গ্যারাজে বাসগুলো আপাতত নেই। র্যাম্পে ওঠার সামনের চাতালে বাঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে লেন। র্যাম্পের আশপাশের ঝোপঝাড়ও সাফ। ড্রেসিংরুমের সামনের করিডর ধরে হাঁটতে গেলে নাকে আসছে নতুন রঙের কড়া গন্ধ। নতুন লাল ম্যাট্রেসও বসছে সেখানে। ড্রেসিংরুমে একদম শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।
মেসি আসার দিন দুই আগেই যুবভারতী এখন দেখার জিনিস। রবিবার বিকালে অনেক সাধারণ মানুষ চলে এসেছেন যুবভারতীর সাজ দেখতে। কিছু স্কুলছাত্র একটি নাট্যোৎসব দেখে ঢুকে পড়েছে মেসির খেলার মাঠটিকে এক পলক দেখে নিতে। আর্জেন্তিনা থেকে আসা টিভি চ্যানেলের লোকেরাও ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন স্টেডিয়ামে। ছবি তুলছিলেন। ম্যাচে বিভিন্ন দিকে মোট পনেরোটি ক্যামেরা বসছে। ভারতে এই প্রথম কোনও ফুটবল ম্যাচে এত ক্যামেরা।
|
মেসিদের ড্রেসিংরুমে বসার জায়গা পরীক্ষা করছেন
সাপোর্ট স্টাফ পাওলো। ছবি: উৎপল সরকার। |
পাশাপাশি কিন্তু কয়েকটি জায়গা এখনও মনে করিয়ে দিচ্ছে পুরনো যুবভারতীকে। গ্যালারির নীচের তলার কয়েকটি টয়লেট এখনও যথেষ্ট নোংরা। জায়গায় জায়গায় ডাঁই হয়ে রয়েছে ভাঙা কাঠের টুকরো। কর্মীদের দাবি, ম্যাচের আগে সাফ হয়ে যাবে। এ সবের মধ্যেই দেখা গেল, একটা গোলপোস্টের নেট ফুটো। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় দৌড়ে এলেন সেটা সারাতে।
এ সবের মধ্যে এ দিনই মেসি-ম্যাচের বলের উদ্বোধন হল। নাইকি বা আদিদাস নয়, খেলা হবে ভারতীয় ব্র্যান্ড নিভিয়া ‘সিমবোলো’ বলে। সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের প্রধান ভাস্বর গোস্বামী সেখানেই বলছিলেন, “আর্জেন্তিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচের নাম ‘রোজভ্যালি ফুটবল ফেস্ট’। এ রকম ফেস্ট প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হবে।” টিকিট নিয়ে উৎসাহ তুঙ্গে। তাঁর মুখেই জানা গেল, “মেঘালয়, মিজোরাম, ঝাড়খন্ড-সহ কয়েকটি ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আসতে পারেন খেলা দেখতে।”
শুধু রাজনীতিবিদ কেন, শিল্প সংস্থা, বলিউডের বড় বড় মুখও হাজির হচ্ছেন মেসির টানে। কিন্তু কলকাতার সবচেয়ে বড় লাভ বোধহয় যুবভারতীর ভোলবদল। কিছুটা হলেও। |