টুকরো খবর

সিঙ্গুর-চুক্তি প্রকাশ-সহ এক গুচ্ছ দাবিতে রবিবার রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাল নকশালপন্থী একটি সংগঠন। ঘটনার কথা জেনে ‘ক্ষুণ্ণ’ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিক্ষোভের সময় মুখ্যমন্ত্রী এবং পার্থবাবু নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানেই ঘটনার কথা জেনে মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতায় বলেন, “কখনও আমার বাড়িতে, কখনও পার্থবাবুর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ সব কী হচ্ছে!” ওই ঘটনায় যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিল্পমন্ত্রী। তবে তাঁরই হস্তক্ষেপে ঘটনাস্থলে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশি সূত্রের খবর, এ দিন নকশালপন্থী চার মহিলা-সহ ১০-১২ জন শিল্পমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বসে পড়ায় বাড়ির লোকজন বেরোতে পারছিলেন না। দাবি, রাজ্য সরকারকে সিঙ্গুর-চুক্তি প্রকাশ করতে হবে, সুশান্ত ঘোষ ছাড়াও সিপিএমের যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং ৯০ দিনের কাজ নিয়ে সরকারের হইচই করা চলবে না। সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে জড়িতদেরও গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা। তাঁদের বিক্ষোভের মাঝপথেই পার্থবাবু বাড়ি ফিরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করতে গেলে পার্থবাবুই তাদের নিষেধ করেন। কারণ, তাতে বাড়ির সামনে ‘অবাঞ্ছিত’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারত। পার্থবাবুর বক্তব্য, “এ রকম ঘটনার উদ্দেশ্য কী, ওই বিক্ষোভকারীদের পিছনে কারও মদত আছে কিনা, তা দেখা দরকার। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে সিঙ্গুর-চুক্তির কাগজপত্র তলব করেছে। অনিচ্ছুকদের জমি ফেরত দিতে বিল এনেছে। আইনি জটিলতায় সেটা আটকে আছে। এ রকম অবস্থায় এই বিক্ষোভের কারণ বোঝা গেল না।”

পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার, ধৃত ছেলে-বৌ
বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। রবিবার, তিলজলা থানার গণেশ ঘোষ লেনে। মৃতার নাম কৃষ্ণা কর্মকার (৭০)। পুলিশ জানায়, বহুতলের চার তলার ফ্ল্যাটে ছেলে-পুত্রবধূর সঙ্গে থাকতেন কৃষ্ণাদেবী। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি ছাদ থেকে পড়ে যান বলে পুলিশের দাবি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের সন্দেহ, ওই বৃদ্ধা মানসিক অবসাদের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন। সন্ধ্যায় মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে নিউ ব্যারাকপুর থেকে আসেন মেয়ে মানসীদেবী। রাতে তিলজলা থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর দাদা ভোলা কর্মকার ও বৌদি মহুয়াদেবীর বিরুদ্ধে। মানসীদেবীর অভিযোগ, “ফ্ল্যাটটা মায়ের নামে ছিল। মাস দুয়েক ধরেই দাদা-বৌদি ফ্ল্যাটটা ওদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য মাকে চাপ দিচ্ছিল। মায়ের মৃত্যুতে ওদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ হচ্ছে।” অভিযোগের ভিত্তিতে ভোলা ও মহুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.