কেতুগ্রাম
জোর করে স্কুলে ঢুকতে গিয়ে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষক
জোর করে স্কুলে ঢুকতে যাওয়ায় কেতুগ্রামের আমগোড়িয়া-গোপালপুর আর জি এম ইনস্টিটিউশনের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মালেক রহমানকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কেতুগ্রাম থানার আইসি রঞ্জন সিংহ বলেন, “ওই ব্যক্তির স্কুলে ঢোকার অনুমতি নেই। তা সত্ত্বেও তিনি জোর করে স্কুলে ঢুকে পড়েন। বার বার নিষেধ করা হলেও তিনি কারও কথা শুনতে চাইছিলেন না। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” আজ, শনিবার ওই শিক্ষককে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। যদিও প্রায় সপ্তাহ তিনেক পরে শুক্রবার থেকে বেশ কয়েক জন শিক্ষক ফের স্কুলে যেতে শুরু করেছেন।

মালেক রহমান। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা পৌনে ১০টা নাগাদ স্কুলে চলে আসেন মালেক রহমান। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছে যায় আমগোড়িয়া ক্যাম্পের পুলিশ। তারা ওই প্রাক্তন প্রধান শিক্ষককে জানান, তাঁর স্কুলে ঢোকার অনুমতি নেই। বারণ করা সত্ত্বেও তিনি স্কুলে এসেছেন। তাঁকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধও করা হয়। এরপরই পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন মালেক রহমান। তর্কাতর্কি চলাকালীন স্কুলে কাছে থাকা কয়েক জন তৃণমূল কর্মীও ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তাঁরাও প্রাক্তন শিক্ষককে সরকারি নির্দেশ মেনে স্কুলের বাইরে চলে আসতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি স্কুলেই থাকতে চান বলে
অভিযোগ। তখন কেতুগ্রাম থানা থেকে আরও পুলিশ গিয়ে ছাত্রদের সামনেই গ্রেফতার করে মালেক রহমানকে। প্রসঙ্গত, মালেক রহমান আমগোড়িয়া-গোপালপুর আর জি এম ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। গত বছর এপ্রিলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশেই মালেক রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। প্রথমে ২০০৬ সালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে স্কুলের সিপিএম প্রভাবিত তৎকালীন পরিচালন সমিতি তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়ে তিনি হেরে যান। গত বছর ১২ মার্চ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাঁকে বরখাস্তের নির্দেশ দেয়। পরিচালন সমিতি তা কার্যকর করে ১৬ এপ্রিল।
রাজ্যে ক্ষমতা হাতবদলের পরে স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতার মদতে স্কুলে গিয়ে ওই প্রাক্তন শিক্ষক ‘দাদাগিরি’ শুরু করেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে স্কুলের ২০ জন শিক্ষক ও পরিচালন সমিতি শিক্ষা দফতর-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি দেন।
কয়েক দিন আগে বর্ধমানের স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আব্দুল হাই কেতুগ্রাম থানার আইসি রঞ্জন সিংহ কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মালেক রহমান স্কুলে ঢুকে অচলাবস্থা তৈরি করছেন। স্কুল পরিদর্শক কেতুগ্রামের আইসি-র কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরে আইসি ওই ব্যক্তিকে স্কুলে যেতে নিষেধ করেছিলেন। এই ঘটনার পরে সোমবার ও বৃহস্পতিবার মালেক রহমান স্কুলে না গেলেও শুক্রবার তিনি ফের জোর করে স্কুলে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ।
এ দিন গ্রেফতার হওয়ার পরে মালেক রহমান বলেন, “আমার উপরে সকলে অন্যায় করল। সত্য এক দিন উন্মোচিত হবেই।”
এ দিন তৃণমূলের কেতুগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি রত্নাকর দে বলেন, “মালেক রহমান আমাদের ভুল বুঝিয়েছিলেন। তাই আমরা ওঁকে সমর্থন করেছিলাম। এখন আমরা সত্যিটা জানি। আইন আইনের পথেই চলবে, এটাই নিয়ম।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.