টুকরো খবর |
সদ্যোজাতের মৃত্যুর সংখ্যায় প্রথম ভারত
সংবাদসংস্থা • রাষ্ট্রপুঞ্জ |
বিশ্বে সদ্যোজাতের মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে সব চেয়ে এগিয়ে ভারত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন) বা ‘হু’ জানিয়েছে, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৯ লক্ষ সদ্যোজাতের মৃত্যু হয় এ দেশে। ‘হু’-র সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বে মোট সদ্যোজাতের মৃত্যুর ২৮ শতাংশই হয় ভারতে। ‘হু’-র রিপোটে জানা যাচ্ছে বিশ্বের মোট সদ্যোজাতের মৃত্যুর ৯৯ শতাংশই হয় উন্নতিশীল বা অনুন্নত দেশগুলিতে। কিন্তু বিপুল জনসংখ্যার ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যায় প্রথম ভারত। সদ্যোজাতের মৃত্যু ঠেকানোর মতো পরিকাঠামোর অভাব, গ্রামাঞ্চলে অসুরক্ষিত প্রসব, জন্মের চার সপ্তাহের মধ্যে নিউমোনিয়া ইত্যাদি কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। তবে ভারতে বর্তমানে যা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো রয়েছে, সচেতনতা বাড়ালে তাতেই সদ্যোজাতের মৃত্যু অনেকটা কমানো যাবে বলেও দাওয়াই বাতলেছে সংস্থাটি। সদ্যোজাতের মৃত্যুর নিরিখে ভারতের পর, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিশ্বের সপ্তম জনবহুল দেশ নাইজিরিয়া। ১৯৩টি সদস্যদেশে ২০ বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘হু’। |
আর্সেনিকের কবলে রাজ্যের ৩৬% বাসিন্দা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের ৭৯টি ব্লক এখনও আর্সেনিক-কবলিত। জনস্বাস্থ্য করিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ মানুষই আর্সেনিক-কবলিত। বিধানসভায় ওই দফতরের বাজেট বিতর্কের সময়ে আরএসপি-র নর্মদাচন্দ্র রায় আর্সেনিক প্রসঙ্গ তোলেন। মন্ত্রী জানান, আর্সেনিক-কবলিত ব্লকের বাসিন্দারা যাতে পরিস্রুত পানীয় জল পান, সেই চেষ্টা করছে সরকার। সব মিলিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ব্যয়বরাদ্দ হিসেবে ১০৩৬ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা দাবি করেন সুব্রতবাবু। বামফ্রন্ট সরকারের সমালোচনা করে মন্ত্রী জানান, রাজ্যের সর্বত্র পরিস্রুত জল পৌঁছে দিতে শেষ বার বাম সরকার ২৬২ কোটি টাকা ধার্য করেছিল। নতুন সরকার ধার্য করেছে ৭৩৪ কোটি টাকা। তাঁর কথায়, “এতেই বোঝা যায়, এ কাজে কতটা সদিচ্ছা ছিল বাম সরকারের!” তিনি জানান, ২০২০ সালে রাজ্যের প্রত্যেক বাসিন্দাকে দিনে ৭০ লিটার জল দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। |
আরজিকরে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কয়েক মাসের মধ্যেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুরু হতে চলেছে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন। শুক্রবার হাসপাতালে চক্ষুব্যাঙ্ক সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় এ কথা জানান চক্ষু বিভাগের প্রধান গৌতম বিশ্বাস। ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ প্রোগ্রামে গত সাত বছর ধরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করছে ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতাল। বছরে ৫০০-র বেশি কর্নিয়া পাওয়া সত্ত্বেও এত দিন আরজিকর তার একটিও নিত না। তাদের অজুহাত ছিল, কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের পরিকাঠামো বা লোকবল হাসপাতালে নেই। বহু সমালোচনা হয়েছে। দৃষ্টিহীন লোকেরা হাসপাতালে কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের জন্য এসেও ফিরে যেতেন। ব্যারাকপুরের ওই চক্ষু হাসপাতালের চেয়ারম্যান দেবাশিস ভট্টাচার্যের দাবি, বহু বার অনুরোধ সত্ত্বেও আরজিকর কর্নিয়া নিতে চায়নি। তিনি বলেন, “২০০৪ থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ হাজারেরও বেশি কর্নিয়া আরজিকর থেকে সংগৃহীত হয়েছে। গত দু’বছরে সেই সংখ্যা ছিল ৫৮৫ ও ৫৭১। আমরা কিছু কর্নিয়া আরজিকরকে দিতে চেয়েছিলাম। ওরা নিতে চায়নি।” দেবাশিসবাবু আরও বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানে গৌতমবাবু কর্নিয়া নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করতেই আমরা রাজি হয়েছি।” গৌতমবাবু জানান, এ বার থেকে হাসপাতালে যত কর্নিয়া সংগৃহীত হবে, তার ২৫% নেবে হাসপাতাল। হাসপাতালেই সেগুলি দৃষ্টিহীনদের চোখে বসবে। কর্নিয়া গ্রহীতাদের নাম নথিভুক্ত করা, একটি ফ্রিজ ও কর্নিয়া ডুবিয়ে রাখার জন্য এম কে মিডিয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। |
চিকিৎসায় ‘গাফিলতি’
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে শুক্রবার এ ব্যাপারে হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “অভিযোগ কতটা ঠিক তার জন্য তদন্ত করা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মুরারই থানার রুদ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা লাখপতি শেখ (৪৫) নামে এক ব্যক্তি কীটনাশক খেয়েছিলেন। রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত নার্সরা ঠিক মতো চিকিৎসা পরিষেবা দেননি। তাই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জন্য ওই ব্যক্তি কীটনাশক খেয়েছেন। |
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজের দাবিতে অনশন
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা |
|
মছলন্দপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেটের সামনে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের কাজ দেওয়ার দাবিতে অনশন শুরু করেছেন কয়েকজন গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা-১ ব্লকের মছলন্দপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ওই এলাকার ১৫ জন বাসিন্দা অনশনে বসেন। অনশনকারীদের মধ্যে ১৪ জনই মহিলা। অনশনকারীদের দাবি, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাফাইকর্মী হিসাবে কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। তাঁরা সকলেই ব্লক হেল্থ সেল্ফ হেল্ফ গ্রুপের সদস্য। প্রথম পাঁচ মাস ১৭ দিন কাজ করার জন্য তাঁদের দেওয়া হয়েছিল ৫৫ হাজার টাকা। পরবর্তী ১৮ মাস তাঁদের বেতন দেওয়া হয়নি। ওই সময়ে তাঁরা এ নিয়ে আন্দোলন করেন। এর পরে তাঁদের ১৩ মাসের কাজের টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তার পর গত এক বছর ধরে তাঁদের বেতন বন্ধ রয়েছে। ওই সেল্ফহেল্ফ গ্রুপের সম্পাদক অবিরাম রায় বলেন, “হঠাৎই বিএমওএইচ জানিয়ে দেন, আমাদের আর কাজ করতে হবে না। তাই কাজের দাবিতে আমরা অনশন শুরু করেছি। এ ব্যাপারে বিএমওএইচের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।” বিএমওএইচ প্রবীর বাগ বলেন, “জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশমতো ওঁদের কাজে নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নেয়, ওঁদের আর কাজে নেওয়া হবে না। কেননা অর্থের অভাব রয়েছে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত শীল বলেন, “ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতিমধ্যেই চারজন সুইপার রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট। তা ছাড়া কাউকে নিয়োগ করার ক্ষমতা আমার নেই। যদিও ওঁরা আমাকে সরকারিভাবে কিছু জানাননি।” |
ধৃত ভুয়ো ‘চিকিৎসক’
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা করার অভিযোগে শুক্রবার সালানপুর থানার পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুরে অভিজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তি ওই চিকিৎসকের কাছে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য যান। কিছুক্ষণ কথা বলার পরেই তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিজিৎ রায় নামে ওই ‘ভুয়ো চিকিৎসক’ উত্তর চব্বিশ পরগনার নোয়াপাড়ার বাসিন্দা। রূপনারায়ণপুরের আমডাঙায় তিনি বেশ কিছু দিন ধরে রোগী দেখছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার করে রোগী দেখার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগেও তাঁকে একই অভিযোগে আসানসোল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে একটি নির্দিষ্ট মামলায় অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। |
|