|
|
|
|
আত্মসমর্পণ করলে বিচার পাবেন গদ্দাফি, আশ্বাস বিদ্রোহীদের |
সংবাদসংস্থা • ত্রিপোলি |
রাজধানী ত্রিপোলি দখল করার জন্য এখনও লড়াই চলছে।
রাতে মাঝেমধ্যেই শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ। গুলিবিদ্ধ দেহ, পুড়ে ঝলসে যাওয়া দেহ এখনও পাওয়া যাচ্ছে এখানে-ওখানে। তবু কিছুটা শান্তি ফিরে এসেছে। হলেও বা শ্মশানের!
আপাতত তাঁরা আর হানাহানি চান না এমনটা বোঝাতে চাইছেন বিদ্রোহীরাও। বিদ্রোহী নেতা মুস্তাফা আবদেল জলিল কথা দিয়েছেন, গদ্দাফি ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা যদি আত্মসমর্পণ করেন, তবে তাঁরা নিরপেক্ষ বিচার পাবেন। এ দিকে, ‘অর্থ দরকার’ বলে বার বার আবেদন জানাচ্ছেন বিদ্রোহী নেতারা। আজ সকালেই তা নিয়ে কায়রোয় বিশেষ বৈঠক করেছেন আরব লিগের মাথারা। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কথা বলা শুরু করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে। |
কাল সারা রাত ত্রিপোলির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেশিনগানের শব্দ শোনা গিয়েছে। কয়েকটা বিস্ফোরণও ঘটেছে। কিন্তু এটা ঠিক স্পষ্ট হয়নি যে গদ্দাফির অনুগত বাহিনী এখনও মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, না কি জয়ের আনন্দেই বিদ্রোহীরা গুলি চালিয়ে, বোমা ফাটিয়ে উল্লাস করছে। গত কালই বিদ্রোহীরা জানিয়েছিল যে সাত ঘণ্টা ধরে ন্যাটোর বিমানহানা ও গুলিচালনার পর তারা গদ্দাফির ছেলে খামিসের সেনাঘাঁটি দখল করে নিয়েছে। আজ সংলগ্ন এলাকা থেকেই প্রায় ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি মার্কিন সংবাদপত্র জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে এই এলাকায় বিদ্রোহীদের বন্দি করে নির্বিচারে হত্যা করে গদ্দাফির বাহিনী। এগুলি তাদেরই দেহ।
বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, বিন জাওয়াদ শহরটি পুরোপুরি তাদের দখলে চলে এসেছে। আর গদ্দাফির ঘাঁটি সির্তে থেকে মাত্রই ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে তারা। সির্তে শহরেই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে গদ্দাফি লুকিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছে বিদ্রোহীরা।
সির্তের ১৪০ কিলোমিটার দূরে বিন জাওয়াদ শহরটির একটি অংশ গত কালও দখল করে রেখেছিল গদ্দাফি অনুগতরা।
আজ তাও চলে এসেছে বিদ্রোহীদের দখলে। বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, আর লড়াইয়ে না গিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে আত্মসমর্পণ করার জন্য কথা চালানো হচ্ছে সির্তের উপজাতি নেতাদের সঙ্গে। |
|
|
|
|
|