রাস্তার কাজ কারা করবে তাই নিয়ে বিবাদ। আর তারই জেরে রবিবার সকালে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাধল খড়গপুর গ্রামীণ এলাকার কৃষ্ণনগরে। আহত হয়েছে দু’পক্ষের ৭ জন। আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল ও খড়গপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। হামলায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। খড়গপুর লোকাল থানার ওসি সুশান্ত রাজবংশীর বক্তব্য, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। অনভিপ্রেত ঘটনাতে এড়াতে এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়গপুর গ্রামীণ এলাকার কৃষ্ণনগরে এখন জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কারা কাজ পাবে তা নিয়ে আগেও দু’পক্ষের গোলমাল হয়েছে। সামান্য বচসা থেকে রবিবার সকালে তৃণমূল-বিজেপি’র কর্মীরা আচমকাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বিজেপি’র জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “দলীয় পার্টি অফিস দখল করার চেষ্টা করছে তৃণমূলের লোকেরা। সেই থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। এর আগেও দলীয় কর্মীদের উপর অতর্কিতে হামলা হয়েছে।” তৃণমূলের পাল্টা দাবি, পালাবদলের পর পরিস্থিতি বুঝে সিপিএম কর্মীদের একাংশ বিজেপি’তে নাম লিখিয়েছে। তারাই এখন দলীয় কর্মীদের উপর হামলা করছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের কথায়, “দলীয় কর্মীরা স্থানীয়দেরই রাস্তার কাজে যুক্ত করার দাবি রেখেছিলেন। আচমকা সশস্ত্র লোকজন হামলা করে। বিজেপি-সিপিএম এক হয়েই এদিন হামলা করেছে।”
তৃণমূলের বক্তব্য, সংঘর্ষে তাদের ৫ কর্মী আহত হন। এঁদের মধ্যে দু’জনের আঘাত গুরুতর। সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দিকে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের হামলায় আহত হয়ে তাদের ২ কর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। |