|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা সুচিকিৎসার সন্ধান |
ভোল বদল |
সত্যজিৎ চক্রবর্তী |
পুর হাসপাতালের সংস্কার করে তাকে উন্নত ও আধুনিক হাসপাতালে পরিণত করল দমদম পুরসভা। পুরসভার দাবি, এর ফলে কলকাতার হাসপাতালে কিছুটা হলেও রোগীর চাপ কমবে। উপকৃত হবেন স্থানীয় মানুষজন। নানা নতুন পরিষেবা-সহ সম্প্রতি উদ্বোধন হল এই হাসপাতালের।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এত দিন পুরসভার হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল নামমাত্র। জটিল রোগ হলেই শিশুদের নিয়ে যেতে হত কলকাতার হাসপাতালে। ছিল না আধুনিক অপারেশন থিয়েটার।
|
|
অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্সের সংখ্যাও ছিল নিতান্তই কম। জটিল রোগ হলে চিকিৎসকেরা রোগীকে রেফার করে দিতেন কলকাতার হাসপাতালে। ফলে রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যেতে সময়মতো অ্যাম্বুল্যান্স, অর্থ জোগাড় করা সমেত নানাবিধ সমস্যায় ভুগতে হত রোগীর আত্মীয়দের।
পুরসভা সূত্রে খবর, সংস্কারের পর হাসপাতাল ভবন সম্প্রসারণ করে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকছে জরুরি বিভাগ। চারটি আধুনিক মানের অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে, যেখানে অর্থোপেডিক, নিউরোলজি, ল্যাপ্রোস্কপির মতো অস্ত্রোপচার সম্ভব। নতুন করে খোলা হয়েছে আইসিসিইউ। প্রসূতি বিভাগে মায়েদের জন্য পৃথক শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়মিত ৫০ জন চিকিৎসক ও ৪০ জন নার্স রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা বিভাগকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে হাসপাতাল ভবনের তিন তলায়। |
|
এ ছাড়াও সামান্য খরচে রক্ত, মল-মূত্র, কফ, ডায়াবেটিস, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সুবিধা পাওয়া যাবে ডায়ালিসিসেরও।
শিশু চিকিৎসার উন্নতির জন্য নতুন করে খোলা হয়েছে পেডিয়াট্রিক বিভাগ। কেবল ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা নয়, শিশুদের সুস্থ করার জন্য পেডিয়াট্রিক বিভাগে রাখা হয়েছে খেলার সরঞ্জামও। এলাকার বাসিন্দা রামপেয়ারি সাউয়ের কথায়: “বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে এখন পুরসভার হাসপাতালে নিশ্চিন্তে নিয়ে যেতে পারছি। খরচও কম হচ্ছে।” |
|
দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের সঞ্জীব চন্দ বলেন, “দমদমবাসীর সুবিধার জন্যই পুরসভা এই হাসপাতালের সংস্কার করেছে। দমদম পুরসভার মধ্যবিত্ত, ও নিম্নবিত্ত মানুষদের ব্যয়বহুল নার্সিংহোম কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না। এর ফলে কলকাতার হাসপাতালেও রোগীর চাপ কমবে। এ ছাড়া হাসপাতাল থেকে আয় হওয়া অর্থ ব্যয় করা হবে হাসপাতালেরই উন্নয়নকল্পে।”
|
ছবি: সুদীপ ঘোষ। |
|
|
|
|
|