আইনের প্রতি সম্মান এবং সহনশীলতা এই নিয়ে গড়ে উঠবে লিবিয়ার নতুন সমাজ। প্যারিস সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের এমন আশ্বাসই দিলেন লিবিয়ার অন্তবর্তিকালীন সরকারের প্রতিনিধিরা।
বিদ্রোহী জাতীয় কাউন্সিলের নেতা মুস্তাফা আব্দেল জলিল বলেছেন, লিবিয়ায় নতুন সংবিধান তৈরি হবে। দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচনও হবে। মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি সম্মেলনে উপস্থিত ৬৩টি দেশের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, লিবিয়ার নতুন নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানান।
পাশাপাশি তাঁরা জানান, লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযান চলবে কারণ সেখানে এখনও গদ্দাফি বাহিনীর আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। বাজেয়াপ্ত ১৫০০ কোটি ডলার কী ভাবে কোন খাতে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়েও অন্তবর্তী প্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বিশ্বনেতারা। খাদ্য, ওষুধ, জল সরবরাহ এই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি ছাড়াও অন্তবর্তী সময়ে নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ওই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
হিলারি ক্লিন্টন জানান, গদ্দাফির ৪২ বছর শাসনের পরে নতুন করে শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা, সংবিধান তৈরি, স্বচ্ছ নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে সময় লাগবে। আশা করি গোটা প্রক্রিয়ায় সব দেশ সহযোগিতা করবে।
ত্রিপোলিতে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে জীবন। শহর পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। বিদ্রোহী জাতীয় কাউন্সিলের হস্তক্ষেপে তুলে দেওয়া হচ্ছে পথ-অবরোধ। উৎসব উদ্যাপনে শূন্যে গুলি চালানো বন্ধের জন্য জারি হয়েছে নোটিস। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে লিবিয়ার সব স্কুল খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহী জাতীয় কাউন্সিলের শিক্ষাবিষয়ক প্রধান সলিমান এল-সালি।
এর মধ্যে ফিলিপিন্স সরকার আবার জানিয়েছে, গদ্দাফির চার পরিচারিকা ত্রিপোলি থেকে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তাদের সরকারের কাছে। এই চার পরিচারিকা আদতে ফিলিপিন্সেরই বাসিন্দা। ত্রিপোলিতে গদ্দাফির এক ভাইঝির জন্য কাজ করতেন ওই চার জন। বিদ্রোহীদের কবলে পড়ার পরে গদ্দাফির পরিবার পালিয়ে গেলেও এই চার পরিচারিকা ত্রিপোলিতেই রয়ে যান। তাঁরা ফিলিপিন্সে তাঁদের বোনকে ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে সাহায্যের কথা বলেন। যদিও তাঁরা ঠিক কোথায় রয়েছেন, তা জানাতে পারেননি। |