এক দিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অণ্ণা হজারের গাঁধীবাদী আন্দোলনকে সমর্থন, অন্য দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে সশস্ত্র হামলা। আলফা আছে আলফাতেই। কাল রাতে তিনসুকিয়ার ডুমডুমায় ডাইসা সেনাঘাঁটিতে আলফা জঙ্গিদের হামলায় মারা গিয়েছেন দুই জওয়ান। পাশাপাশি, গুয়াহাটির শান্তিপুর এলাকায় আজ সকালে ভরালুমুখ পুলিশ উদ্ধার করেছে ব্যাগভর্তি প্রচুর বিস্ফোরক। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে আবদুল চাবুর নামে ধুবুরির এক বাসিন্দাকে।
এক দিন আগেই সংগ্রামপন্থী আলফার সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া ঘোষণা করেছিলেন, গাঁধীবাদীরা যদি আলফার দাবি ও সংগ্রামে সহমত হন, তবে ভবিষ্যতে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ পরিহার করতে পারে তাঁর সংগঠন। অণ্ণা অনশন তুললেও আলফা যে এখনই অহিংস পথে পা বাড়াচ্ছে না, তা পরিষ্কার হয়ে গেল সেনা ঘাঁটিতে ওই জঙ্গি সংগঠনের হামলায়। |
বিস্ফোরক-সহ ধৃত আবদুল চাবুর। ছবি: উজ্জ্বল দেব |
সেনা সূত্রে খবর, কাল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনসুকিয়ার ডুমডুমায়, ডাইসা সেনা শিবিরের প্রবেশ পথে গ্রেনেড ও গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই জওয়ান। জখম হন আরও কয়েক জন। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকা জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও সেনা। আহত জওয়ানদের দিনজান সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ, এক ই মেল বিবৃতিতে এই হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে পরেশপন্থী আলফার লেফটেন্যান্ট অরুণোদয় দহোটিয়া জানিয়েছেন, ভারতীয় ‘দখলদার বাহিনী’ উজানি অসমে যে স্বেচ্ছাচার ও হত্যালীলা শুরু করেছে, তার প্রতিবাদেই এই সশস্ত্র কর্মসূচি ‘সফলভাবে’ পালন করা হয়েছে। অন্য দিকে, গুয়াহাটির শান্তিপুর এলাকায় আজ সকালে উদ্ধার করা বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ শান্তিপুর মসজিদ লেনের মাটি খুঁড়ে বিস্ফোরক ভরা একটি বড় ব্যাগ উদ্ধার করে। ব্যাগটিতে পাওয়া যায় ৪০০ ডিটোনেটর ও ৫০টি জিলেটিন স্টিক ছিল।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আবদুল চাবুর নামে এক যুবককে। এই বিস্ফোরক কোথা থেকে এল তা জানতে আবদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। |