অবহেলিত প্রেক্ষাগৃহ ‘চিত্রালয়’ |
দুর্গাপুর শহরকে যখন মেগাসিটি হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় ক্রমশ শপিং কমপ্লেক্স, অত্যাধুনিক মল, ড্রিমপ্লেক্স চারি দিকে তৈরি হয়েছে, তখন চরম অবহেলার শিকার হয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্যশালী প্রেক্ষাগৃহ ‘চিত্রালয়’। স্পষ্টতই পুরসভার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনও আন্তরিক উদ্যোগ দেখা যায়নি। কয়েক বছর আগে এই প্রেক্ষাগৃহটিকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেও এখন সে-সব বিশ বাঁও জলে। লক্ষণীয়, অন্য প্রেক্ষাগৃহ ‘অনুরাধা’-র সংস্কারের কাজ আরম্ভ হলেও ‘চিত্রালয়’ কিন্তু যে তিমিরে সেই তিমিরে। এই ঘটনা দুর্গাপুরের নাগরিক পরিষেবার দিকেই প্রশ্ন তুলেছে। ফলস্বরূপ দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পরিত্যক্ত প্রেক্ষাগৃহটি জরাজীর্ণ, ভগ্নদশায় পরিণত হয়ে রাতের অন্ধকারে হয়ে উঠেছে সমাজবিরোধীদের আদর্শ আশ্রয়। এ ব্যাপারে সমগ্র দুর্গাপুরবাসীর আশা-ভরসা এখন একমাত্র নব নির্বাচিত রাজ্য সরকার। দেখার বিষয়, উন্নয়নমুখী পরিবর্তনের জোয়ার চিত্রালয়ের ভাগ্য ফেরাতে সমর্থ হয় কি না।
তাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি একান্ত অনুরোধ, তাঁরা যেন অবিলম্বে প্রেক্ষাগৃহটির সংস্কারের বিষয়টি একটু ভেবে দেখেন।
শুভজিত রায়। সিটি সেন্টার, দুর্গাপুর-১৬
|
মসলন্দপুর থেকে সাদপুর-উলুডাঙ্গা হয়ে কৃষ্ণনগর কালীবাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা যান চলাচল ও মানুষের চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কুড়ি হাজারেরও বেশি অধিবাসী অধ্যুষিত এই রাস্তার দু’পাশে রয়েছে দু’টি উদ্বাস্তু উপনিবেশ, একটি উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ডাকঘর ও ছয়টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই সব বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রতি মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে হয়। একমাত্র যানবাহন অটোরিকশাও চলে প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে। রাস্তাটির গুরুত্ব অনুভব করে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় অনুমোদন পেয়েও, টেন্ডার ডাকার সময়ে অজ্ঞাত কারণে এই রাস্তার অনুমোদন বাতিল করে অন্য একটি রাস্তা তৈরি করা হয়। বর্তমান এই এলাকার মাননীয় সাংসদ প্রাক্ নির্বাচন কালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই রাস্তাটি তৈরি করার, কিন্তু আজও ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা রাস্তাটির বিন্দুমাত্র সংস্কার হয়নি। রাস্তার মাঝে মাঝে এমন গর্ত রয়েছে, মনে হয় ছোট ছোট জলাশয়।
জরাজীর্ণ এই রাস্তার জন্য সাদপুর, উলুডাঙ্গা ও পালপাড়ার হাজার হাজার অধিবাসীর জরুরি প্রয়োজনে হাবড়া ও বসিরহাট যাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। অধিবাসী ও ছাত্রছাত্রীদের দুর্দশার কথা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে, কৃষ্ণনগর কালীবাড়ি থেকে মসলন্দপুর স্টেশন পর্যন্ত একমাত্র সংযোগকারী এই রাস্তাটিকে দ্রুত সংস্কার ও পাকা করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাসমোহন দত্ত। মসলন্দপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
|
লোকাল ট্রেনে নিত্যযাত্রীদের অত্যাচারে সাধারণ যাত্রীদের ট্রেনযাত্রা নরকযন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলিতে নিত্যযাত্রীরা জোর করে খবরের কাগজ, ওষুধের প্যাকেট, রুমাল ইত্যাদি দিয়ে জায়গা দখল করে রাখছে। বিশেষ করে কৃষ্ণনগর স্টেশন ও রানাঘাট স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা সকালের ট্রেনগুলিতে এই ধরনের কাণ্ড নিয়মিতই চলছে। ফলে সাধারণ যাত্রীদের নিয়মিত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অনেক অসুস্থ ও বয়স্ক যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এর সঙ্গে রয়েছে কাপড় বিছিয়ে তাস খেলা ও ধূমপান করা।
রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, জি আর পি ও আর পি এফ-এর কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, অবিলম্বে এই স্টেশনগুলিতে নজরদারি বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলিতে নিত্যযাত্রীদের জোর করে জায়গা রাখা বন্ধ করুন। এমন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন যাতে সাধারণ যাত্রীরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন এবং নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন।
নীলাংশু ধর। বাদকুল্লা, নদিয়া
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি, সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|