। রবিবার থেকেই যুবভারতী চত্বরে ফের চালু হয়ে গেল ভলভো বাসের গ্যারাজ। এমনকী, যত্রতত্র বসে পড়েছে চায়ের দোকানও। যদিও ক্রীড়ামন্ত্রীর দাবি, যাদের স্টেডিয়াম থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল, তাদের আর ফিরতে দেওয়া হবে না।
দীর্ঘদিন ধরেই সল্টলেক স্টেডিয়ামের পাঁচ নম্বর গেটের ভিতরে একটি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার তত্ত্বাবধানে চলা ভলভো বাসের গ্যারাজ রয়েছে। ওই স্টেডিয়ামে যাঁরা যাতায়াত করেন, তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামের ভিতরে এ ভাবে বাসের গ্যারাজ চলছে কী ভাবে? কিন্তু, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তার স্পষ্ট উত্তর নেই কারও কাছেই। |
আজ, সোমবার মেসিদের শহর ছাড়ার কথা। তার আগে রবিবার দুপুরে স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে ভিআইপি গ্যালারির দিকে হাঁটার সময়েই চোখে পড়ল রাস্তার দু’ধারে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রুটের ভলভো বাস। তার কোনওটি কলকাতার মধ্যেই চলাচল করে। কোনওটি আবার কলকাতা থেকে আসানসোল কিংবা শিলিগুড়ি যায়। স্টেডিয়ামের ভিতরে ১ নম্বর গেট থেকে ৫ নম্বর গেটের দিকে যেতেই চোখে পড়বে বাসের মেরামতি ও দেখভালের কাজ চলছে। বাইপাসের ধারে স্টেডিয়ামের লোহার গেটের ঠিক ভিতরেই ওই গ্যারাজ। সেখানে কাজ করছেন মিস্ত্রিরা। এক জায়গায় রয়েছে ওই বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার নাম লেখা একটি বিরাট লোহার ‘কন্টেনার’ও। স্টেডিয়াম চত্বরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দিনে প্রায় ৩৫টি বাস স্টেডিয়ামে থাকে।
উল্লেখ্য, আর্জেন্তিনা এবং ভেনেজুয়েলার ম্যাচের আট দিন আগেই ওই গ্যারাজ স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন। কর্মীরা জানালেন, এই আট দিন গ্যারাজটি রাজারহাটে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাসও থাকত সেখানেই।
যুবভারতীর ভিতরে মেরামতির কাজের জন্য ভলভো বাসের ওই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্টেডিয়াম-কর্তৃপক্ষেরই একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে বাসের ডিপো রয়েছে। সল্টলেকের করুণাময়ী এবং ১২ নম্বর ট্যাঙ্কে রয়েছে দু’টি বড় বাসস্ট্যান্ড। তা সত্ত্বেও গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্টেডিয়ামকেই কেন বাস রাখার জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র অবশ্য এ দিনও বলেন, “যা গিয়েছে, তা গিয়েছে। স্টেডিয়ামের ভিতরে আর বাস দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।” |