মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (জুনিয়র) এবং বনগাঁ মহকুমা একাদশের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ঘিরে রবিবার বনগাঁয় ক্রীড়াপ্রেমীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এবং বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় বনগাঁ স্টেডিয়ামে রবিবার খেলা হয়। মহকুমার ক্রীড়ামোদী মানুষ বহু দিন পরে এলাকায় বড় মাপের খেলা দেখে খুশি। যদিও ম্যাচটি গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ায় খানিকটা যেন খেদ রয়ে গেল অনেকের মনে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ম্যাচের স্পষ্ট নিষ্পত্তি চেয়েছিলেন তাঁরা।
এ দিনের ম্যাচের প্রথমার্ধে মহামেডান দল দাপিয়ে বেড়ায়। তবে মাঝমাঠ নির্ভর খেলাই হয়েছে বেশি সময়। গোলের কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু ফরওয়ার্ডের ব্যর্থতায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় মহামেডানের। অন্য দিকে, মহকুমা একাদশের হয়ে সুকদেব মৃধা এবং শান্তনু চক্রবর্তীর খেলা সকলের নজর কাড়ে। ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রেফারি তরুণ বিশ্বাস। চতুর্থ রেফারি ছিলেন শঙ্কর অধিকারী। |
ম্যাচের শেষে মহামেডানের কোচ মহম্মদ শাহিদ বলেন, “আমাদের দলের দু’জন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আসতে পারেনি।” বনগাঁর দলের তারিফ করেন তিনি। ম্যাচের ফলাফলে খুশি বনগাঁ মহকুমা একাদশের ম্যানেজার তপন আইচ। তিনি বলেন, “মহামেডানের মতো শক্তিশালী দলকে আটকে দিতে পেরেছি, এটাই তো বড় কথা।”
এ দিন পায়রা উড়িয়ে ম্যাচের উদ্বোধন করেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। হাজির ছিলেন বনগাঁরই প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন দত্ত, মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুনীল সরকার প্রমুখ। উদ্যোক্তা সংস্থার সম্পাদক বুদ্ধদেব শর্মা বলেন, “আমরা প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাজ করি। ম্যাচটি আয়োজনের কারণ, এই টাকায় আমরা প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য স্কুল করব।” |