টুকরো খবর

দূষণ কমাতে শিল্পকে উৎসাহ দেবে রাজ্য
কার্বন দূষণ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রাজ্য সরকারের কপালে। যে কারণে কার্বন নির্গমন কমাতে প্রযুক্তি ব্যবহারে শিল্পমহলকে উৎসাহ দিতে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হচ্ছে তারা। এ নিয়ে সিআইআই, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশন প্রমুখের সঙ্গে যৌথ ভাবে সমীক্ষাও চালাবে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। নিগমের পরামর্শদাতা সুদীপ সিংহ জানান, বিকল্প শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কেন্দ্র কিছু সুবিধা দিলেও রাজ্য স্তরে আলাদা কোনও আর্থিক নীতি নেই। দূষণ হ্রাসের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলে শিল্প সংস্থাকে বাড়তি খরচ করতে হয়। সে জন্যই তাদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। যেমন, কোনও সংস্থা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করলে তাকে কিছু সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিংবা শক্তি সংক্রান্ত সার্টিফিকেট পাওয়ার খরচও পরে মিটিয়ে দিতে পারে রাজ্য। এই সমীক্ষার অন্যতম বিশেষজ্ঞ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জয়শ্রী রায়ের বক্তব্য, পরিবেশ সহায়ক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে সংস্থাকে যে বাড়তি খরচ বহন করতে হয়, তাতে প্রতিয়োগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়ে তারা। সে জন্যই এ ধরনের আর্থিক সুবিধা দেওয়া জরুরি।

হরিণের মৃত্যুর পরে সাসপেন্ড বনকর্তা
বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে হরিণ-মৃত্যুর তদন্তে নেমে শুক্রবার ডিএফও (নদিয়া-মুর্শিদাবাদ) সৌরীন পালকে সাসপেন্ড করল বন দফতর। গত বুধবার নদিয়ার ওই অভয়ারণ্যে ক্রমান্বয়ে প্রায় হাজার তিনেক পর্যটক ঢুকেছিলেন। দিনভর তাঁদের একাংশ কয়েকটি হরিণকে তাড়া করেছিলেন। ওই ‘তাণ্ডবের’ পরিণতিতে মারা গিয়েছিল দু’টি চিতল হরিণ। পিটিয়ে মারা হয়েছিল একটি গন্ধগোকুলকেও। কিন্তু ওই ‘কাণ্ডের’ পরেও স্থানীয় ডিএফও সৌরীনবাবুর দেখা পাওয়া যায়নি। এমনকী, চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে দাবি করেছিলেন বনকর্মীদের একাংশ। এর পরেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। এ দিন বন দফতরের সচিবের সই করা চিঠিতে ওই বনকর্তাকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ দিনও বহু চেষ্টা সত্ত্বেও যোগাযোগ করা যায়নি সৌরীনবাবুর সঙ্গে। পক্ষান্তরে বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে পর্যটকদের হরিণ দেখার ‘উৎসাহে’ কোনও খামতি ছিল না এ দিনও। মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ ধরে ছবি তোলা কিংবা পশুপাখিদের হাত দিয়ে ছুঁয়ে আদর করার চেষ্টা এ দিনও দেখা গিয়েছে। এ ব্যাপারে বনকর্মীদের জানিয়ে ‘লাভ হয়নি’ বলে অভিযোগ স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। অভিযোগ মানতে চাননি বনকর্মীরা।

সর্পাঘাতে মৃত
সর্পাঘাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হল। শুক্রবার ওদলাবাড়ির ডিপোপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মালা রায় (২৫)। দুপুরে ঘরের মেঝেয় তিনি শুয়েছিলেন। সে সময় সাপটি তাঁকে ছোবল মারে। মালবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত্যু তিনটি হাতির
বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারের সংস্পর্শে এসে মারা পড়ল শাবক-সহ তিনটি হাতি। এই দুর্ঘটনা ঘটেছে রাঁচির কাছে ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলায় তিরলা গ্রামে। বন দফতর সূত্রে খবর, খাদ্যের সন্ধানে গ্রামে ঢুকেছিল হাতির দল। একটানা বৃষ্টির ফলে বিদ্যুতের খুঁটি আলগা হয়ে এক জায়গায় তার খসে মাটিতে ঝুলছিল। কোনও ভাবে তড়িৎবাহী তারের সংস্পশে এসে যায় কয়েকটি হাতি। তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় দু’টি হস্তিনি ও একটি ছানার।

ফ্যাসাদ
নিজস্ব চিত্র। শুক্রবার।
ফের সামরিক ছাউনির জলাধারে পড়ল শাবক-সহ স্ত্রী হাতি। দু’মাসে এ নিয়ে পাঁচ বার। বন ও সামরিক বাহিনীর কর্মীরা মা ও শাবককে উদ্ধার করেছেন। ঘটনাচক্রে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে এ দিন বাগডোগরাতেই ছিলেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল অতনু রাহা। ঘটনাস্থলে গিয়ে জলাধার দেখে তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তারা বেশ কয়েক বার সামরিক বাহিনীকে জলাধারগুলি জাল দিয়ে ঘিরতে বলেছেন। কাজ হয়নি। দিল্লিতে সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ স্তরে কথা বলার আশ্বাসও দেন তিনি।

ধৃত
বেআইনি করাত কল চালানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বন দফতর। শুক্রবার বৈকুণ্ঠপুর বন দফতরের সারুগাড়া রেঞ্জের কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। ধৃত ব্যক্তির নাম শিবকুমার শর্মা। বনকর্মীদের কাছে তিনি ওই করাত কলের বৈধ প্রমাণ দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে, বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা বেআইনি ভাবে কাঠ কাটার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ধরেন। ধৃতের নাম বিমল রায়। ডিএফও ধর্মদেব রাই জানান, এই ঘটনায় আর কারা জড়িত তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.