রঘুনাথপুরে জখম দুই পুলিশ কর্মী |
লরির ধাক্কায় মৃত্যু, অবরোধ বিষ্ণুপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর ও রঘুনাথপুর |
বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হওয়ায় প্রায় দু’ঘণ্টা পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর সোনামুখী রাস্তায় জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের কাছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রণব নন্দী (২৫)। বাড়ি বিষ্ণুপুর থানার ভাটরা গ্রামে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় একটি বেসরকারি সংস্থার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রণববাবু তাঁর স্ত্রীকে বাসে তুলে দিতে বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলেন। মোটরবাইকে করে বাড়ি ফেরার সময়ে সারদা সেতুর উপরে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বালি বোঝাই লরির সঙ্গে ধাক্কা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এর পরেই সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দেহ ও ভাঙা বাইকে ঘিরে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষ্ণুপুর থানায় ঘটনাটি জানিয়ে ওই লরিকে আটক করার দাবি জানান তাঁরা। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ওই যুবকের আত্মীয়-পরিজনরা। অবরোধের জেরে রাস্তার দু’পাশে আটকে পড়ে যানবাহন। |
|
শুক্রবার বিষ্ণুপুরে শুভ্র মিত্রের তোলা ছবি। |
মৃতের এক আত্মীয় লালমোহন মণ্ডল বলেন, “মাত্র বছর খানেক আগে বিয়ে হয়েছিল প্রণবের। তার স্ত্রী আংশিক সময়ের শিক্ষিকা। ওর বাবা-মা দু’জনেই অসুস্থ। দাদা থাকে বাইরে। এখন কী হবে বুঝতে পারছি না।” ভাটরা গ্রামের বাসিন্দা কানাইলাল সাহা, সরোজ নন্দীরা বলেন, “নদীর বালি নিয়ে দ্রুত গতিতে কলকাতামুখী লরিগুলি চলাচল করে। সেতুর কিছু অংশ ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। মেরামত হয়নি। সেতু দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানিয়েছি।” দুপুর ১২টা নাগাদ বিষ্ণুপুর ছেড়ে কলকাতা দিকে যাওয়ার পথে চালক-সহ লরিটিকে আটক করে পুলিশ। এর পরেই বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেন। পুলিশ জানায়, অবরোধ ওঠার পরে দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্য দিকে, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন রাজ্য পুলিশের দুই কর্মী। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে রঘুনাথপুর থানার চিনপিনা গ্রামের অদূরে রঘুনাথপুর-বাঁকুড়া সড়কে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বিকেলে মোটরবাইকে করে রঘুনাথপুর থেকে ফিরছিলেন রতনলাল দে ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায় নামে সাঁতুড়ি থানার দুই কর্মী। পথে একটি গরু বাইকে ধাক্কা মারলে তাঁরা পড়ে যান। সুদীপবাবুর চোট গুরুতর বলে তাঁকে প্রথমে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে কলকাতায় পাঠানো হয়। আর রতনলালবাবুকে রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শুক্রবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। |
|