সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মনমোহন সিংহের বাংলাদেশ সফরে শুধু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হচ্ছেন উত্তর-পূর্বাচলের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই। এই সুযোগে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে যে সব সমস্যা আছে তা মিটিয়ে নি তে চান অসম ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বিস্তারেও আগ্রহী দুই রাজ্য।
অসম-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও গরু পাচার মূল সমস্যা। আবার বাংলাদেশ-মেঘালয় সীমান্তে ১২টি এলাকা নিয়ে দখলদারি বিতর্ক রয়েছে। মাঝেমধ্যেই দুই পক্ষের গ্রামবাসী ও সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বিবাদ বাধে, গুলি বিনিময়ও হয়। মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাকে জবাবদিহি করতে দিল্লি দৌড়তে হয়। তাই, মুকুল বলেছেন, “সীমান্তে বাংলাদেশ বাহিনী ও ওপারের গ্রামবাসীদের দখলদারি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিপাক্ষিক জরিপ ও স্থায়ী সীমানা নির্ধারণের আগে এ পারের বিতর্কিত জমিতে বাংলাদেশের তরফে কোনওরকম হস্তক্ষেপ বা হানাদারি মানা হবে না।”
অন্য দিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের অভিমত, “অসম ও বাংলাদেশের মধ্যে বিতর্কিত যে সব এলাকা নিয়ে বিবাদ আছে সেখানে কেন্দ্রের ইচ্ছানুযায়ী দেওয়া-নেওয়া নীতি অবলম্বন করা যেতে পারে। বিতর্ক জিইয়ে রেখে আমরা কিছুই পাব না। ওই জমি ব্যবহারও করা যাবে না। বরং জমি বিবাদ মিটিয়ে ফেললে সীমান্তে বেড়া বসানোর কাজ শেষ করা যেতে পারে।” তবে, অসমের জমি, এইভাবে, বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনা কিছুতেই মেনে নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে আসু।
সীমান্ত প্রসঙ্গে পৃথক অবস্থান নিলেও, বাণিজ্য বিস্তারে, বাংলাদেশকে কাছে পেতে সমান আগ্রহী মেঘালয় ও অসম। গগৈ বলেন, “বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী নিজে আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পড়শি দেশের সঙ্গে সড়ক, বিমান ও জলপথ যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে তথ্য-প্রযুক্তি সংযোগ। কক্সবাজার বন্দর ব্যবহার করে যৌথ উদ্যোগে বাণিজ্য বিস্তারের বিষয়টির উপরেও জোর দেব আমি।” মুকুল, সিলেট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সুবিধা নিতে চান। |