বরাদ্দ অর্থের মাত্র ১ শতাংশ খরচ হয়েছে ‘হেলথ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ (এইচএসডিআই) প্রকল্পে। এই পরিসংখ্যান পিছিয়ে পড়া জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের। এই প্রকল্পে মূলত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ হয়। জেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে। তা সত্ত্বেও বরাদ্দ টাকা পড়ে থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এইচএসডিআই প্রকল্পে ব্লকে কী কী কাজ হচ্ছে, কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, সব জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র। তিনি বলেন, “৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিএমওএইচ’দের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যাবে। সময়মতো কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করব।” তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কিছু কর্তার মতে, তদারকির অভাবেই প্রকল্পের কাজ স্বাভাবিক গতিতে এগোচ্ছে না। এখন যা পরিস্থিতি তাতে যথাসময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়।
জেলা জুড়েই গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি বেহাল। কোথাও ছাঁদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। কোথাও বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধিকাংশ ঘর ব্যবহারের অযোগ্য। অথচ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণ ও সংস্কারের জন্যই রয়েছে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প। নিয়মমাফিক টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। অথচ তা খরচ হয়নি। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এইচএসডিআইয়ে চলতি আর্থিক বছরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য মোট ১৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৪২ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে খাতায়-কলমে এখনও পড়ে রয়েছে ১৩ কোটি ১৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৮৯ টাকা। জেলা প্রশাসনের শেষ পরিসংখ্যান বলছে, বরাদ্দ অর্থের মাত্র ১ শতাংশই খরচ হয়েছে! অথচ, স্বাভাবিক গতিতে কাজ এগোলে এই সময়ের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা।
কাজের গতি স্বাভাবিক নেই মেনেই জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “ব্লক স্তরে অনেক কাজ হয়ে যায়। কিন্তু সময় মতো ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি) জমা পড়ে না। ফলে বরাদ্দের একাংশ খরচ হলেও তার পরিসংখ্যান সময়মতো আমাদের কাছে আসে না।” সমস্যার কথা মানছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও। তাঁর কথায়, “কয়েকটি প্রকল্প হস্তান্তর হয়নি। তাই ইউসি জমা পড়েনি।” |