l দিদি রিঙ্কু দাসের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণ দিয়েছিল রাজীব দাস।
l ছিনতাইকারীদের হাতে কলকাতা পুলিশের এক কর্মী এবং তাঁর স্ত্রী জখম হন ২ অগস্ট রাতে।
l শুক্রবার গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করার সময় পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। এ বার আর রাতে নয়, বিকেলে।
বারাসতে খোদ জেলাশাসকের অফিসের সামনে সাধারণ মানুষ তো দূরস্থান, পুলিশও যে নিরাপদ নয়, এ দিন ফের তার প্রমাণ মিলল। রাজীব-হত্যা এবং পুলিশকর্মীর স্ত্রী আক্রান্ত হওয়ার পরে নিরাপত্তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা এবং প্রশাসনের দৌড়ঝাঁপকে তুড়ি মেরেই বারাসতের ওই অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় সেখানে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালায় মোটরবাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতী। কোনও পুলিশকর্মীর গায়ে গুলি লাগেনি ঠিকই। কিন্তু ওই এলাকার নিরাপত্তার বেহাল দশাকে ফের বেআব্রু করে দিয়েছে এ দিনের ঘটনা। মোটরবাইকের চালক ইসমাইল আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার সঙ্গী পালিয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশে আঁস্তাকুড়ে পাওয়া গিয়েছে একটি নাইন এমএম পিস্তল। |
ঠিক ওই জায়গাতেই গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দিদির শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণ দিয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাজীব দাস। গত মাসে সেখানেই ছিনতাইবাজদের হাতে আক্রান্ত হন কলকাতা পুলিশের এক কর্মী এবং তাঁর স্ত্রী। এ দিন সেখানেই ফের আক্রান্ত পুলিশ।
এ দিন ঠিক কী ঘটেছিল?
পুলিশি সূত্রের খবর, অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারেও জেলাশাসকের অফিস এবং পুলিশ সুপারের বাংলোর সামনে যানবাহন পরীক্ষা চলছিল। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মহা-ম্যাচের জন্য নিরাপত্তা নিয়ে তৎপরতাও ছিল তুঙ্গে। গাড়ি পরীক্ষার সময়েই বারাসত হাসপাতাল থেকে জেলাশাসকের অফিসের দিকে খুব জোরে মোটরবাইকে আসছিল দুই যুবক। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল না। পুলিশকর্মীরা তাদের থামিয়ে লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজপত্র দেখতে চাইলে দ্রুত পালাতে যায় তারা। হাওয়ায় মোটরবাইকের পিছনে বসা যুবকের জামা উড়তে থাকায় তার কোমরে গোঁজা পিস্তলটি পুলিশের চোখে পড়ে॥উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, “আগের ঘটনাগুলির পরে জেলাশাসকের অফিস চত্বরে আলো এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছিল। এ দিনের ঘটনার পরে নজরদারির আরও বাড়ানো হচ্ছে।” |