অণ্ণার পাশাপাশি রবিবার সকলের নজর ছিল বছর আটেকের ইকরা ও সিমরনের দিকেও। এদের দেওয়া ডাবের জলের গ্লাসে চুমুক দিয়েই অনশন ভাঙেন অণ্ণা। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ইকরা প্রায় এক ঘণ্টা বসেছিল অণ্ণার পাশে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সে জানায়, অণ্ণা তাঁকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে বলেছেন। ইকরার বাবা শাকিমুল্লা বলেন, “রবিবার সকালেও জানতাম না আমার মেয়ের হাতে অণ্ণা অনশন ভাঙবেন। এর জন্য আমি গর্বিত।”
|
চার দিকে ছড়িয়ে আধখাওয়া খাবার, জলের বোতল, কলার খোসা, কার্পেট! অণ্ণা অনশন তোলার পর এই হল রামলীলা ময়দানের চিত্র। অনশন চলাকালীন নিয়মিত ময়দান পরিষ্কার করেছেন দিল্লি পুরসভার কর্মীরা ও ‘টিম-অণ্ণা’-র স্বেচ্ছাসেবকরা। তা হলে এখন এই অবস্থা কেন? ‘টিম-অণ্ণা’-র এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, “ইন্ডিয়া গেট-এ প্রচুর কাজ। এখন এ সব করার সময় নেই।” দুর্নীতির জঞ্জাল সাফ করতে গিয়ে তৈরি হল যে জঞ্জাল তা যে কে সাফ করবে জানা নেই কারও!
|
নকশাল ও সন্ত্রাসবাদীদের অণ্ণার আন্দোলন থেকে শেখা উচিত বলে জানালেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মতে অহিংসা ভারতীয়দের ডিএনএ। অণ্ণার আন্দোলন অহিংসার শক্তিকে ফের প্রমাণ করল। অণ্ণা অনশন তোলার পরই মোদী ট্যুইট করেন, “নকশাল-সন্ত্রাসবাদীদের উচিত অহিংস আন্দোলনকে স্বীকৃতি দেওয়া। অহিংস নীতিই ভারতকে শক্তিশালী করবে।”
|
অণ্ণার সমর্থনে অনশন করে চোদ্দো কেজি ওজন কমিয়ে ফেললেন গ্যাংটকের এক কৃষক! ২০ অগস্ট থেকে অনশনে বসেন ইয়ং শেরিং লেপচা। তখন ওজন ছিল ৮৪ কেজি। অনশন ভাঙার পর হয়েছে ৭০। ইয়ং জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলেও তিনি যাননি। কারণ তাতে তাঁর অনশন ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হত।
|
শুরু করেছিলেন বাবা। এখন সেই ব্যাটন ছেলের হাতে। বাবা এল এম সিঙ্ঘভি। ‘লোকপাল’ শব্দের প্রবক্তা তিনিই। ষাটের দশকের শুরুতে লোকপাল বিল প্রণয়নের জন্য সক্রিয় ভাবে প্রচার করেছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতেই ১৯৬৯-এ প্রথম লোকপাল বিল আনে সরকার। বর্তমানে লোকপাল বিল তৈরির দায়িত্ব এল এম সিঙ্ঘভির পুত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির নেতৃত্বাধীন কমিটিরই হাতে।
|
লোকপাল বিল নিয়ে অণ্ণার ‘বিজয়’কে ‘জয় হো’ বলে স্বাগত জানাল বলিউড। তারকাদের চোখে রবিবার দেশবাসীর কাছে ‘সোনালি দিবস’ ও ‘নতুন শুরু’। অণ্ণাকে অভিনন্দন জানান অমিতাভ বচ্চন, মহেশ ভট্ট, শাবানা আজমি প্রমুখ। কর্ণ জোহরের ট্যুইট, “জন-হারিকেনের ধাক্কায় সরকার কুপোকাত! আর একটি ঝড়ের নাম অণ্ণা হজারে।” |