|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
নব নব ভূতে এসো প্রাণে |
বইপোকা |
ভূতেরা সকল ভূত হইয়াছে। বরষাও, এক নিম্নচাপ না হইলে আজিকালি তেমন জমে না। পোড়োবাড়ি গত হইতেছে, সুতরাং ভূতসকলের জমি ক্রমে অধিগৃহীত হইয়া যাইতেছে। এই অবস্থায় তাহারা থাকিবে কোথায়? ভূত না থাকিলে ভূতের গল্পই বা জমিবে কী করিয়া? সম্ভবত এই কারণেই বেশ কিছু কাল হইল বাংলা সাহিত্যে ভূতের বড় আকাল। এমনকী ‘ছাপাখানার ভূত’ বলিয়াও ত আর কিছুর কল্পনা করা চলে না অফসেট মুদ্রণের এই যুগে। অবশ্য ভূত থাকিলেই যে ভূতের গল্প জমিবে তেমন না হইতেও পারে, তেনাদের লইয়া গল্প জমাইতে কব্জির জোরও থাকা চাই। তেমন সবল নূতন কব্জিই বা গত এক দশকে বাংলা সাহিত্যের এ দিগরে দেখা দিল কই। তবে ভূত ভূত হইলে কী হইবে, প্রকাশকের ভূতের ব্যবসা ত জমাইতে হইবে, কাজেই ভূতপূর্ব গল্পসকলই ভরসা। সেই ভরসাতেই ভূতের গল্পের বিবিধ সংকলন বইপাড়া জুড়িয়া। অবস্থা এখন এমন যে গল্পের ভূত দেখিলেই পাঠক ভাবিতেন, নূতন বোতলে...! এই বাজারে মিত্র ও ঘোষ একটি সংকলন প্রকাশ করিয়াছেন যাহার সব গল্প নতুন। তাহার প্রচ্ছদে বাঁধা আছে এক টুকরা কাগজ, তাহাতে ঘোষণা, ‘সংকলনের সব গল্প নতুন’। যাক, কয়েকটি অ-ভূতপূর্ব ত মিলিল। ভূত না থাকিলে বাংলা সাহিত্যের আর ভবিষ্যৎ কী! শারদ সাহিত্যের এই বাজারে তাই বলিতে ইচ্ছা করে, তুমি নব নব ভূতে এসো প্রাণে...
পুনশ্চ: ২০ অগস্টের বইপোকায় গোয়েন্দা অশোক ঠাকুর সমগ্র-এর প্রকাশক ‘অঞ্জলি পাবলিশার্স’ লিখিয়াছিলাম, হইবে ‘অঞ্জলি প্রকাশনী’। প্রমাদটির দায় ছাপাখানার তেনাদের স্কন্ধে চাপাইতে চাহি না, আমারও ত ভূতের ভয় আছে! |
|
|
|
|
|