সাংবাদিক নিগ্রহ, রিপোর্ট পাঠাতে বলল কমিশন
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে (টিএমসি) ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গোলমালের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে ১১ জন সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হন। দিনটি ছিল গত ১০ জুলাই। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানোর জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি সেলিম আলিকে সম্প্রতি একটি নোটিস পাঠিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১০ জুলাইয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যে শুরু হয়ে যায় চাপানউতোরের রাজনীতি। রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। জনমনেও সঞ্চারিত হয় ব্যাপক ক্ষোভ। অ্যাসেমব্লি অফ জার্নালিস্ট-এর সদস্যরা অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবি জানিয়ে পথেও নামেন। চলে ধর্না। এ বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করে একটি স্মারকলিপিও তাঁকে দিয়ে আসেন সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। পরবর্তীকালে এ প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও অভিযোগ জানানো হয়। তারই প্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পুলিশের ডিজিকে নোটিস পাঠিয়েছে। নোটিস পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য পুলিশের রিপোর্ট কমিশনকে পাঠানোর জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সময় মতো রিপোর্ট না পাঠালে কমিশন উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে, সেটাও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। |
বিশেষ মর্যাদা, আন্দোলন তীব্র করার হুমকি
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
কেন্দ্রীয় সরকার বিহারকে বিশেষ মর্যাদা না দিতে চাইলেও নীতীশ কুমার তা আদায় করে নিতে চান। আজ পটনায় এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। গত মাসে বিহারের শাসক দল জেডিইউয়ের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করে বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি তোলেন। একই সঙ্গে বিশেষ মর্যাদার দাবিতে বিহারের ১.২৫ কোটি সই সম্বলিত একটি দাবিপত্রও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তাঁরা। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী জানয়েছিলেন, কেন্দ্রের উন্নয়ন কমিশনে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। কিন্তু দু’দিন আগে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার জন্য যে সব অবস্থা থাকা প্রয়োজন, তা বিহারের নেই। তবে কেন্দ্র ফিরিয়ে দিলেও নীতীশ একেবারেই দমে যাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, “বিহারের জন্য আমরা বিশেষ মর্যাদা আদায় করেই ছাড়ব। প্রয়োজনে কেন্দ্রের উপরে চাপ তৈরির জন্য আমরা আরও বড় আন্দোলনে নামব।” তাঁদের তোলা বিশেষ মর্যাদার দাবি একেবারেই ন্যায্য বলে দাবি করে নীতীশ ইঙ্গিত দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই দাবিতে পটনার ঐতিহাসিক গাঁধী ময়দানে বিরাট বড় সমাবেশের ডাক দেবেন তাঁরা। নীতীশের কথায়, “বিহারের উন্নয়নের জন্য বিশেষ মর্যাদা প্রয়োজন।” |
রুশদিকে নিয়ে বিতর্কে কাশ্মীরি সাহিত্য উৎসব
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
শুরুর আগেই বিতর্কে জড়িয়ে গেল জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম সাহিত্য উৎসব। লেখক সলমন রুশদিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন তাঁরা আদৌ রুশদিকে আমন্ত্রণ জানাননি। জম্মু-কাশ্মীরে ‘হারুদ’ সাহিত্য উৎসবে সলমন রুশদিকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে বলে ফেসবুকে জানিয়েছে একটি গোষ্ঠী। তাদের দাবি, কাশ্মীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রমাণ করতেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব বয়কট করতে হবে। ‘হারুদ’-এর উদ্যোক্তাদের দাবি, তাঁরা রুশদিকে আমন্ত্রণ জানাননি। উৎসবের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের যোগ নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উৎসবের বিরুদ্ধে প্রচার হচ্ছে। |